পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

و\موR) ভরণপোষণ ও শিক্ষাবিধানার্থ বন্ধুবর্গের সতি একটি প্রতিষ্ঠান স্থাপন করিয়াছিলেন । পূর্বেই উল্লিখিত হইয়াছে, যে, তিনি খুব দাতা ছিলেন । দান মুক্তহস্তে করিতেন । এইপ্রকার দয়ার্ক্সচিত্ত দাতাদের দান কথন-কখন অপাত্রে পড়িয়া থাকে। চিত্তরঞ্জন নিজেও তাহ জানিতেন । কিন্তু তাহার দান কখণ-কথন অবিচারিত হইলেও তিনি গান্ধীজিকে বলিয়াছিলেন, যে, তাহাতে র্তাহার কোনও ক্ষতি হয় নাই। দয়ালু লোকেরা কখন-কখন ন্যায়পরতার দাবী ভুলিয়া যান। এরূপ বিশ্বতি দেশবন্ধু দাশ মহাশয়ের কখন হইয়াছে কি না, তাহার বন্ধুরা তাহ বলিতে পারিবেন। চিত্তরঞ্জন কবি ছিলেন । বিলাত হইতে আসিবার পর তিনি “মালঞ্চ” নামক একখানি কবিতার বহি প্রকাশিত করেন। তাহার অনেক পরে “সাগরসঙ্গীত” প্রকাশিত হয়। গদ্য রচনাওঁ তাহার অভ্যস্ত ছিল । কিন্তু আইনের ব্যবসায় তাহাকে সাহিত্য-সেবায় বেশী অবসর দেয় নাই ; নতুবা বাংলা-সাহিত্যে তাহার স্থান উচ্চতর হইতে পারিত। মামুষের হৃদয়মনের উপর তঃহার প্রভাব কিরূপ অস|ধারণ ছিল, সে বিষয়ে তাহার মৃত্যুর পূৰ্ব্বে তাহার আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব এবং সহকৰ্ম্মীদেরও সম্যক ধারণ ছিল না— অল্প লোকদের ভ ছিলই না । এই অসামান্ত প্রভাবের ও লোকপ্রিয়তার কারণ নির্ণয় করিবার সময় এখনও আসে নাই ; এখন কেবল ইহাই বক্তব্য, যে, এদেশে কখনও কোন নৃপতি, সম্রাটু, সাধু, ধৰ্ম্মসংস্থাপক, রাষ্ট্রীয় প্রচেষ্টার নেত, লোকহিতসাধক বা অন্য কাহারও অস্ত্যেষ্টিক্রিয়-উপলক্ষে লক্ষ-লক্ষ লোক এমন করিয়া শবাস্থগমন করে নাই । এত বড় ও এত বেশী শোকসভাণ্ড কাহারও জন্ত হয় নাই । ভারতবর্ষের সূৰ্ব্বত্র তাহার জন্য শোক প্রকাশিত হইয়াছে । ভারতবর্ষের বাহিরে বহু দূর দেশেও তাহার জগু শোক প্রকাশিত হইয়াছে স্বদেশবাসী বা প্রবাসী ভারতীয়েরাই যে শোক করিয়াছেন, তাহা নহে ; ভিন্ন জাতীয় সরকারী ও বেসরকারী অনেক লোকও দুঃখ প্রকাশ করিয়াছেন । র্তাহার সম্বন্ধে সম্যক্ প্রত্যক্ষ জ্ঞান না থাকায়, তাহার বিষয়ে যাহা লেখা উচিত ছিল, যেমন করিয়া লেখা উচিত প্রবাসী—শ্রাবণ, ১৩৩২ [ ২৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড ছিল, তাহা পরিলাম না । আমরা তাহার সদগুণাবলীর জন্য র্তাহার প্রতি শ্রদ্ধান্বিত এবং উrষ্ঠার স্বদেশ প্রীতি ও মানব-প্রেমে আমরা যেন অকুপ্রাণিত হইতে পারি, এই আকাঙ্ক্ষ পোষণ করি । চিত্তরঞ্জন দাশের স্মৃতিরক্ষা ফণ্ড, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের স্মৃতি-রক্ষার জন্য প্রস্তাব হইয়াছে, যে, তাহার বাসগৃঃটি ঋণমুক্ত কংিয় তাহাতে নারীদের জন্য একটি ঠাসপাতাল প্রতিষ্ঠিত ও রক্ষিত হুইবে, এবং তথায় নারীদিগকে শুশষার কার্য্য শিক্ষা দেওয়া হইবে । র্তাহার বাড়ীটি এইরূপ কাজের জন্যই তিনি দান করিয়া গিয়াছিলেন । কিন্তু তাহার যে ঋণ আছে, তাহা শোধ না করিলে বাড়ীটি ব্যবহার করিতে পাওয়া যাইবে না। বাড়ীটি বিক্ৰী করিয়া ঋণ শোধ করিলে লক্ষাধিক টাকা উদ্ধৃত্ত থাকিবে বটে, কিন্তু বাড়ীটি হস্তাস্তরিত হইয়। যাইবে । এই জন্য শ্ব’তরক্ষা-সমিতি যে-প্রস্তাব করিয়াছেন, তাই বেশ সমীচীন । নৃনিকল্পে দশ লক্ষ টাকা অবিস্তক হইবে, অমুমিত হইয়াছে । উদ্দেশ্য বিবেচনা করিলে ইহা মোটেই বেশী } উদ্দেশ্যটি এরূপ, ধে, ইহাঙ্গে কোন ধৰ্ম্ম-সম্প্রদায় ব। রাজনৈতিক দলের আপত্তি হইবে না ; এবং ইহা রাজনৈতিক নহে বলিয়। গবর্ণ মেণ্টের কৰ্ম্মচারীদেরও ইহাতে টাক দিতে কোন বাধা হইবে না । বেসরকারী দেশী লোকদের স্মৃতিরক্ষার জন্য বাংলাদেশে এপর্য্যন্ত প্রস্তাব ও কমিটি-নিয়োগ বিস্তর হইয়াছে ; কিন্তু খুব কম স্থলেই কাৰ্য্যতঃ কিছু হইয়াছে। এইজন্য ইতিমধ্যেই ২ি৯ আষাঢ় ১৩৩২ ] যে দেশবন্ধুর স্থতিরক্ষার জন্য ৪,১০,১৯৩২ উঠিয়াছে, ইহা খুব স্বলক্ষণ এবং তাহার লোকপ্রিয়তার বিশেষ পরিচায়ক । ভারত-সচিবের মুখত গত ৩০শে জুন লগুনে সেন্টাল এসিয়ান সোসাইটির ভোজের পর ভারত-সচিব লর্ড বার্কেলহেড একটি বক্তৃতা