পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&8\9 রাখিয়া তাহার তত্ত্ব-সাক্ষাৎকারের জন্য এবং শ্ৰীভগবানের সহিত, মাকুবের সহিত, জগতের সহিত, আমাদের কি সম্বন্ধ তাহা বুদ্ধিপূর্বক যথার্থভাবে বুঝিবার জন্য অস্বীক্ষামূলক দর্শনশাস্ত্রের চর্চার প্রয়োজন। তাই আমি আজ এই শুভ বাসরে অজ্ঞান-মোহ-ধ্বংসিনী অস্বীক্ষাবৃত্তিকে মাত৷ সরস্বতীর রাজহংসের শুভ্ৰ পক্ষকে আশ্রয় করিয়া আমাদের মধ্যে অবতরণ করিবার জন্য আহবান করিতেছি ; প্রবাসী—শ্রাবণ, ১৩৩২ ২৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড আবিপ্লাবিমএধি ; আপনার আপনাদের চিত্তের ঐকান্তিক জাগ্রহের দ্বারা আমার প্রার্থনা সমর্থন করুন। আপনাদের পুত সাধনা ভগীরথ-পথ প্রবৃত্ত গঙ্গাপ্রবাহের স্তায় নিৰ্ব্বাধ নিৰ্ম্মল জ্ঞান-প্রবাহকে দেশের সর্বত্র আবাহন করিয়া আহুক। আমাদের চিত্ত জাগিয়া উঠুক এবং মানুষের সর্বশ্রেষ্ঠ ধন জ্ঞান-রত্নকে লাভ করিয়া যেন আমরা ধন্ত হুই— উত্তিষ্ঠত জাগ্ৰত প্রাপ্য বরান নিবোধত । বিদায়-দিনের স্মৃতি শ্ৰী হেমচন্দ্র বাগচী সেই যে হ’ল দেখা তোমায়-অামায় বিদায়-কালে –এই স্মরণের রেখা রইল লেখা মনের কোণের জমাট স্মৃতির স্তপে । রইল চুপে চুপে ; রইল গোপন নিবিড় বেদন, সবুল নাকো বাণী— ওগো আমার রাণী ! তোমার সাড়ীর রক্ত রেখা আজ কে থেকে-থেকে আসছে যেন অনেক দূরের হেনার গন্ধ মেখে বাদল-ভেজা মেঠো পথের ব্যাকুল গন্ধ নিয়ে আমার বিধুর মনের মাঝে ওগো আমার প্রিয়ে! সেই রেখাটি আমার মনে রইল জল-জল ; তাই ত ছল-ছল অকারণেই আঁখির কোণে জম্‌ছে অশ্রধারা,— অনেক দিনের অঁাটন-বাঁধন-হারা। অনেক দুখে শোকে অশ্রু ছিল কঠিন হ’য়ে, আজ কে ত’রে রাখে সাধ্য এমন কোনো লোকের নাই । বিফল হ’ল কঠিন হওয়ার গোপন সাধনাই । হায় রে আমার বিদায়-দিনের স্মৃতি, এই কি তোমার অভিসারের রীতি ? ' এই কি তোমার ব্যথার কাটা হানা ? দিন-সাপনের গ্লানির মাঝে আসতে তোমার ছিল যে झॉछ भांनीं.! আবার কবে ভবিযুতের পথে তোমায়-আমায় ইবে দেখা—কোথায়, কেমন মতে ? কেমন ক'রে চাইবে তুমি প্রিয়, আতুর, বিধুর, আশায় ভরা, কোমল দৃষ্টি দিয়া ? কেমন ক’রে র্কাপ বে আমার বেদন-ভরা, গুম্রে-মরা হিয়া সেই বিদায়ের দিন আমার মনে রইল প্রিয়া, সুইবে যে নবীন । বইব যত কাল এই জীবনের কাদন-মাখ ব্যাকুল ব্যথার জাল— মাঝে মাঝে হেবুব তারি ফাকে অধীর স্মৃতি সেই দিদেরে কেমন গোপন রাখে আপন বুকের মাঝে ? তোমার সাড়ীর রক্ত রেখা কেমন রাগে হায় গে সেথা রাজে স্বাধীর, মেঘের গায় তড়িৎ সখি যেমন ক’রে চমক দিয়ে যায় ;– তেমনি ক’রে মোর পরাণের নিবিড়, ঘন মেঘে বিদায় দিনের স্থতির হাওয়া লেগে তোমার পাড়ের রক্তরেখা শুধুই চমক হানে । আলোর বাণী নাই যে কোথা, গুম্রে মরি প্রাণে ।