পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(շԳԵր প্রবাসী—শ্রাবণ, ১৩৩২ [ ২৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড কিন্তু বাড়ীর মধ্যে মুসলমানকে প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে কেমন করে’ ধনিষ্ঠার এই কথাটুকু মনে পড়ল না যে মেচ্ছ গৌরীকে যদি বাড়ীর মধ্যে আনতে পারা গিয়ে থাকে তবে একজন মুসলমানকেও অনায়াসেই প্রবেশাধিকার দিতে পারা যায়। এই-সমস্ত সমস্তার কোনো স্বমীমাংসা করতে না পেরে ধনিষ্ঠা স্থির করলে,সে-ই নিজে গৌরীর উচ্ছিষ্ট পরিষ্কার করবে এবং তার পরে স্বান করে” গঙ্গাজল স্পর্শ করবে। তাই যখন রাধুনী বামুন গৌরীর ভাত দিতে এল, তখন ধনিষ্ঠা নিজে তার জন্ত স্বতন্ত্রভাবে নির্দিষ্ট আসন-বাসন এনে পেতে নিজেই তাকে খাওয়াতে বসূল । किहूभाज विशा इंडखङ ना करग्र' थनिर्छ cशौर्ब्रौष्क খাওয়াতে বসল দেখে অনলের যেমন বিস্ময় হ’ল, তেমনি श्रांनमe इ'ण ; cन cश्रोब्रौव्र छTाठे, cश्रौद्रौ खाद्र श्रउि প্রিয় ভাই অনিলের একমাত্র কন্য, অনিলের স্মরণচিহ্নের অবশেষ-কণিকা, তার উচ্ছিষ্ট ছুয়ে তাকে খাইয়ে দিতে অনল যে কতখানি বিত্র ও নিৰ্ম্মমভাবে ইতস্তত করেছিল, তা এখন ধনিষ্ঠার অতি সহজ নিঃসঙ্কোচ ভাব দেখে তার স্মৃতিতে অতি অশোভনভাবে পুনরুদিত হ’ল এবং নিজের আচরণের জন্ত সে এখন অত্যন্ত লজ অনুভব করতে লাগল। অনল এই মনে করে” কথঞ্চিৎ সাত্বন পাবার চেষ্টা করলে যে, সকল ভেদ ও বাধা তুলে একেবারে নিঃসম্পৰ্কীয় পরকে আপনার করবার ক্ষমতা আছে কেবলমাত্র মায়ের জাত মেয়েদেরই। কিন্তু ধনিষ্ঠা যে কত চিন্তার পর কোন কোন কারণে জাতের ও স্পৰ্শ-দোষের সঙ্কোচ কাটিয়ে উঠতে পেরেছিল সেই মনস্তত্ত্ব বিশ্লেষণ করে” দেখার কথা অনলের একবারও মনে হ’ল না। গৌরী যে ধনিষ্ঠার কাছে মায়ের আদরযত্ন পেয়ে স্বখে-স্বচ্ছদে থাকৃশ্বে সে-সম্বন্ধে সংশয়শূন্ত হয়ে' অনল নিশ্চিন্তমনে কাছারীতে চলে গেল। কেন যে এই অস্পৃশু গৌরীকেই বিশেষ করে ধনিষ্ঠ। তার সমস্ত মাতৃস্নেহু ঢেলে দিচ্ছে, তার রহস্ত ভেদ করার কথা তার মনেও এল না । গৌরীকে খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে স্নান-আহ্নিক সেরে ধনিষ্ঠার নিজের খেয়ে উঠতে একেবারে অপরাহু হ’য়ে গেল। ধনিষ্ঠ মনে-মনে স্থির করলে, কাল থেকে খুব ভোরে উঠে স্নান-আহ্নিক সেরে গৌরীর ও অনলের আগমনের জন্ত প্রস্তুত হ’য়ে থাকুবে । রোজ-রোজ লেখাপড়া কামাই করা ত তার চলবে না। th ( ক্রমশ: ) আনন্দ-লহরী ঐ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মাতৃত্বের যে অংশ শরীরগত এবং সন্তানপালনের সঙ্গে জড়িত, মোটের উপরে সেট ইতর প্রাণীদের সঙ্গে অভিন্ন। সেটা সাধারণ জীবন্থটির পধ্যায়ভুক্ত, তাতে মাছুষের স্বষ্টিশক্তির স্বকর্তৃত্ব নেই, তাতে প্রকৃতির দূত প্রবৃত্তিরই শাসন । কিন্তু মাতা যখন ভাবী কুমারের জন্তে তপস্ত করেন, স্বাভাবিক প্রবৃত্তিগুলিকে সংঘত করে” শরীরের ক্রিয়ার উপর মন ও আত্মার কর্তৃত্বকে প্রতিষ্ঠিত करबन, डथनरै cगü यथांर्ष ॐांब्र ऋटेिलङिब्र चशैौन इग्न । আজকাল পাশ্চাত্য দেশে অনেক সময়ে দেখা যায়, মেয়ের মাতৃত্বের মধ্যে হীনতা অনুভব করে, অর্থাৎ মেয়েদের উপর প্রকৃতির জবরদস্তিকে তারা অপমানকর বলেই জানে। কিন্তু এই অপমান থেকে রক্ষা পাবার উপায় মাতৃত্বকে পরিহার করে নয়, মাতৃত্বকে আপন কল্যাণঅভিপ্ৰায়ের সঙ্গে সঙ্গত করে তাকে আত্মশক্তির দ্বারা নিয়মিত করা। প্রাচীন ভারতে স্থলভান লাভের সেইরূপ একটি সাধনা ছিল, তা যথেচ্ছকৃত ব্যাপার ছিল না। সেই সাধনা বর্তমান বিজ্ঞানের নিয়মান্থমোদিত কি না সে প্রশ্ন বিশেষভাবে জিজ্ঞাস্ত নয়,—কিন্তু এই আত্মসংযত