পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

e প্রবাসী—জ্যৈষ্ঠ, ১৩৩২ ২৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড সনৎস্বজাত বলিতেছেন, “অৰিদ্ধান পুরুষ যাগ ও হোমাত্মক কৰ্ম্ম দ্বারা মোক্ষলাভ করিতে পারেন না।” ( উদ্যোগ ৪s ) অন্যত্র তিনি বলিতেছেন, “কিন্তু বিধান ব্যক্তি জ্ঞানপ্রভাবে ব্ৰহ্মলাভ করিয়া থাকেন।” (উদ্যোগ ৪৩ ) শুকদেব কহিতেছেন, "এই নিমিত্ত পারদর্শী যতির কদাচ কর্থের অনুষ্ঠান করেন না। জীব কৰ্ম্ম-প্রভাবে পুনৰ্ব্বার জন্মগ্রহণ করিয়া থাকে ; কিন্তু জ্ঞান-প্রভাবে डॉशॉब्र निङा चन्रउद्ध लांड झब्र ” (*ांखि २ss ) এইসমস্ত উক্তি হইতে বুঝিতে পারা যাইতেছে যে, সমাজ এইসময় জ্ঞানকাণ্ডের পক্ষপাতী হইয় উঠিয়াছে। ar বেদব্যাস কহিতেছেন, “যিনি জীবের প্রতি দয়াবান, সৰ্ব্বজ্ঞ ও সমুদয়বেদবেত্ত হুইয়া মৃত্যুকে বশীভূত করিতে সমর্থ হয়েন, তিনিই যথার্থ ব্রাহ্মণ। যথার্থ বিধি পরিত্যাগ করিয়া কেবল নানা-প্রকার ছুরিদক্ষিণ যজ্ঞের অল্পষ্টান করিলেই ব্রাহ্মণ্যলাভ হয় না।” (শান্তি ২৪১ ) এই ভূরিদক্ষিণ যজ্ঞ পূৰ্ব্বযুগে আদরণীয় ছিল। জাজলি তুলাধার নামক বণিককে কহিতেছেন, “যাহা হউক এক্ষণে ব্রাহ্মণের আপনাদের কৰ্ত্তব্য অন্তর্যাগ পরিত্যাগপূর্বক ক্ষত্রিয়গণের কৰ্ত্তব্য সিাময় জ্যোতিষ্টোমাদি যজ্ঞের অনুষ্ঠানে প্রবৃত্ত হইয়াছেন। দেখুন, লুন্ধস্বভাব ধনপরায়ণ আস্তিকের বেদবাক্যের যথার্থ মৰ্ম্ম অবগত না হইয়া, সত্যের স্কার লক্ষিত মিথfময় ক্ষত্ৰিয় যজ্ঞের আহুষ্ঠান ও যজমানকে বিবিধ বস্তুদানে উৎসাহ প্রদান করিয়া থাকেন।” (শান্তি ২৬৩ ) নানারূপ দ্রব্যের সমাবেশ ও বহু আড়ম্বর, নানাবিধ মন্ত্রপাঠ ও পশুবধ এগুলি অপ্রয়োজনীয় বোধে সকলেই ক্রমে ইহার উপর বিরক্ত হইয়া উঠিয়াছিল ও সকলে অস্তর্যাগের পক্ষপাতী হইয়াছিল । তুলাধার জাজলিকে বলিতেছেন, “র্তাহারা (জ্ঞানবান লোক) স্বর্গ যশ বা ধন লাভের অভিলাষে যজ্ঞানুষ্ঠান করেন না। কেবল সজন-সেবিত পথের অনুসরণ করিয়া থাকেন এবং হিংসাধৰ্ম্মে লিপ্ত না হইয়া যাগ ও যজ্ঞের অনুষ্ঠানে প্রবৃত্ত হয়েন ৷” (শাভি ২৬৩ ) তিনি আরও বলিতেছেন, "যে-সকল ব্রাহ্মণ যথার্থ জ্ঞানবান, তাহারা আপনাদিগকেই যজীয় উপকরণরূপে কল্পনা করিয়া প্রজাদিগের প্রতি অনুগ্রহ প্রদর্শন করিবার নিমিত্ত মানসিক যজ্ঞের অনুষ্ঠান করেন । আর লুন্ধ ঋত্বিকগণ স্বৰ্গলাভার্থী ব্যক্তিদিগকেই যাগযজ্ঞের অম্বষ্ঠান করাইয়া পাকেন এবং স্বধৰ্ম্মানুষ্ঠান দ্বারা প্রজাদিগকে স্বৰ্গলাভের উপায় বিধান করিয়া দেন।” (শান্তি ২৬৩ ) অন্যত্র তিনি বলিতেছেন “লকাম মূঢ় ব্যক্তির ওষধি পরিত্যাগপূৰ্ব্বক পশুহিংসা দ্বারা যজ্ঞানুষ্ঠানে প্রবৃত্ত হয় ।” ( শাস্তি ২৬৩) পুনরায় তিনি বলিতেছেন,"অতএব পশুহিংসা অপেক্ষা পুরোডাশ দ্বারা যজ্ঞ-সম্পাদন করাই শ্রেয়স্কর ৷” ( শাস্তি ২৬৩ ) এইসমস্ত উক্তিদ্বারা বুঝিতে পারা যায় যে, পশুহিংসা সে-সময় কতদূর ঘৃণিত হয়। গিয়াছিল । নরপতি বিচধু গোমেধ যজ্ঞে নিহত গো-সমুদয় দর্শন করিয়া আক্ষেপ করিতেছেন ও কহিতেছেন “ধূর্ক্সেরাই মদ্য, মাংস, মধু, মৎস্য, তালরস ও যবাগৃতে আসক্ত হইয়া থাকে ৷” (শাস্তি ২৬৫ ) অনেকে বলেন গোমেধ একটি আধ্যায়ক অনুষ্ঠান । উহা যে আধ্যাত্মিক অনুষ্ঠান নয়--তাহা উক্ত বাক্যে এবং মহাভারতের আরও অন্যান্য অংশ পাঠে সহজেই বোধগম্য る物

  • একদা মহর্মি ত্বষ্ট নরপতি নস্থষের গৃহে আতিথ্য স্বীকার করিলে তিনি শাশ্বত বেদ-বিধানাচুসারে তাহাকে মধুপর্ক-প্রদানার্থ গোবধ করিতে উদ্যত হইয়াছেন, এমন সময় জ্ঞানবান সংযমী মহাত্ম কপিল যদৃচ্ছাক্রমে তথায় সমাগত হইয়া নহুষকে গোবধে উদ্যত দেখিয়া স্বীয় শুভকরী নৈষ্ঠিকী ৰুদ্ধিপ্রভাবে ’হ বেদ’ এই শব্দ উচ্চারণ করিলেন।” (শান্তি ২৬৮)

ঐ সময়ে স্থ্যমরশ্মি নামক মহৰ্ষি কপিলের সহিত খুব তর্ক-বিতর্ক আরম্ভ করিয়া দিলেন। স্ম্যমরশ্মি যাহা বলিলেন তাহার সার-মৰ্ম্ম এই, “বেদে কৰ্ম্মকাও ও জ্ঞানকাও উভয়ই সমান ও উক্তরূপ গোহত্য নিন্দনীয় নহে।” কপিল বলিলেন, পশুহত্যা নিন্দনীয়