পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বামুন-বাগদী ৷ ঐী অরবিন্দ দত্ত অষ্টম পরিচ্ছেদ গণপতির স্ত্রীর নাম মহামায়া । ইনিই কলিকাতার ষ্টেশনে পীড়িত হইয়াছিলেন। সাংসারিক জ্ঞান কানাইলালের আদেী ছিল না। মহামায়াকে ঘাটাল পর্য্যস্ত পৌছাইয়া দিলে যে তাহার কৰ্ত্তব্য ফুরায়, তাহ সে বুঝিয়া দেখিল না । সে তাহার মহেশ্বরী মায়ের মতন যে আরএকটি আশ্রয়স্থল পাইল, এইটাই সে বড় করিয়া বুঝিল । ভাবিয়া বসিল এই নবমাতৃ-গৃহেও তাহার বুঝি একটা অধিকার আছে। সপ্তাহ-কাল অতীত হইলেও যখন তাহার নড়িবার কোনো লক্ষণ দেখা গেল না, তখন শেষে মহামায়াই একদিন নলিনীকে ডাকিয়া বলিলেন, “দু’বেলা খালি-থালি সিধে-পাত্তর গুছিয়ে দিবি, একটু পড়াশুনা করগে না কানাই-বাবুর কাছে ?” কানাইলালের গৃহস্থালীর সহযোগী হইয় তাহার ভূত্র এবং শিষ্ট আচরণ নলিনীর বড় ভালো লাগিয়াছিল। সুতরাং তাহার নিকট পড়াশুনা করিতে নলিনীর বেশ কৌতুহল জন্মিল। কিন্তু তাহার মাতা যে ঢংএ কথাটি পাড়িলেন, তাহাতে তাহার মনে বড় আঘাত দিল ক্ষণিকের উত্তেজনায় তাহার মুখখানা কিছু লাল হইয়া উঠিল। সে কহিল, “গুছিয়ে-গাছিয়ে দিই ব’লেই কি প’ড়ে-শুনে মূল্য আদায় করতে হবে ?” মহামায়া অবাধে বলিলেন, "তিন রাত্রের বেশী একজায়গায় বাস করতে হ’লে ঐরকম একটা-কিছু হাতে না থাকৃলে উভয় দিককার মন অপরিস্কার থেকে যায় যে ” ग९गां८ब्रग्न निम्नभभडन कथाहे डिनि दलिब्रॉझिटणन ! নলিনী রাগিয়া কহিল, “তুমি অমন চেঁচামেচি ক’রে কথা ৰোলে না—শুনতে পাবেন যে ! কিন্তু তুমি একথা কেমন ক’রে মুখ দিয়ে বের করলে, মা ? ষ্টেশনে ওষুধ না পেলে যে ম'রে যেতে ? সে-কথা কি এরি ভিতর ভূ'লে গেছ ?” - भशंभायां स्कूि नब्रभ इहेष्ठ बलिटलन, “उ नग्न । বাবুটি এক-একা বসে থাকেন, পড়াশুনো নিয়ে না इब्रे দুটো গল্প কবুলি তার সঙ্গে । তোরও লাভ ; তারও লাভ * 曾 নলিনী কহিল, “সে পৃপক্‌ কথা । তা’তে ত আমি আপত্তি করছিনে। কিন্তু তোমার কথার ধরণ ধারণ দেখলে যে গ৷ জ'লে যায়।” মহামায়া আর কিছু বলিলেন না। নলিনীর মনের উত্তেজনাটা আপনা-আপনি যখন থামিয়া গেল, তখন সে বই-দপ্তর লইয়া কানাইলালের নিকট হাজির হইল। কারণ পড়িবার উৎসাহ তাহার অসাধারণ-রকম ছিল, কানাই শিক্ষক হইলে ত কথাই নাই । কানাই তখন বিছানার উপর গড়াইতেছিল। নলিনীকে দেখিয়া উঠিয়া বসিল। বলিল, “মার সঙ্গে ঝগড়া করছিলে বুঝি ?” নলিনী হাসিতে-হাসিতে গড়াইয় পড়িল । বলিল, “মায়ে-বিয়ে বুঝি ঝগড়া করে ? বেশ বুদ্ধি আপনার !" কানাই অপ্রতিভ হইয়া কহিল, “চেচিয়ে-চেচিয়ে কথা বলছিলে কিনা—তাই ।” নলিনী ব্যস্ত হইয়া জিজ্ঞাসা করিল, “আপনি সৰ শুনতে পেয়েছেন ? বেশ কান-দুটাে ত আপনার ! বলুন আমি কি বলেছি— মা কি বলেছেন ?” এই সরল জিজ্ঞাসার মধ্যেও বালিকা তাহার সন্দেহটি কাটিয়া-ছাটিয়া পরিষ্কার করিয়া তুলিৰে এই প্রলোভন তাহার মনের মধ্যে ছিল । কানাই বলিল, “তুমি চেচিয়ে-চেচিয়ে কথা বলছিলে না ? তোমার কথাটাই বেশী গুনতে পেয়েছি । মা'র কথা অত শুনিনি । হাতে কি ?”