পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] দেখ আজকের দিনটি জঙ্গলে যেয়ে না। কাল রান্ত্ৰে—** - - ংশী এতক্ষণ মৃদু-মুছ হাসিতেছিল ; মুখ তুলিয়া কহিল, “তুই ভেবেছিস কি বল ত ? আমাকে বুঝি বাঘে নিয়ে যাবে ? অামি ত আর তোর মতন নই ; তুই চুপ করে দোর দিয়ে ঘরে বসে থাক। আমি আমার কাজে যাই ।” - ময়নার একটা কথা মনে পড়িয়া গেল। কহিল, “আমি একা থাকৃতে পারব না। দোর ভেঙে বাঘ বুঝি ঘরে ঢুকৃতে পারবে না ?” “দিনের বেলা ? তুই আমাকে পাগল পেয়েছিস্ যে ঘ-ত কথায় ভূলোবি ! টাকা বেশী হ’লে কেমন সোনার বাল হাতে পৰ্ববি, সুপে খাবি ; সে-তুকত ভালো হবে। সে-সব তুই বুঝ বি না, খালি বাধ, খালি বাধা ।” ময়না কহিল, “আমি সোনার বালা পৰ্বতে চাইনে । তুমি বাড়ী থাকে৷ ” বংশী কহিল, “তুই আজ ভয়ে বলছিস, চাইনে— কিন্তু সেদিন কেন বলেছিলি y” ময়না সহসা উত্তর খুজিয়া পাইল না । বংশী তাঙ্গর মুগের দিকে একবার চাহিয়া উঠিয় পড়িল। লাঠিখানা, একটা উচু পাথরেব গায়ে ঠেসান দিয়া রাখিল । ক্রা’র পর মাথায় একটা পাগ উী বধিতেবাধিতে কহিল, “তুই ভাবছিস্ কেন ময়না । ঠিক সন্ধ্যেয যদি আমি এই বাড়ী ফিরে না আসি তবে তখন বলিস। তোর যদি এক থাকতে ভয় করে, মনিব-বাড়ী য। না, কাজকৰ্ম্ম ক’রে পেয়ে-দেয়ে আসিস। সন্ধ্যেবেলা তুই ফিরে দেখ বি, আমি এসে তোর আগেই ঘরে বসে আছি ।” ময়ন। অনেক অম্বনয় করিল, কিন্তু বংশী কোনো কথাই কানে তুলিল না। তাহার প্রবল ইচ্ছার নিকটে ময়নার সমস্ত ক্ষুদ্র যুক্তি ব্যর্থ হইয়া গেল। ময়নাকে মনিব-বাড়ীর কাছাকাছি পৌছিয়া দিয়া বংশী আর-একটা পথ ধরিয়া চলিয়া গেল। যাইবার সময় কছিল, “সন্ধ্যেবেলা ঠিক আসৰ, তোর ভয় নেই।” 8ھ نے سے وخ ۹ পাৰ্ব্বতীর প্রেম QW。 ময়না পথের উপর চিত্ৰাপিতের স্তায় দাড়াইয়া সুজল নয়নে স্বামীর পানে চাহিয়া রহিল। & যখন বংশীর দীর্ঘ দেহ ঘন বনের আড়ালে অদৃপ্ত হইয়া গেল,তখন সে একটা নিঃশ্বাস ফেলিয়া মনিব-বাড়ীর । দিকে চলিল । কিরণ ময়নাকে দেখিয়াই ব্যাপার অনুমান করিলেন। জিজ্ঞাসা করিলেন, "আজকেও তুমি যে ! সে নবাব সাহেবের হয়েছে কি ?” - আজ ময়নার হাসিখুসি ছিল না। বিষঃ-নতমুখে কহিল, “জঙ্গলে গেছে—” . o ঘরের ভিতর হইতে ঐশচন্দ্র সকল কথা শুনিতেছিলেন, ময়নার কথা শেষ হইবার আগেই তিনি কহিলেন, “বেটার প্রাণে ভয়-ডরও নেই। সারা পাহাড় বাঘে হাক দিয়ে বেড়াচ্ছে—আজও গেছে সেই জঙ্গলে কাঠ কাটুতে। ফিরে এলে হয় ।” ময়না সকল কথা ভালো বুঝিল না ; কিন্তু একটু যাহা বুঝিল, তাহাতে তা’র বুক কাপিয়া উঠিল, শুল্কমুখে জিজ্ঞাস করিল, “মা, বাবু কি বললেন " দরিদ্র রমণীর এই প্রশ্ন কিরণের কানে অসঙ্গত ঠেকিল কহিলেন, “সব কথা আব শু’নে কাজ নেই, কাজ করগে যাও।” একটা অনিদিষ্ট আশঙ্কার বোঝা বুকে বহিয়া ময়না কাজ করিতে লাগিল। সন্ধ্যার সময় কিন্তু তা’র মন বাড়ী ফিরিবার জন্য উতলা হইয়া উঠিল । বংশী সন্ধ্যার পরে আসিবে, আসিয়া খাইতে পাইবে না, তাও কি হয় ? আজ সারাদিন এদিকে বাঘের সাড়া-শব্দ পাওয়া যায় নাই ; বাঘ সম্ভবত অন্য পাহাড়ে সরিয়া পড়িয়াছে, এই ভাবিয়া ময়ন সাহস সঞ্চয় করিল। কিরণের কাছে গিয়া কহিল, “আমি এবার বাড়ী যাই, মা ।” কিরণ কহিলেন, “যাও, কাল থেকে একেবারেই যাবে। তোমাদের নিয়ে আমাদের মতন লোকের চলে না । কেবলি নিজের স্বখ নিয়ে ব্যস্ত, আমাদের কাজ কখন করবি বল ।” আজই আপিসে শ্ৰীশচন্দ্র বদলি-মঞ্জুরের পত্র পাইয়াছেন। কিরণ-বালার মন বেশ খুশী হইয়াছে। এই