পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ) লবঙ্গ বলিল “মিথ্যে না বাপু। দশ বছরের মেয়ে কে বলবে! মাথা যেন তালগাছে গিয়ে ঠেকেছে। হবে না ? যু আদরের ঘট । মেয়েছেলেকে অমন গোগ্রাসে গিলতে দিতে আছে ? পেট বগদিয়ে খেতে দেবে, উঠতে-বসূতে ঝণটা লাথি দেবে, তবে না সে-মেয়ে মেয়ের মতন ধাকৃবে ? তা কোথা যাচ্ছ এখন ?” বৃন্দাবন বলিল “একটা সম্বন্ধের কথা কাল শুনছিলাম দিবাকরের কাছে । ছেলের বয়স বেশ, দ্বিতীয় সংসার করবে, তাই একটু কমে হ’তে পারে কি না তাই দেখতে যাচ্ছি।” গঙা-ঘরের বেড়ার ফঁাকে প্রদীপেব স্নিগ্ধ আলে৷ যখন বাহিরের আঁধারেব কোলে আসিয়া পড়িয়াছে, তখন #iনমুখে বৃন্দাবন ফিবিয়া আসিল । লবঙ্গ ব্যস্ত হইযু বাহিলে আসিয় জিজ্ঞাস করিল “কি হ’ল গ৷ ?” বুন্দাবন হতাশভর স্বরে বলিল, “ইবে সার কি, আমাৰ মুণ্ড ! ঐ ত ছেলের ছিবি, তাও সাত-আট শ’ vাকাব কমে হ’যে উঠবে না।” লবঙ্গ গালে হাত দিয়া বলিল, “ওমা অ ই টাকা কোথায় পাবে গে। } শেষে কি ভাইঝির জন্তে লোকের ধরে সিদ্ধ কাঁটুতে যাবে ?” বৃন্দাবন বলিল “সে বললে ত আঁর কেউ শুনবে না ? শেষে কি বুড়ে বয়সে জাত খুইয়ে গো-ভাগাড়ে গিয়ে ময়ূব ? দেখি, এই বাড়ী আর বাগানথান বন্ধক রেখে কি পাহ। কাতুর মায়েরও দু-চারটে সোনা-রূপের ফুচি আছে, দুইয়ে মিলিয়ে কোনোরকমে যদি কাজ উদ্ধার হয় ।” লবঙ্গ বলিল “বাড়ী ঘর বাধা দিয়ে কি পথে ছাড়াবে। ভাইঝি তোমার কি স্বগ গে বাতি দেবে যে তা’র জন্তে সৰ্ব্বৰ খোয়াতে বগেছ ?”

  • ও-ছাড়া আমার আর আছেই বা কে ? ওর একট। ভালো রকম হিল্পে লাগিয়ে দিতে পারলে আমার পথই বা কি আর ঘরই বা কি ? ক’দিন আর আছি ?”

লবঙ্গ একখানা পাখা হাতে কaিয় স্বামীর সেবার উদ্বেপ্তে বাহির হইয়াছিল, স্বামীর মুখে এ-হেন উদার মন্তব্য শুনিয়া “তবে আমায় হাড় জালাতে বিয়ে করে 8ty-2

  • ंचांश्च खड्

چeAي ছিলে কেন ? আমি পন্ধের বাড়ী ভিখ, মেণ্ডে খানে এর পর,” বলিয়া পাখাখানা জাছ ড্রাইয়া ফেলিয়া কাদিতেকাদিতে চলিয়া গেল । যাহার জন্ত এত ভাবনা সে কিন্তু দিৰ্য নিশ্চিন্ত-মনে প। ছড়াইয় বসিয়া কাচা পেয়ার চিবাইতেছিল। জ্যাঠfই-মার রাগ বা জ্যাঠার দুশ্চিন্তায় তাহাকে একেবারেই কাবু করিতে পারে নাই। কান্নার শৰে বাহিরে আসিয়া সে জিজ্ঞাসা করিল, “জ্যাঠাইমা কাছে কেন ?” বৃন্দাবনের মুখে কান্নার কারণ শুনিয়া সে বলিল “আমি বুড়োকে বিয়ে করব না, নিশি-দাদ দেখতে বেশ ভালো তাকেই বিয়ে করব । সে টাকা নেবে না বলেছে।” এত দুঃখেও বৃন্দাবনের হাসি পাইল । সে কাতুকে কাছে টানিয়া লইয়া গায়ে হাত বুলাইতে বুলাইতে বলিল “কা’কে বলেছে রে, তোকে ?” “হ্যা, কাল আমাকে জিগ গেস করলে “তোর জ্যাঠ। তোকে নাকি বুড়ো বরে বিয়ে দিচ্ছে? আমি বললাম, ‘কে জানে। সে বললে বারণ কর না ? আমি তোকে টাকা না নিয়েই বিয়ে করব ।’ ” বৃন্দাবন বলিল “fছ মা ! তুই এখন বড় হয়েছিল, ব্যাটাছেলেদের সঙ্গে কি এখন খেলা করে, গল্প করে । ওতে নিন্দে করবে যে লোকে ? শ্বশুরবাড়ী যাবি ছুদিন পরে, তা’র শুনলে মন্দ্র বলবে।” “বলুক গে, তাই ব’লে আমি খেলব না নাকি ? আমি শ্বশুরবাড়ী চাই নে ৷” কিন্তু কাতু না চাওয়া সত্বেও তাহার একটি শ্বশুরবাড়ী জুটাইয়া দিবার চেষ্টায় বৃক্ষাবন প্রায় আহার-নিজা ত্যাগ করিতে বসিল । অনেক বলা-কহ, অকুনয়-বিনয় করিয়া সেই দ্বিতীয় পক্ষের পাত্রটিকে সে জামাতৃত্ব-স্বীকারে সম্মত করিয়া ফেলিল, কিন্তু টাকার সংখ্যা কমাইতে তাহাকে কোনো-প্রকারেই রাজি করিতে পারিল না। লবঙ্গ বলিল, “হ্যা গা খুব ত পাকা কথা দিয়ে বসছ, কিন্তু এ ভাঙাবাড়ী বেচ লেণ্ড ত আটশ' টাকা হবে না, কোথা থেকে দেবে ?” “বাড়ী কেন আমাকে বেচ লেও হবে না।” “তৰে স্নাজি হ’লে কি ৰ’লে ? ” “ब्रांछि नः श्'tब्र चांब्र फेनांब क् ि? cकांटमांद्रकट्य