পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*28e SSASAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAAAASA SAASAASSAAAAAAMMAAA AAASA SSASAS SS SAAAA গণপতি কহিলেন, “ত আপনি ভিতরে জাঙ্কন, বাইরে একলাটি ব’সে রইলেন ।” কানাই কহিল, “আপনি কেন কুষ্ঠিত হচ্ছেন ? আমি এখানে বেশ আছি ।” ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ বাড়ীতে যাইয়া শৈলবালাকে ভিন্ন হখেলু আর কাহাকেও কিছু বলিলেন না। কানাইলাল কোথায় গেল —কি হুইল ইত্যাদি নানারূপ দুর্ভাবনায় তিনি অত্যন্ত কাতর হইয়া পড়িলেন। যাহা হউক তিনি আর কালবিলম্ব না করিয়া তাহার পিসতুতে ভাই গোকুলকে সঙ্গে দিয়া শৈলবালাকে কলিকাতায় মহেশ্বরীর নিকটে পাঠাইয়। দিলেন । শৈলবালা আসিয়া দেখিল, মহেশ্বরীর আহার নাই, নিদ্রা নাই, শরীরও নিতান্ত শীর্ণ হইয়া পড়িয়াছে। তিনি র্তাহার সজল চক্ষু দুটি রাস্তার জনস্রোতের উপর নিবদ্ধ করিয়া দিবারাত্রি বসিয়া থাকেন। শৈল কহিল, “মা ! অমন ভেবে-ভেবে শরীর কাহিল করছ, সে নিশ্চয়ই আসবে, তোমাকে ছেড়ে থাকৃতে পারবে না। সেয়ান হয়েছে, নিশ্চয়ই দেশের বাড়ীতে গিয়ে উপস্থিত

"

মহেশ্বরী কহিলেন, “সে আস্থক বা না আমুক সে ভাবিনে। যে কালব্যাধির সম্মুখে পড়েছিল—তাই -.ব। আর যদি শুনতে পেতাম যে সে একজন মা পেয়েছে, তা হ’লে আর ভাবনার কিছু ছিল না। তার যে সংসার-বুদ্ধি কিছুই হয়নি ! যদি প্রাণে বেঁচে থাকে~ন খেতে পেয়ে হয়ত স্বারে-স্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এমন রাতারাতি লে যে অকুল সমুজে পড়বে, তা ত মা ! কোনো দিন ভাবিনি।” শৈল কহিল, “অগতির গতি দীনবন্ধুই তাকে দেখছেন। দুঃখীদের থেকে আপনাকে আলগা ক’রে নেবার ঝোক যদি বিধাতার থাকৃত, তা হ’লে দুঃখী লোক কি বাঁচতে পেত ?” মহেশ্বরী কহিলেন, “সে ঠিক কথা। কিন্তু দুঃখীলোকের শক্তিটা ভগবান বেশী ক’রেই পরীক্ষা করেন। প্রবাসী-আষাঢ়, ১৩৩২ ২৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড মাছুষ কত বড় বলিষ্ঠ হ’লে তবে সেই শক্তি-পরীক্ষায় জয়ী হতে পারে! সে যে মা, মাথার বোঝা বইতে পারে ন—মনের বোঝা কি বইতে পারবে ?” - শৈল কহিল, “কিন্তু মা ! ভগবান ত কা'কেও প্রাণে মেরে শক্তি পরীক্ষা করেন না । সে তোমার কাছে যেরূপ শিক্ষা-দীক্ষা পেয়েছে, তা’তে নিশ্চয়ই সে জয়ী হতে পারবে ।” মহেশ্বরী কহিলেন, “মানুষ তা’র সত্যকার অধিকার যতদিন বুঝতে না পারে, ততদিন একটা ভয়ও আছে । তখন একটা বিপক্ষ শক্তি তা’কে এমন স্থানেও নিয়ে যেতে পারে যেখানে আত্মনাশই প্রাণ জুড়াবার সহজ শক্তি ব'লে প্রলোভন দেখায় ।” মহেশ্বরীর প্রাণে যে কত আশঙ্ক, শৈল একে-একে সমস্তই বুঝিতে পারিল । সে কহিল, “কিন্তু এই স্ববৃহৎ সহরের এক-কোণে প’ড়ে থাকূলে, সেগু বা কি ক’রে আমাদের খোজ পাবে, আমরাও বা কি ক’রে পাবো ?” মহেশ্বরী কহিলেন, “ডা বুঝি মা ! কিন্তু আমার প্রাণের নিধি যে এইখানেই হারিয়েছে । তাই দেশে যেতে মন চায় না। এইখানেই জনসমুদ্রের মাঝে চোখদুটো পাতিয়ে রাখতে ইচ্ছে হয়।” কিছুক্ষণ চুপ করিয়া থাকিয়া বলিলেন,“আমার উপর যে তা’র কত বড় জোর— সে তোমরা জানো না। যে-ধাক্কাটা লেগেছে তা আমি সাম্লাতে পারছি—কিন্তু তা’র যে সে-শক্তি নেই।” শৈল কহিল, “তুমি মিছে মিছে কেবল খারাপটাই ভাব ছ। সে হয়ত সেই ভদ্রলোকের সঙ্গে গেছে। র্তার স্বস্থ হ’লে চলে আসবে ।” মহেশ্বরী কহিলেন, "মনে এইরূপ একটা সামঞ্জস্য আনতে না পাৰ্বলে মানুষের প্রাণটা ফেটে চটে খান খান হয়ে পড়ত। আমিও তাই ভাবছি। কিন্তু সে-ভাবনাট{ বড় ক’রে ভাব তে পারিনে ৷” শৈলবালা আর কিছু বলিল না। কানাইলালের বিচ্ছেদ বলাইএর অস্তরেও অত্যধিক বাজিয়াছিল। সে একাকী প্রতিদিন ছুবেলা যতটা পারিত খোজ করিয়া শাসিত তারিণীচরণের বড় সাহায্য পাইত না । গোকুল আলিলে তাহার অনেকটা