পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

e&్చ • অনল অনিচ্ছুক ও রোরুদ্যমান প্রিসিলাকে মিল ডয়েলের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে চল ল ; প্রিসিলার চোখের জল দেখে তার চোখেও অশ্রীর বস্তা বইছিল। কিন্তু সে অতি শীঘ্রই নানাবিধ স্থপৃগু ও মনোহর খাদ্য খেলনা ও পোষাক কিনে দিয়ে এবং প্রাণচালা আদর করে গ্রিসিলাকে বশ করে ফেললে । বাড়ী যেতে-যেতে অনল প্রিসিলাকে বললে—আজ থেকে তোমাকে আমরা মহাশ্বেতা বলে ডাকুব । প্রিসিলা বড় শাস্ত মেয়ে, সে চুপ করে রইল, এবং মনে-মনে এই স্থঙ্কচ্চার্ধ্য নামটা মুখস্থ করবার চেষ্টা করতে লাগল। অনল বাস্থন্দিয়ায় পৌঁছেই মহাশ্বেভাকে ধনিষ্ঠার কাছে দেখাতে নিয়ে গেল । স্থম্বর মেয়েটিকে দেখেই ধনিষ্ঠ কোলে তুলে নিয়ে গাল টিপে আদর করে জিজ্ঞাসা করলে—তোমার নাম कि धूौ ? • মহাশ্বেতা কিছুই বুঝতে না পেরে একবার ধনিষ্ঠার মুখের দিকে ও একবাম অনলের মূখের দিকে তাকাতে লাগ ল । অনল ঈষৎ হেসে বললে—ও বাংলা বুঝতে পারে না । ওর ইংরেজী নাম বিত্র ছিল, তাই বদলে আমি ওর নাম রেখেছি মহাশ্বেতা । ধনিষ্ঠ একটু হেসে বললে—এই বা কোন স্বত্র নাম রেখেছেন ? অত বড় নাম ধরে কেমন করে’ ডাকা যাবে ? ওর নাম আমি ঠিক করে রেখেছি গৌরী। অনল হেসে বললে—বেশ, ঐ নামই তবে ওর থাকুক। ধনিষ্ঠা বললে—কিন্তু ও যে বাংলা জানে না, ওর সঙ্গে আমি কথা বলব কি করে’ ? - অনল হেসে বললে—মেয়ের কাছ থেকে মা ইংরেজি শিখবেন, আর মায়ের কাছ থেকে মেয়ে বাংলা শিখ বে। ধনিষ্ঠ বলে উঠল—ওর মাকে নিয়ে এলেন না, আমি একবার লেখতাম ; আমি পাল্কী জার মাধ্যকে পাঠিয়ে দিচ্ছি, আপনি তাঁকে একবার পাঠিয়ে দেবেন। অনল বিষ হয়ে দীর্ঘনিশ্বাস ফেলে বললে-ওর মা পথে জাহাজে মারা গেছে। প্রবাসী—জাবাঢ়, ১৩৩২ { ২৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড ধনিষ্ঠা স্নেহভরে গৌরীৰে বুকে চেপে ধরে বললে— আহা বাছা রে! তবে আমিই ওর মা হবে। আপনি ওকে শিখিয়ে দেবেন, আমাকে যেন মা বলে ডাকে । 韃 疊 豪 গৌরীকে নিয়ে অনল মহামুস্কিলে পড়ল। গৌরী অনিলের মেয়ে, বিশ্বসংসারে তার এই একটি মাত্র স্নেহের পাত্রী ; কিন্তু গৌরী আবার মেচ্ছ খুটানীরও মেয়ে । স্নেহের আবেগে অনিলের কন্যাকে বুকে চেপে ধবৃতে ইচ্ছা করে, কিন্তু তাকে স্পর্শ করলে নাইতে হবে, অন্ততপক্ষে কাপড় ছাড়তে হবে। তার ছোয়া-কাপড়ে পূজা আহ্নিক করা চলে না, রান্না-খাওয়া চলে না । গৌরী নিতান্ত ছেলে মানুষ, নিজের হাতে ভালো করে খেতে পারে না ; পিড়িতে চ্যাপটালি খেয়ে বসে’ হাত দিয়ে ডাল-ভাত মেখে খাওয়া তার অভ্যাস নেই, এমনতর ব্যাপার সে কখনো চোখেও দেখেনি। প্রথম দিন অনল পিড়ি পেতে ভাত দিয়ে তার সাম্মে নিজে আসনপিড়ি হয়ে বলে গৌরীকে দেখিয়ে দিলে, মাটিতে কেমন করে’ বলতে হয় ; তার পর কেমন করে’ ভাত ভেঙে ডাল-ঝোল মেখে হাতে করে” গ্রাস তুলতে হবে, অনল তাকে অনেক করে' বুঝিয়ে দিয়ে বলে’ দিতে লাগল ; কিন্তু যে-ব্যাপার গৌরী জীবনে কখনো আর কাউকে সম্পন্ন করতে দেখেনি, সেই অনভিজ্ঞকৰ্ম্ম সে কিছুতেই স্থসম্পন্ন করতে পারছিল না ; মাছ বেছেও সে খেতে পারছিল না, কাট-মৃদ্ধই মাছ মুখে দিতে যাচ্ছে দেখে অনল আর তটস্থভাবে থাকৃতে পারলে না, সে গৌরীর উচ্ছিষ্ট থালা ছুঁয়ে মাছ বেছে ভাত মেখে তাকে খাইয়ে দিলে । মেচ্ছের উচ্ছিষ্ট-স্পর্শ। অনল গৌরীকে আঁচিয়ে মুছিয়ে দিয়ে স্নান করে রান্নাঘরের মধ্যে গিয়ে লুকিয়ে খেতে বসূল। গৌরী জ্যাঠামশায়কে খুঁজতে-খুঁজতে সেই রাজা-ঘরের भाषा त्रिtग्न ठूकूण । चनtजब्र थांeब्र भडे श्ण, cन डांड ফেলে উঠে পড়ল ; রামার ইাড়িও মারা গেল। জনলকে সমস্ত খাদ্যসামগ্রী ফেলে রেখে উঠে পড়তে