পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

. ১ম সংখ্যা রবীন্দ্রনাথের বাণী । 84 মতে তাক্টিয়ে রয়েছেন, কবে কোন দিন কোন শুভক্ষণে ঠার দিকে চোখ পড়ে।” তাই ত কবি গাছিয়াছেন :– cइ "अस्वरप्लग्न थन তুমি যে বিরহী, তোমার শূন্ত ভবন। আঁধার ঘরে তোমায় আমি একা রেখে দিলাম স্বামী কোথায় যে বাহিরে আমি ঘুরি সূৰ্ব্বক্ষণ । আমাকে ন হইলে ধে তার চলে না । তাই ত কবি গাহিয়াছেন :– তাই তোমার আনুস্থ আমার পর, তুমি তাই এসেছ নীচে, অfমায় নইলে ত্ৰিভুবনেশ্বর তোমার প্রেম হবে যে মিছে। অনন্ত অপার সম্ভোগের বস্তু, কবি নিত্য অঙ্গুক্ষণ তাহী সম্ভোগ করিয়া গাহিয়া উঠিয়াছেন—সে গান কত বিচিত্র • হইয়। ধ্বনিত হইয়। উঠিয়াছে—সেই মিলনের ভিতর কবির এ অভিজ্ঞতা লাভ হইল যে জীবাত্মাই যে বিরহী—জীবের প্রাণই যে অব্যক্ত ক্রদনে কাদিতেছে তা নয়, পরমাত্মাই छौtवद्र क्षलग्न ४ाशेवांद्र छछ छिद्र विब्रशै। इद्देभ्राहें चारद्र-दाcब्र ঘুরিয়া বেড়াইতেছেন । প্রেমের নিয়মই, এই প্রেম প্রতিদান চায়— আমরা ভগবানের জন্ত কাদিয়া মরি, আমাদের প্রাণ হাহাকার করিয়৷ কঁাদে, তার কি কঁদে না ? তিনি যে আমাদের প্রেম হাত পাতিয়া ভিক্ষা করিতেছেন,—দিলে কৃতাৰ্থ হন,এই হইল তার স্বষ্টির আনন্দ—পরিপূর্ণ আনন্দের এইটুকু অভাব আছে—আমাকে নইলে সব বৃথা । রবীন্দ্রনাথের কবিতার ভিতর এই কণী দিন-দিন স্বল্লুটতর হইল। বৈষ্ণব-কবিদিগের ভিতর ভগবানের সঙ্গে জীবের প্রেমের লীলার অনেক বর্ণনা আছে । ভক্তের ভগবান, ভক্তের দাস ভগবান কোলের শিশু-ভগবানের সঙ্গে কত মধুর লীলা বৈষ্ণৰ কবিরা বর্ণনা করিয়াছেন, কিন্তু এমন করিয়া নিষ্ফল অবৰ্ত্ত স্বষ্টি না করিয়া, মোহের মত্ততা রচনা না করিয়া,এমন সহজ স্বন্দর স্বাভাবিক ভাবে ভগবানের প্রেমের লীলাকে বর্ণনা করিয়াছেন। রবীন্দ্রনাথ কি আশার বাণী—কি চিত্ত-উন্মাদিনী বাণী ঘোষণা कब्रिब्रां८छ्न- * -“দেবি ! অনেক ভক্ত এসেছে তোমার চরণতলে অনেক অর্ঘ্য আনি । sk আমি অভাগ্য এনেছি বহিয়া নয়নজলে - - ব্যর্থ সাধনখানি ।” জগত সিদ্ধির গৌরব ঘোষণা করিয়াছে, কিন্তু কবে এমন করিয়া ব্যর্থ সাধনার গৌরব গাহিয়াছে ! চিত্তে যে প্রসন্ন সংকল্প যে নীরব ভাষা লুকাইয়া আছে, তাহাও বিফলে যাইবে না, তারও মূল্য আছে! কার কাছে ? যিনি হৃদয়বিহারী তার কাছে । সৰ্ব্বশেষে রবীন্দ্রনাথের ধৰ্ম্মোপদেশ ও তত্ত্ব-কথার বিষয় ছু এক কথা বলিয়া আমার বক্তব্য শেষ করিব। “শাক্তি নিকেতন” নামে রবীন্দ্রনাথের - যেসকল ধৰ্ম্মোপদেশ প্রকাশিত হইয়াছে, তাহা পাঠ করিয়া বুঝা যায়, রবীন্দ্রনাথ কেবল কবি ও সঙ্গীতজ্ঞ নহেন তিনি তত্ত্বজ্ঞানী ও উচ্চদরের দার্শনিক পণ্ডিত । এমন সহজভাবে এমন গভীর ধৰ্ম্মকথা বড় বিরল । একাধারে, একজনের ভিতর, এতগুলি শক্তির সমাবেশ কি সহজে দেখা যায় ? রবীন্দ্রনাথ ললিত-কলার একজন শ্রেষ্ঠ সাধক । ছবি ও গান-সম্বন্ধে জাপানের প্রসঙ্গে লিখিয়াছেন – “ছবি জিনিষটা হচ্চে অবনীর, গান জিনিষটা গগনের ; অসীম যেখানে সীমার মধ্যে সেখানে ছবি—অসীম যেখানে সীমু-হীনতায় সেখানে গান। কবিতা উভচর-ছবির মধ্যেও চলে, গানের মধ্যে ও উড়ে । কেননা কবিতার উপকরণ হচ্চে ভাষা। ভাষার একটা দিকে অর্থ, আরএকটা দিকে স্বর, এই অর্থের যোগে ছবি গ’ড়ে উঠে— মুরের যোগে গান ।” এই কথাগুলি পড়িয়া, আমার নিকট রবীন্দ্রনাথের একটা গানের অর্থ পরিষ্কার হইয়া গেল : “দাড়িয়ে আছ তুমি আমার গানের ওপারে, আমার মুরগুলি পায় চরণ, আমি পাই না তোমারে ।” এই গানের প্রকৃত অর্থ বুঝিবার জন্ত আমি অনেক চেষ্টা করিয়াছি অর্থাৎ স্বর জিনিষটায় অনন্তের আভাস আছে—গানের কথাগুলি যা ব্যক্ত করে, তা’র চেয়ে গানের স্বর অনেক অধিক প্রকাশ করে। কবির হৃদয় যাহা ধারণ। করিতে পারে না, যাহা তিনি ভাষায় ব্যক্ত করিতে অঙ্কু ,