পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(tసెశి হইবার ৬০ বৎসর পরেই এই বৎসর তথায় প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি সম্পত্তি ও শিক্ষা-নিৰ্ব্বিশেষে ব্যবস্থাপক সভাদিতে প্রতিনিধি-নিৰ্ব্বাচনের অধিকার লাভ করিয়াছে। ইংরেজরা ভারতবর্ষকে সব সে সেরা বানাইবার জন্ত আনিদিষ্ট দীর্ঘকালের জন্য তলোয়ারের জোরে উহার ঘাড়ে চড়িয়া থাকিতে চায় ; ভারতীয়ের এঙ বড় অরুতজ্ঞ ও অবুঝ, যে, তাহারা এমন মহৎ উদ্বেপ্তের জন্য জন্মজন্মান্তরে ইংলণ্ডের ক্রীতদাস হইয়া থাকিতে চায় না। লর্ড বার্কেনৃহেড ভুলিয়। যাইতেছেন, যে, চিরদাসত্ব, চির-অসহায়ত, চিরপরমুখাপেক্ষিতা সাময়িক (কিংবা দীর্ঘকালব্যাপী ) অরাজকতা অপেক্ষ অবাঞ্ছনীয় হইতে পারে। মানুষ যতদিন পরমুখাপেক্ষী ও পরাধীন থাকে, ততদিন তাহার মহুৰ্য্যত্বের পূর্ণ বিকাশত হয়ই না, বরং তাঙ্গার অধোগতিই হইতে থাকে। যে নিজের জন্য ভাবিবার ও নিজের দরকারী কাজ করিবার স্বযোগ পায় না, বা বাছাকে নিজের জন্ত ভাবিবার ও কাজ করিবার প্রয়োজন হইতে অব্যাহতি দেওয়া হয়, তাহার চিন্তাশক্তি ও কর্মশক্তি বৃদ্ধি না পাইয়া কমিতে থাকে। তাহার প্রতিভা নষ্ট হয়, তাছার সাহস কমিয়া যায়, তাহার উদ্যোগিতা ও কণিষ্ঠতা হ্রাস এবং পরিণামে লোপ পায়। ভারতবর্ষে আল্লাধিক-পরিমাণে এইসব কুফল ফলিয়াছে । অরাজকতার নানা দুঃখ ও দোষ বর্ণনা করা বাহুল্য মাত্র। কিন্তু উহা দাসত্ব, অধীনতা ও পরমুখাপেক্ষিতা অপেক্ষ একটি বিষয়ে শ্রেষ্ঠ। মাছুষ যখন দেখে, যে, তাহাকে রক্ষা করিবার জন্য, তাহার নিমিত্ত ভাবিবার জন্য কেহ নাই, তখন হয় তাহাকে মরিতে হয়, নতুবা স্বাবলম্বনপূৰ্ব্বক নিজেই উপায় চিন্তা ও স্থির করিয়া আত্মরক্ষায় প্রবৃত্ত হইতে হয়। এইঙ্গগু দাসত্ব অপেক্ষা অরাজকতা মহুষ্যত্বংরক্ষণের, চিন্তাশক্তি কৰ্ম্মশক্তি ও সাহস-সংরক্ষণের অধিক হযোগ দিতে পারে। অতএব, লর্ড বার্কেমূহেড ও উহার মতাবলম্বী ইংরেজের ভাবিয়া দেখিবেন, যে, ভারতীয়দের মধ্যে যাহার। মাচুৰ হইতে ও থাকিতে চায়, তাহারা ইংরেজের তলোয়ারের রক্ষাধীন চিরদাস থাকা অপেক্ষ जब्राछकङाहे वांश्नौञ्च भtन कब्रिप्ड *ॉप्ब्र-अब्रजिकडांब्र ভয় তাহাজের কাটিয়া ধাইতে পারে। প্রবাসী—শ্রোবণ, ১৩৩২ [ ২৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড -- তলোয়ার ও অহিংসা যাহার। অহিংস আন্দোলন ও অসহযোগ দ্বারা স্বরাজ লাভ করিতে প্রয়াসী, লর্ড বার্কেনহেড যেন ঠিকৃ তাহদিগকেই লক্ষ্য করিয়া বলিতেছেন, “তোমাদের অহিংস অসহযোগ আছে, আমাদের আছে তলোয়ার ; তলোয়ারের দ্বারাই আমরা চিরকাল প্রভুত্ব করিব। দেখি তোমরা কি করিতে পার ।" এ খেন ঠিক অসহযোগীদিগকে দ্বন্দ্বযুদ্ধে আহবান । ভারত-সচিবের বাহবাস্ফোটে ভারতীয়েরা অহিংস যুদ্ধে আরও উৎসাহে প্রবৃত্ত হইবেন কি না, ভাবিয়া দেখুন। অধীনতাটা যাহাদের সম্পূর্ণ গী-সহা হইয়। গিয়াছে, তাছারা ভিন্ন আর সকলেই দাসত্ব-মোচনের চেষ্ট৷ করিবেন না কি ? কিন্তু তলোয়ারের বিরুদ্ধে মরিচ।-ধরা তলোয়ার কেহ ভুলিয়া না ধরিলেই ভাল হয় । কেন না, অযথেষ্ট বলপ্রয়োগ দমন করা ইংরেজের পক্ষে, অহিংস প্রতিরোধ দমন করা অপেক্ষ সঙ্গজ হুইবে । “ঐতিহাসিক দায়িত্বের বোঝা” ভারত-সচিব এই আর-একটা কথা বলিয়াছেন :-- . “No uman was entitled to -inak as a representative of Britain, and the momentary frustee of India—whether labourite, Liberal or 'onservative who would no find himsels in a 110sition in which it was possible for him to liquidate the obligatious of history with honour.” তাৎপর্যা। "শ্রমিক, উদারনৈতিক বা রক্ষণশীল, কোন ইংরেজ যেप्रtणब्रहे हसैन, शनि डिनि मtन न कtब्रब, cय, ॐाझांब viएक धेडिशंfनक দায়িত্ব ঋণ শোধ করা সম্ভব, তাহা হইলে ব্রিটেনের প্রতিনিধি বা ভারতবর্ষের বর্তমান-ক্ষণের অছি-স্বরূপে কথা বলিবার ঠাহীর কোন अधिकांग्न मांझें ।।' বার্কেমূহেড বলিতে চান, যে, ভারতবর্ষ ও ইংলণ্ডের সম্মিলিত ইতিহাস হইতেই উদ্ভূত কতকগুলি দায়িত্বের ভার ংলণ্ডের ঘাড়ে চাপিয়াছে ; ইংরেজরা সেইসব দায়িত্ব পালন করিতে অঙ্গীকারবদ্ধ ; এবং এই অঙ্গীকার-পালনরূপ ঋণ শোধ করিতে তাহারা বাধ্য। ভারত-রক্ষা ঐক্লপ একটি দায়িত্ব। ভারতসচিবের মতে ভারত-রক্ষার জন্ত ব্রিটেনই এক দায়ী এবং এই দায়িত্বপালন তাহাকে একাই করিয়া চলিতে হুইবে । যাহাদিগকে নিজেদের স্বfর্থসিদ্ধি ও প্রভূত্ব রক্ষার জন্তু বিদেশী জাতিসকলকে পরাধীন রাখিতে