পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

টাকার মূল্যের তেজীমন্দাতে আমাদিগের লাভ-লোকসান ঐ নরেন্দ্রনাথ রায় তত্ত্বনিধি, বি, এ ; এফ, আর, ই, এস (লণ্ডন ) পথে-ঘাটে দেশের জনসাধারণের সঙ্গেই মিশি আর বৈঠকে পরিষদে মধ্যবিত্ত বাঙ্গালী ভদ্রলোকের সঙ্গে আলোচনা করি, সৰ্ব্বত্রই টাকার মূল্যের পরিবর্তন সম্বন্ধে দুইটি মত শুনিতে পাই। একদল বলেন, টাকার মূল্য বাড়াইয়া দিয়া গভর্ণমেণ্ট দেশের অত্যন্ত ক্ষতি করিতেছেন। আবার কেহ-কেহ বলেন "না, উহাতে দেশের মঙ্গলই হইবে।” আসল কথা, অনেকেই আর্থিক অবস্থা বিশ্লেষণ করিয়া নিছক সত্য জানিবার জন্য চেষ্টা করেন না। তাহা হইলে তাহারা দেখিতেন, টাকার মূল্য বাড়িলে কাহারও-কাহারও সাময়িক লাভ হয়, আবার কাহারও-কাহারও কিছু-দিনের জন্ত লোকসান হয়। তেমনি, টাকার মূল্য কমিলেও কাহারও সাময়িক লাভ কাহারও লোকসান হয় । টাকার মূল্যের তেজীমলাতে ভারতবর্ষের স্থায়ী লাভ-লোকসান কিছুই হইতে পারে না। শুধু চলতি অর্থের মূল্য বাড়াইয়া বা কমাইয়া একটা দেশকে স্থায়ীভাবে ধনী বা গরীব করা যায় না । দেশের সম্পদ হইল কয়ল, লৌহ, তেল, জল, উৎকৃষ্ট জমি, স্বাস্থ্য দেশবাসীর মার্জিত বুদ্ধি, চরিত্র, শিক্ষা ও কৰ্ম্মক্ষমতা ইত্যাদি। দেশের লোক যদি বুদ্ধি খাটাইয়া ওই-সব জিনিষের সদ্ব্যবহারের দ্বারা ধনবৃদ্ধি করেন তাহা হইলেই দেশ ধনী হয়। কেবল টাকার মূল্যের তেজীমলার নড়চড় করাইয়াই একটা দেশকে ধনী বা গরীব করা যায় না । আজ আমরা এই-প্রবন্ধে টাকার মূল্য বাড়িবার ও কমিবার ফলে আমাদের দেশের বাস্তবিক লাভ-লোকসান কি হয় সেই হিসাব খতিয়ানের চেষ্টা করিব । দেখা যাক টাকার মূল্য কমিয়া এক টাকায় ১৫ পেনির পরিবর্তে যদি ১২ পেনি পাওয়া যায় অর্থাৎ ১৫২ টাকায় ১ পাউণ্ড পাওয়ার পরিবর্তে যদি ২-২ টাকায় এক পাউও, *ाeब्रां यांच्च ऊांश् छ्हे८ल श्रदशीं कि इग्न । - মনে করুন, অামাদের দেশে এক বিঘা জমিতে যে পরিমাণ পাট হয় উহা বিলাতী সওদাগরগণ কিনিতে চাহেন ১০ পাউণ্ড দাম দিয়া। যখন ১৫১ টাকার বিনিময়ে ১ পাউণ্ড পাওয়া যায় তখন বিলাতী সওদাগর তাহার ১০ পাউণ্ডের সাহায্যে আমাদিগের দেশী টাকা কিনিতে পারেন মাত্র ১৫০ টাকা।. স্বতরাং তিনি এক বিঘা জমির পাটের জন্য আমাদিগের কিযাণকে ১৫৭২ টাকার বেশী দিতে রাজি হুইবেন না। কিন্তু টাকার মুল্য কমিয়া টাকায় ১৬ পেনির পরিবর্তে যদি ১২ পেনি হয়, অর্থাৎ ১৫২ টাকার বিনিময়ে ১ পাউণ্ড না হইয়া যদি ২০২ টাকার বিনিময়ে ১ পাউও হয়, তাছা হইলে বিলাতী সওদাগর তখন র্তাহার ১০ পাউণ্ডের সাহায্যে আমাদিগের দেশী টাকা কিনিতে পারিবেন ২০১২ টাকা। স্বতরাং এই পরিবর্তিত অবস্থায় তিনি ভারতীয় কিষাণকে একবিঘা জমির পাটের দাম ২০০২ টাকা পৰ্য্যস্ত দিতে রাজি হইবেন। টাকার মূল্য কমিলে আমাদের দেশে যে-সব কিষাণ পাট উৎপন্ন করেন, প্রথম বৎসরে তাহাদের খুব লাভ হইবে । পাটের চাবে খুব লাভ হইতেছে দেখিয়া যে-সব কিষাণ খাদ্য-শস্যের চাষ করিতেন তাহারা উহা ছাড়িয়া বা কমাইয়া দিয়া পাটের চাষ মুরু করিবেন। ফলে, দ্বিতীয় বৎসরে দেশে পাট উৎপন্ন হইবে বেশী। পাটের টান যদি আগের মতনই থাকে তাহ হইলেপাটের জোগান বাড়িয়া যাইবার ফলে বাজারে পাটের দাম কমিয়া যাইবে । পাটের বিলাতী গ্রাহক যখন দেখিবেন যে, বাজারে পাটের টানের চেয়ে জোগান বেশী হইতেছে তখন তিনি আর পূর্বের স্থায় একবিঘা জমির পাটের জন্ত ১• পাউও দিতে রাজি হইবেন না। তিনি হয়ত তখন উহার জন্ত মাত্র ৯ পাউও অর্থাৎ ১৮০২ দিবেন। এদিকে ধানী-জমির চাষ কমিয়া যাওয়াতে খাদ্য-শস্য উৎপন্ন হইয়াছে আগের চেয়ে কম। খাদ্য শস্যের টাল ত