পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] ধাৰে মূল পদার্থগুলিকে পরমাণবিক গুরুত্ব-অনুসারে, সাজাইয়া গেলে, সেইরূপ দেখা যায় যে, প্রথম, সাতটি মৌলিকের পরবর্তী মৌলিকসমূহে পূর্বের গুণসমূহের পুনরাবির্ভাব হইতে থাকে। ইহাকে নিউল্যাণ্ডের síða cðftvz faTi Tw (Newlands law of Octaves)। মেণ্ডেলীফ নিউল্যাণ্ডের এই নিয়ম না জানিয়াও ১৮৬৯ খৃষ্টাবো এইপ্রকারেই অথচ ইহা অপেক্ষ উংকৃষ্ট1 নিয়ম বাহির করিয়া মৌলিক-সমূহের এক তালিকা প্রস্তুত করেন। এই তালিকাকে মেণ্ডেলীফের তালিকা iMondoleef's Table) বলে । এই তালিকাই অজৈব বসায়নের মূল ভিত্তি। ইহা দ্বারা সমস্ত মৌলিক পদার্থকে স্বপূস্থলভাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হইয়াছে ও ইহার সাহায্যে মৌলিক পদার্থ আবিষ্কৃত হইয়াছে ও হইতেছে । পেট্রোলিয়ম্ বা কেরোলিন তৈলের প্রকৃতি ও ভূগর্ভে জন্মবৃত্তান্ত-সম্বন্ধে গবেষণা করিয়া মেণ্ডেলীফ এক মতবাদ প্রচার করেন। এই প্রসঙ্গে একটা কথা মনে পড়ে । বাল্য-কালে কে যেন আমাদিগকে বলিয়াছিল যে, দেশের সমস্ত মৃত জন্তুর গলিত দেহ কলের ঘানিতে ফেলিয়া সাহেবেরা যে তৈল বাহির করেন, তাহাই কেরোগিল্পের রূপ পরিগ্ৰহ করিয়া বাজারে বিক্রীত হয় । কেরোলিন তৈলের এই জন্মবৃত্তান্ত বহু দিন ধরিয়া সত্য বলিয়া বিশ্বাস ছিল এবং এইজন্য কেরোসিন তৈল ম্পর্শ পৰ্য্যস্ত করিতাম না। অবশু এখন আর সে-বিশ্বাস নাই, কিন্তু কেরোসিনের উৎপত্তি-তত্বের সহিত এই কুসংস্কারের অনেকটা সাদৃশ্য দেখা যায়। কলের ঘানিতে মৃতদেহ পেষণ করিয়া সাহেবেরা তেল বাহির করেন না, প্রকৃতিই ভূপ্রোথিত জীব-দেহের উপর চাপ দিয়া কোনো-প্রকারে তৈল উৎপাদন করেন, আধুনিক বৈজ্ঞানিকগণের উক্তির ইহাই সারমর্থ। বৈজ্ঞানিকের নিকট হীরক ও কয়লা একই জিনিষ । কয়লা বহুকাল ভূপ্রোধিত থাকিলে, পৃথিবীর আভ্যন্তরীণ উত্তাপে ও উপরের স্মৃত্তিকার চাপে তাহার মলিনতা ঘুচিয়া যায় ৮ ধরাকুক্ষির বৃহৎ কৰ্ম্মশালায় কি করিয়া কেবল চাপ ও তাপের সাহায্যে তুচ্ছ কৃষ্ণ-আদার বইशृणा शैब्रएक अद्रिजड इव, डाश जानां हिण नी ! **** মেণ্ডেলীফ ও নব্য-রসায়ন । లిx বৎসর পূৰ্ব্বে একজন ফরাসি বৈজ্ঞানিক কয়লাকে ভূগর্তের অবস্থায় ফেলিয়া হীরকে রূপান্তরিত कबािरश्न | অঙ্গার যেরূপ হীরকের মূল উপাদান, মার্শ গ্যাসও । তজাতীয় পদার্থসমূহ সেইরূপ পেট্রোলিয়ামের মূল উপাদান। অগভীর জলভূমিতে গাছপালা লতাপাতা পচিলে তাহা হইতে মার্শ গ্যাস নামক একপ্রকার সহজদাঙ্ক লঘু পদার্থ উখিত হইয়া বায়ুর সংস্পর্শে আসিয়া জলিয় উঠে। এই অগ্নিশিখাই আমাদের আলেয়া । অধিকাংশ বৈজ্ঞানিকের মতে পেট্রোলিয়াম জৈব পদার্থ ও সুদূর অতীত যুগে নানা-প্রকার .প্রাণী ও উদ্ভিদ ভূমিকম্পের ফলে ভূগর্ভে চাপা পড়িয়া পচিয়া প্রথমে মার্শগ্যাসের স্বষ্টি হইয়াছে ও পরে মাশগ্যাস উপরিস্থ মাটির চাপের প্রভাবে ভৈল-জাতীয় পদার্থে পরিণত হইয়াছে। কিন্তু মেণ্ডেলীফ ককেসাসএর তৈলখনিসমূহ পর্য্যবেক্ষণ করিয়া পেট্রোলিয়ামের এই জৈবিক উৎপত্তিবাদ-সম্বন্ধে সন্দিহান হন এবং ১৮৭৬ খৃষ্টাব্দে অ্যাটলাণ্টিক মহাসাগর অতিক্রম করিয়া আমেরিকার যুক্তরাজ্যে উপস্থিত হন ও পেনিসিলভেনিয়া প্রদেশস্থ তৈলখনিসমূহ পৰ্য্যবেক্ষণ করেন। ফিরিয়া আসিয়া তিনি এক অজৈব মতবাদ প্রচার করেন। র্তাহার মতে ধরাকুক্ষিতে দিবানিশি ষে আগুন জলিতেছে, তাহাতে কয়লা ও লৌহ গলিয়া গিয়া রাসায়নিক সঙ্গমের ফলে কারবাইড (Iron Carbide) প্রস্তুত হইতেছে । পরে উহা জলীয় বাম্পের সংস্পর্শে আসিলে বিকার প্রাপ্ত হয় ও মার্শ গ্যাস ও তজ্জাতীয় পদার্থ উৎপন্ন হয় এবং অবশেষে অত্যধিক চাপের প্রভাবে এই গ্যাগসমূহ তরল ও कठेिन उजछांउँौञ्च ननां८थ পরিণত হয়। আধুনিক রাসায়নিকের জৈববাদেরই অধিক পক্ষপাতী ; তবে এ-বিষয়ে আর সন্দেহ নাই ষে; পেট্রোলিয়ামের কিয়দংশের উৎপত্তি মেণ্ডেলীফ এর উক্ত প্রণালী-অনুসারে হইয়াছে । কালের পরিবর্তনের সঙ্গে-সঙ্গে,অণু-পরমাণুর মৌলিকৰ । সম্বন্ধেও ধারণার পরিবর্তন হইয়াছে । মেণ্ডেলীফের অনেক সিদ্ধান্ত নব্য রসায়নের উন্নতির সহিত পরিত্যক্ত इहे८उप्झ। ७कहे भ्रूण अनार्थ श्हेरउ cरु नमअ बश्न उद्घ উৎপত্তি হয়, ইহা অনেক প্রাচীন পণ্ডিত ও মেণ্ডেলীফের