পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

☾Ꮤ%8 প্রবাসী—শ্রাবণ, ১৩ং২ { ২৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড তাহার কাছে যাইবেই এ-বিষয়ে যেন ময়নার মনে কোনো ংশয় রহিল না ।

  • 穆 鬱 嶺 聯

রাঙাপানির ডাকবাংলায় শ্ৰীশচন্দ্র সপরিবারে আসিয়া পৌছিলেন। তখন সন্ধ্যা হইয়াছে। দুইখানি গোরুর গাড়ী ; একখানায় শ্ৰীশ, কিরণ ও খুকী । অন্তটিতে জিনিষপত্র লইয়া ময়না। গতকল্য র্তাহারা তুরা ছাড়িয়া বাহির হইয়াছেন । বাংলার সম্মুখে গাড়ী থামিলে সকলে নামিলেন । আপিসের একজন চাপরাশীও সঙ্গে আসিয়াছিল, সে বৃদ্ধ হিন্দুস্থানী চাকুরি ছাড়িয়া দেশে ফিরিয়া যাইতেছে । দুর্গম পথে ভাগকে সার্থী পাইয়া কেরানী-পরিবার খুলী হইয়াছিলেন । সে পশ্চাতেব গাড়ী হইতে নামিয়া আসিয়া সংবাদ দিল, ময়না অমুস্থ হইয়। পড়িয়াছে। শ্ৰীশ আতঙ্কিত হুইয়া কছিলেন, “কি হয়েছে ?” হিন্দুস্থানী বৃক্ষতলে অঙ্গুলী নির্দেশ করিল। সেইখনে তাহারা ময়নাকে নামাইয়াছিল। ময়ন মাটিতে লুটাইয়া পড়িয়াছে। তাহার কলের হইয়াছে। আসন্নমুতু্যর সমস্ত চিহ্ন তাহার দেহে ফুটিয়া উঠিয়াছে। শ্ৰীশ দূব হইতে চাহিয়া দাড়াইয়া বঙ্গিলেন। অবশেষে কিরণের ডাকে তাহার চৈতন্য হইল । কিরণ কহিলেন, “চ’লে এস বাংলার ভিতবে । চাপ রাশাকে কাছে থাকৃতে ব’ল দাও।” গোরুর-গাড়ীর চারিজন লোক ও চাপরাশীর হাতে মৃত্যুপণ যাত্ৰিণীকে সমর্পণ করিয়া শ্ৰীশ স্ত্রী-কন্যাসহ বাংলায় প্রবেশ করিলেন । কিরণ ষ্টোভ জালিয়া রন্ধনের জোগাড় করিলেন। একজন গারো রমণী বাহিরে পড়িয়া মরিতেছে ; কিন্তু তাহাতে কি ? সেষ্টজন্য কিরণ স্বামী বা কন্যার আরামের আয়োজন না করিয়া থাকিতে পারেন না । ঘরের পোষা কুকুর-বিড়ালটা মারা গেলে আমরা আচার-নিদ্র ত্যাগ করি না । কিরণের কাছে এক্ট দরিদ্র পাহাড়ীরা কুকুর-বিড়ালের চেয়ে উপরে নয় । তিনি কেবল ভাবিতেছিলেন, আবার উfহাকে চাকরের কষ্ট পাইতে হইবে । বান্তিরে উজ্জল জ্যোৎস্না উঠিয়াছে। শীতের মেঘহীন আকাশে অগণ্য তারা ফুটিয়াছে। রাত্রি নিস্তন্ধ ; কেবল অদূর-প্রবাহিনী গিরিনদীর মৃদু-কলতান শুনা যাইতেছে । ময়না আস্তে-আস্তে সংজ্ঞাপূন্ত হইয়া পড়িতেছিল। তবু একবার জোর করিয়া সে চোখ খুলিয়া চারিদিকে চাহিল ; জড়িতস্বরে কহিল, “সন্ধ্যে-বেলা আসবে বলেছিলে, কিন্তু অনেক রাত হ’য়ে গেছে। ভাত ত রাধী হয়নি।” ময়নার মৃত্যু ছায়াছন্ন নয়নে স্বামীর মূৰ্ত্তি ফুটিয়া উঠিয়াছিল। ওদিকে বাংলার ভিতরে কিরণের রন্ধন সমাপ্ত হইল । খুকী ঘুমাইয় পড়িয়াছিল। ঐশ আহারে বসিলেন, কিন্তু কিছুই খাইতে পারিলেন না। কোনোমতে আচমন করিয়া বিছানায় শুইয়া পড়িলেন । কিরণ র্তাহার আহার সমাপ করিয়া জিজ্ঞাস করিলেন, “একবার খোজ নেবে না ?” ঐশ বিরস-মুখে কছিলেন, “ওতে গেল ব’লে, কি আর খোজ নেবো ?” জিজ্ঞাস করিতে ভয় হইতেছিল, পাছে তাহারা ব’লে সত্যই মরিয়াছে । কিরণও শুইয়া পড়িলেন ; কিন্তু কাহার ও ঘুম আসিতেছিল না । কডক্ষণ পরে কথা-বাৰ্ত্তার শব্দে দুই জনেরক্ট ত গুণ টুটিয়া গেল । শ্ৰীশ চমকিয়া শয্যায় উঠিয়া বর্সিলেন । জানালাটা খুলিয়া দেখিলেন, নদীতীরে চিন্তা জলিতেছে । আকাশের খানিকট অংশ ও পরপায়ের বন চিভালোকে উজ্জল দেখাইতেছে । শ্ৰীশ কহিলেন “শুনছ—? ওরা আগুন দিচ্ছে ।" কিরণ কথা কহিলেন না । পুর্কীকে বুকে টানিয়া ঘুমাইয়। পড়িলেন । " 職 氰 轟 聯 ভোরবেলা তুর নগরী তখনও কুয়াসার আড়ালে অfরামে নিদ্রামগ্ন । কেবল সাহেবের চাপ রাশা মান্না দুগ্ধপাত্র হস্তে গয়লা-বাড়ীর দিকে ছুটিয়াছিল। ঘন কুয়াস ; কোলের মানুষ চেন যায় না। মান্না তাড়াতাড়ি ছুটিতেছে, পাছে সাহেবের চা তৈরি করিতে বিলম্ব ঘটে, এই ভয় ছিল । এমন সময় একজন তাঙ্কার উপরে আসিয়া পড়িল । “কে আরে, চোখে দেখতে পাসনে নাকি ?” শিয়রের