পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨8 প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩৩২ [ ২৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড মাহুষের দুই শ্রেণীগত রূপ। আমার নাটকও একইকালে ব্যক্তিগত মানুষের, আর মাস্থ্যগত শ্রেণীর। শ্রোতারা যদি কবির পরামর্শ নিতে অবজ্ঞা না করেন তা হ’লে আমি ৰলি শ্রেণীর কথাটা ভুলে ধান । এইটি মনে রাখুন, রক্ত. কৃরবীর সমস্ত পালটি নন্দিনী ব’লে একটি মানবীর ছবি । চারিদিকের পীড়নের ভিতর দিয়ে তার আত্মপ্রকাশ । ফোয়ারা যেমন সঙ্কীর্ণতার পীড়নে হাসিতে আশ্রতে কলধ্বনিতে উদ্ধে উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠে তেমূনি। সেই ছবির দিকেই যদি সম্পূর্ণ ক’রে তাকিয়ে দেখেন তা হ’লে হয়তে কিছু রস পেতে পারেন। নয় তো রক্তকরবীর পাপড়ির আড়ালে অর্থ খুঁজতে গিয়ে যদি অনর্থ ঘটে তা হলে তার দায় কবির নয়। নাটকের মধ্যেই কবি আভাস দিয়েছে যে, মাটি-ফুড়ে ধে-পাতালে খনিজ ধন খোজ হয় নন্দিনী সেখানকার নয় ; মাটির উপরিতলে যেখানে প্রাণের যেখানে রূপের মৃত্য, যেখানে প্রেমের লীলা নন্দিনী সেই Hহজ ঞ্জ থং, সেই সহজ সৌন্দর্য্যের । বিদায় বাসনা স্তব্ধ কোন শরতের নিশা অবসানে, - মরণের পানে চাহিতে হইবে মোরে ক্ষীণ দীপালোকে ; নিভে যাবে মরমের সর্ব শোক জালা, কোন মৃত্যুমালা স্বৰ্গ হতে বক্ষে লভি যাব স্বপ্নলোকে । সেদিন কুদ্রাসা-মাখা ধূসর আকাশে ক্ষণিকের ত্রাসে থেমে যাবে পার্থীদের আনন। কাকলি ; শিশিরের অশ্রজলে সিক্ত হবে ধরা, স্বখ মুপ্তি ভরা ধরণীরে চমকিয়া উদ্ধ সম চলি যাব আমি ; প্রভাত আলোর ধবনিক। •মুহূৰ্ত্তের লিথ। অস্তরে বরিয়া দিবে আমারে বিদায় । অন্তরীক্ষ মুখর হইবে ক্ষণতরে কি আবেগ ভরে, পূর্ণ হবে স্বষ্টির চরম অভিপ্রায় । 秦 譬 * হে প্রেয়সি, তোমারে হেরিব সেই প্রাতে অকম্পিত হাতে দিতেছ আমারে শেষ পথের পাথেয় ; অনন্ত বেদন মাখা স্নিগ্ধ আঁখি দুটি উঠিবে গো ফুটি উধাতারা সম । প্রিয়ে, বলিবে, “আদেয় তোমারে এ মহাক্ষণে মোর কিছু নাই” আমি কব, “চাই তোমার নিকটে, ওগো শেষ এক দান :– আমি চলে গেলে তুমি রবে চিরতরে শুভ্ৰ বেশ ধরে, ও সৌন্মধ্যে রবে শুধু অযত্বের স্থান। হে সঙ্গিনী, যাত্রাকালে পূর্ণ করি দাও ; নিঃশেষে জালাও মোর চক্ষে শেষবার তব রূপশিখা ; মরণের বর্ণহান কোলে দাও আঁকি, পাংশুতারে ঢাকি, ' প্রাণ ছবি দিয়ে বরতহর তুলিকা। ঝলকি উঠুক তব অঙ্গেতে প্ৰলয়, হীরক বলয় মরকত, পদ্মরাগ, কনক মেখলা, য়ুর, কঙ্কণে তোল গুঞ্জন ঝঙ্কার, ভাঙো অহংকার অশনির, দুলাইয়া কুণ্ডল চঞ্চল । সুগ্ধইয়া স্ববর্ণ খচিত নীলবাস চরম আশ্বাস আনি দাও অন্তরে আমার হে স্বন্দরী । মুকুতা বন্ধনে বেঁধে কৃষ্ণ কেশপাশ কর উপহাস স্মিত হাস্যে হৃদি হতে মৃত্যু ভয় হরি । জাগাওঁ শিরায় আরবার ওগো প্রিয়ে, t তব স্পর্শ দিয়ে পূৰ্ব্বরাগ মদিরার তীব্র মাদকতা নিস্তেজ নয়ন রেখে তব নয়নেতে তোমার কর্ণেতে বলে যাব মৃদুকণ্ঠে বিদায়ের কথা ।” 率 舉 事 তারপর প্রদোষের আধ রক্তিমেতে শিথিল করেতে ধরিব তোমার হস্ত শেষ সম্ভাষণে নিভাইব ধীরে তব রূপ উন্মাদন, হায় স্বলোচনা, . নিম্প্রড করিয়া যাব সৰ্ব্ব আভরণে ॥