পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩২ প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩৩২ [ ૨૮મ છiશ, ઝમ થંછ লোকেরা ট্রেন হইতে ছুটিয়া আসিল ; শীঘ্রই বাধা একটুকরা রক্তাক্ত স্বাকৃড়া তাহার হাতে একটা ভিড় জমিয়া গেল। উহারা দেখিল,—একজন লোক রক্তাক্ত-কলেবর হইয়া, অচেতন হইয়া উহাদের সম্মুখে শুইয়া আছে—মার-একটি লোক তাহাব পাশে দাড়াইয়া আছে ; একটা কাঠিতে রহিয়াছে । ভাসিলি জনতাকে নিরীক্ষণ কখ্রিয়া মন্তক অবনত করিল। সে বলিল--"আমাকে গেরেপ্তার করে। আমিই এই রেল-লাইন কাটিয়াছি।” “ সুন্দর-দূত ঐ কালিদাস নাগ ওহে চির-স্বন্দরের দুত ! চির-বিদায়ের লীলা, নিষ্ঠুর অদ্ভুত কেন বারবার তব সাথে জেগে ওঠে, ক্ৰন্দনে ভরিয়া চারিধার ? মোরা ত বেঁধেছি বাস রোদন-সিন্ধুর তটমূলে বেদনার বন্য। তাহে ক্ষণে-ক্ষণে গর্জি ওঠে দুলে, কেঁপে ওঠে বুক — জাগিভে না জাগিতেই দেখি ঘোর প্রলয় যে নামে, দিগ্বিদিকে মরণের মুখ ! তৃণসম ক্ষীণ তুচ্ছ ভঙ্গুর আরামে ছেয়েছিন্থ বাসা, জড় করি’ পিপীলিকা-প্রায় পলে-পলে স্থখ তৃপ্তি আশা ভালোবাসা— চকিতে মিলায় অতল নিরয়-তলে ; অহেতুক কাল ভূকম্পনে চূর্ণ-ধ্বংস হয় স্বষ্টিরাশি ! পূব ফেলে শুধু একমনে প্রিয়জনে বুকে নিয়ে বাহিরিয়া আসি কোনো মতে প্রাণটি রক্ষিতে ; দেখি চারিভিতে দ্বাৰানল বেড়িয়াছে মৃত্যুর প্রাচীরে, পুড়ে ছাই হই সবে—নামে শান্থি মৃত্যু-সিন্ধু-তীরে ! এসব ময়েছি মোর ; ক্রুরতম মবণের সাথে করিয়াছি পরিচয়, দেখিয়াছি, পাষাণ-হৃদয়, প্রাণের পুতলি সব ভস্ম হ’তে কাল বহ্ন্যুৎপাে তবু ধবে তুমি এলে হেথা— “জয়ী প্রাণ চিরপ্রাণ! চিরস্কন্দরের দূত আ;ি ফুকণারলে গম্ভীর নির্ঘোষে, কেন সেখা দলে দলে ছুটে গেছু ? জানে অন্তর্যামী ! ক্ষণতরে লেগেছিল ধাধা ;— কব; সত্য কেব। মিথ্যা-ধ্বংস ন ত্বটির বাণী রচেছিল বাধ। তোমার মোদের মাঝে, অবিশ্বাস আনি লক্ষ নিদর্শন তা’র ; বিচ্ছেদের রক্ত অশ্রদ্ধার অন্ধ করেছিল দৃষ্টি, বলেছিল দয়া গ্ৰেম প্রাণভর স্বটি, শুধু ছায়, শুধু মরীচিকা ! নিষ্ঠুর জীবন-নাট্যে শেষ যবনিকা দেখাইবে শেষ দীপ্তি-সাথে জয়ধ্বজা মরণেরই হাতে, মৃত্যুই একান্ত সত্য—শেষ পটে লিখা ! তুমি এলে—স্বমোহন সমুদ্রত ললাটে তোমার বহি’ নব আশী-অরুণিমা !