পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মতেই তথায় যাইতে চায় নাই। তাহার মা যোগেঞ্জকে পান দিবার জন্ত তাহাকে প্রেরণ করায়, লোকটা দরজা বন্ধ করে। কতক্ষণ পরে, একটা গোগানি শৰ শোনা যায়। দরজা খুলাইবার পর দেখা গেল,মেয়েটি উবুড় হইয়া রক্তাক্ত দেহে মরিয়া পড়িয়া আছে —তাহার মাথা নোড়া দিয়া ছেচিয়া ভাঙিয়া ফেলায় মস্তিষ্ক বাহির হইয় পড়িয়াছে। মেয়েটি কেন স্বামীর ঘরে শুইতে চায় নাই, কেনই বা তাহার স্বামী তাহাকে মারিয়া ফেলিল, তাহ বলা অনা বশ্যক । জাদালতের বিচারে যোগেন্দ্রের ফাসীর হুকুম হইয়াছে। নিহত. শিশু-বালিকাটির পিতা মাতার কোন শাস্তি হয় নাই। অনেকটা দেশাচার ও লোকাচারের দোষেও শিশুটির প্রাণ গিয়াচ্চে বলিয়া সমাজেরও শাস্তি পাওয়া উচিত ছিল ; কিন্তু সমাজকে শাস্তি দিবার ত কোন উপায় নাই। তাহা হইলেও, দেশের ধাৰ্ম্মিকতম ও মহত্তম লোকেরাও অনুভব করিবেন, যে, তাহার এবং দেশের অন্যসব লোকেরা—সকলেই —এইরূপ ঘটনার জন্য অল্পাধিক-পরিমাণে দায়ী। কারণ মহৎ লোকেরা ও আমরা সাধারণ লোকেরা, ষে দেশাচার ও লোকাচার, যে বাল্যবিবাহ প্রথা, স্ত্রীলোকদের সম্বন্ধে যে ধারণা, স্ত্রীদের উপর স্বামীদের “অধিকার”-সম্বন্ধে ষে ধারণা, এবং স্ত্রীলোকদের যে হীন অসহায় অবস্থা দেশে বিদ্যমান থাকায় এরূপ হৃদয়বিদারী, অরুন্তুদ, লজ্জাকর, নৃশংস ঘটনা ঘটিয়াছে, তৎসমুদ্ৰয়ের উচ্ছেদসাধনার্থ যথোচিত চেষ্টা আমরা কেহই করি নাই। অতএব অপরাধ ও লজ্জা আমাদের সকলেরই । যাহার গোড়ামির ভয়ে ৰালিকাদের সন্মতির বয়স বাড়াইতে চায় না, তাহাঙ্গের দায়িত্ব অত্যন্ত অধিক । সম্মতির বয়স বাড়াইয় দিলেই তৎক্ষণাৎ বালিকা বধূদের যন্ত্রণ, অপঘাত-স্বত্যু, আত্মহত্য ও অকাল-মৃত্যু বন্ধ হইয়া যাইবে বা কমিযে, আমাদের এমন কোন ভ্রান্ত थाब्रन नांदे । किरू toहे छू बिचान चाभाएमब्र আছে, যে, বয়স বাড়াইয়া দিলে অনতিবিলম্বে বিবাহের बहनe बांज़िरब, अवर चडि चब्रदब्रक बदवद्ब निकृष्ट्रश् इईटङ चषब्रांजक दां चाशैब्र भबनकक প্রবাসী-আষাঢ়, ১৩৩২ ২৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড গমনে কিছু বাধা জঙ্কিৰে। তাহার পিতামাত তাহাকে বিলম্বে পাঠাইবার একটা খুব ভাগৱত, যুক্তিসঙ্গত ও প্রকাগু কারণ দেখাইতে পারিৰে। এইজন্ত, যখন সম্মতির বয়সসম্বন্ধীয় বিল আবার ব্যবস্থাপক সভায় পেশ হইবে, তখন গোড়ার বাধা না দিলে দেশের কল্যাণ হুইবে । যোগেন্দ্ৰ যাহা করিয়াছে, তাহার উপযুক্ত বিশেষণ অভিধানে নাই। পশুর এরূপ কাজ করে না ; পিশাচ আছে কি না জানি না,থাকিলেও তাহারা এমন কাজ করে বলিয়া শুনি নাই। সুতরাং পাশব ও পৈশাচিক উপযুক্ত বিশেষণ নহে। যাহা হউক,উপযুক্ত বিশেষণ খুজিয়া বাহির করিবার চেষ্ট না করিয়া যাহাতে ওরূপ নরাধমের কাজ আর কাহারও স্বারা না হয়,দেশে সেইরূপ অবস্থা আনয়নের চেষ্টা সৰ্ব্বপ্রযত্বে সকলের করাই বিধেয় ৷ হইতে পারে, যে, ঠিক এইরূপ ঘটনা বিরল কিম্বা এই একবার মাত্র প্রথম ঘটিল। কিন্তু দুই-এক মিনিটে বালিকাপত্নী হত্যই হত্যার একমাত্র প্রকার নহে ; হত্যা আরও অনেক-রকমে হইয়া থাকে। অবশু ইহাও ঠিক যে, যত ৰালিকা বধূ ও বালিকা মাতার মৃত্যু হয়, তাহার অধিকাংশ মৃত্যু কেহ জানিয়া-শুনিয়া ইচ্ছাপূৰ্ব্বক ঘটায় না ; কিন্তু অকাল মৃত্যুযে-প্রকারেই ঘটুক, তাহ শোচনীয় ; তাহা মৃতের পক্ষে অবাঞ্ছনীয় এবং তাহা সমাজের পক্ষে কলঙ্কের বিষয় ও ক্ষতিকর । যত বালিকা ও তরুণীর কাপড়ে আগুন লাগাইয়া বা অন্যপ্রকারে আত্মহত্যার কাহিনী প্রকাশিত হয়, তাহার কেন-কোনটি আত্মহত্যা নহে মনে করিবার যথেষ্ট কারণ আছে । সত্য-সভ্য আত্মহত্যা বাহারা করে, তাহীদের শোচনীয় মৃত্যুর পশ্চাতে যেসব দুঃখের কথা থাকে, তাহাও সব সময় প্রকাশ পায় না। আমরা অনেকবার বলিষাছি ও দেখাইয়াছি, যে, পাশ্চাত্য, দেশে আত্মহত্যার সংখ্যা পুরুষদের মধ্যে বেশী, স্ত্রীলোকদের মধ্যে কম ; আমাদের দেশে ঠিক তাহার বিপরীত । ইহা বলিবার উদ্বেগু আৰম্ভ এরূপ নহে, যে, বাঙালী পুরুষেরা আরও বেশী করিয়া আত্মহত্যা করিস্থা এ-বিষয়ে নারীদিগকে পরাস্ত ৰকক ; উদ্বেগু এই যে, আমাদের পারিবারিক ও সামাজিক