পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৬২ নয়, জীবনের সহিত তাহার কোনো সম্পর্কই নাই, পরম অদ্ভুত স্বষ্টি-স্থিতি-সংহারের তত্ব, ভাৰী মহাবিচারের চিত্র ও বিশেষ-বিশেষ উপায়ে উদ্ধার পাওয়ার আশা সমস্তই জীবনের একপাশে পড়িয়া আছে ; আর স্বখের, সম্ভোগের, বিলাসিভার জীবনই আপনাতে আপনি সম্পূর্ণ হইয়া আসল জীবন হইয়া উঠিয়াছে। কিন্তু জন-সাধারণের মধ্যে যে-ধৰ্ম্মবিশ্বাস তাহা জীবন্ত, তাহা সমস্ত জীবনব্যাপী ; তাহাদের বিশ্বাস, তাহাদের ব্রত আচার আচরণ যতই অদ্ভুত বা কুসংস্কারপূর্ণ মনে হউক না—জীবনের সহিত উহুদের সম্বন্ধ আছে, উহারা খাপ খাইয়াছে । তাই, অজ্ঞ, দরিদ্র অথচ শ্রমপরায়ণ বিপুল জনসমাজ জীবনের দারিদ্র্য, দুঃখ, শোক, অপমান, অত্যাচার, অন্যায়, রোগযন্ত্রণ, মৃত্যু—সমস্তই সহ করিতেছে, বাচিয়া আছে,— এমন-কি জীবনে সন্তোষ, আশা, উৎসাহ, প্রেম—ইহাদেরও কোনো অভাব নাই। এই আশ্চৰ্য্য দৃশ্ব, এই মহান দৃশ্য টলস্টয়ের অন্তঃকরণকে সবলে আকর্ষণ করিল ; তিনি প্রতিভাবান বা প্রতাপশালীগণের বংশধর যাহাই হউন— তিনি অন্তরে-অন্তরে জনসাধারণের একজন ছিলেন, একথা আর তাহার নিজের কাছে লুকানো রহিল না । জনসাধারণের হৃদয়ের দিকে হৃদয়ের এই প্রবল আকর্ষণে দেখিতে পাই, তিনি মানবের জ্ঞান-বিজ্ঞান, ইতিহাস, শিক্ষা, দীক্ষা, সভ্যতা সমস্তকেই বহুলাংশে নিরর্থক বলিয়া মানিয়াছেন এবং সে-কথাবলিতেও কুষ্ঠিত হন নাই। হয়ত তিনি একদিকের বোণক ছাড়িয়া আর একদিকে অধিক ঝুঁকিয়া পড়িয়াছেন। যাহা হউক, স্বীয় আত্মকথায় তিনি বলিতেছেন, "জীবনকে যদি বুঝিতে হয়, সৰ্ব্বাগ্রে প্রকৃত জীবন যাপন করিতে হইবে, তাহার সমস্ত দুঃখদৈন্ত, শ্রম বরণ করিয়া লইতে হইবে । সমাজের পরস্বাপহারী শোভাবিশেষ, পরগাছা-বিশেষ হইয়া থাকিলে চলিবে না। কিন্তু আমরা জমিদার, সন্ধান্তবংশীয় প্রভৃতি সকলে সেই পরগাছা হইয়াই আছি । আর «थक्लङ औयन जईब्र बैंiठिंब्रां चांद्रह अङ मद्भिश श्रमगणिङ অত্যাচারিত জন-সাধারণ।”—টলস্টয় আর-একটি স্বন্দর कधी दलिग्नांटझ्न,७३ कथांfü डिनि दइ लांन-दिखांद्वनब्र शार्ष আলোচনার পর বুকিয়াছেন যে, সসীমকে সসীম প্রবাসী-আষাঢ়, ১৩৩২ [ ২৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড বলিয়া জানিলে কিছুই জানা হয় না, এবং অসীমকে অসীম বলিয়া জানিলেও কিছুই জানা হয় না. তাই সসীমকে অসীমের সম্পর্কে এবং অসীমকে সসীমের সম্পর্কে জানিতে হইবে। কিন্তু এরূপভাবে জানিতে হইলে যুক্তিতর্ক পরাজয় মানে । বিশ্বাস ও শ্রদ্ধা ব্যতীত এখানে উপায় নাই, তাই ধৰ্ম্ম-বিশ্বাস,—তাই faith. এই ধৰ্ম্মবিশ্বাস বা faith সসীমকে অসীমের সম্পর্কে এবং অসীমকে সসীমের সম্পর্কে জানিয়াই জীবনকে সম্যকৃ জানিয়াছে ; যাহারা আস্তিক, যাহারা আস্থাবান, তাহfরাও জীবনের একটি অর্থ পাইয়াছে । যৌবনের প্রারম্ভে যে-বিশ্বাস তিনি কখন হারাইয়। ফেলিয়াছিলেন, দীর্ঘকাল পরে বহু দুশ্চিস্তা ও বহু সন্ধানের পরে সেই বিশ্বাসকেই ফিরিয়া পাইলেন, ইহাই টলস্টয়ের আত্মকথা। এই হারাইয়া ফেলিবার এবং ফিরিয়া পাইবার যে বিশেষ প্রয়োজন ছিল, তাহাও পরে বুঝা যাইতেছে। যে বিশ্বাস হয়ত শিথিলভাবে চিরকালই বর্তমান থাকিস্ত, সেই বিশ্বাস হারানিধি হইয়। পরে জীবনে জীবস্ত হইয়া উঠিল । তাহা-ছাড়া টলস্টয় বিশ্বাস ও তত্ত্বানুসন্ধান করিয়াছিলেন এবং ফলে চার্চকেও ছাড়াইয়া খৃষ্টেরই নিকটস্থ হইয়াছিলেন ; শাস্তি পাইয়াছিলেন—ইহা গু হইতে পারে । টলস্টয় জনসাধারণেরই একজন হইবার সাধনা আরম্ভ করিলেন । খৃষ্ট-ধৰ্ম্মে জীবনের সম্বন্ধে কি বলে, তাহাই শুনিতে, বুঝিতে ও বিশ্বাস করিতে লাগিলেন । ধর্শ্বের সমস্ত বাহ আচার-আচরণও মানিয়া চলিতে লাগিলেন । অনেক জিনিষ অদ্ভুত নিরর্থক বলিয়া প্রতিভাত হইতে লাগিল, কিন্তু দীর্ঘকাল মনকে শাসন করিয়া সে-সম্বন্ধে উচ্চবাচ্য করিতে দিলেন না, কারণ একবার সে ত আপনার বুদ্ধিতে মরণের পথেই চলিয়াছিল ; দ্বিতীয় বারে সাবধান হওয়া উচিত। কিন্তু সত্যই যাহা নিরর্থক, অদ্ভুত বলিয়া মনে হয়, সে-সম্বন্ধে প্রবল মন ও স্বতীক্ষ বুদ্ধিকে দীর্ঘকাল নীরব রাখা যায় না, শাসন করা যায় না, আঁখি ঠারিয়া রাখা চলে না। ধর্শের তত্ত্বকে ভালো করিয়n বুঝিবার জন্যও অন্তত ধর্শের তত্ত্বালোচনা করা জাৰগুক, अचौकांब्र कब्रियाद्र ऍटकथा लहेञ्च चांद्रणांछना न ह७ब्राहे