পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্য: ) এইরূপ কোন আইন দ্বারা বালিকাদের রক্ষা একাত্ত चांदधुंक to 拳 নারীরক্ষণ সমিতি ब्राहैदैनऊिक चां८मांजरमब्र ऐंग्रामना वफ़ cरुनै । ऎश প্রবল হইলে মানুষের শক্তি ও দান প্রধানতঃ উহার সাহায্যার্থই ব্যয়িত হয়। প্রবল রাষ্ট্রনৈতিক আন্দোলন ও প্রচেষ্টার প্রয়োজন অস্বীকার করিবার জন্য ইহা বলিতেছি . না ; উহার প্রয়োজন স্বীকার করি। কিন্তু ইহাও বলিতে চাই, অন্ত অত্যাৰঙ্গক কাজও করা চাই । অসহযোগ আন্দোলনের প্রাদুর্তাবের সময় লোকহিতকর অনেক কাজের জন্ত লোক ও টাকা পাওয়া যাইত না । তৎপরবর্তী সময়ে স্বরাজ্যদলের নেতা ও উপনেতারা যখন যে-কাজের জন্ত টাকা চাহিয়াছেন, পাইয়াছেন ; কিন্তু তাহার রাজনৈতিক কাজ ভিন্ন অন্য কাজে হাত দেন নাই বলিলেও চলে। গ্রামের জীবন আবার বিকশিত করিবার ও গড়িয়া তুলিবার সঙ্কল্প তাহাদের ছিল, হয়ত এখনও আছে ; কিন্তু কাজে এখনও কিছু র্তাহার করেন নাই। তাহারা পারিবারিক, সামাজিক ও জাতীয় জীবনের মূলবিনাশক একটি জিনিষের প্রতি, যে কারণেই হউক, মন দেন নাই। যাহারা মন দিয়াছেন, তাহারা প্রধানতঃ অঙ্ক দলের লোক। এইজন্য দুবৃত্ত লোকদের অত্যাচার হইতে নারীদিগকে রক্ষা করিবার নিমিত্ত অনেক দিন হইল যে নারীরক্ষা সমিতি গঠিত হইয়াছে, তাহার লোক-বল ও অর্থবল এপর্য্যস্ত যথেষ্ট হয় নাই । তৎসত্ত্বেও ইহা এপর্য্যস্ত যাহা করিতে সমর্থ হইয়াছে, তাহ অতীব প্রশংসনীয়। বাংলা খবরের কাগজ খুলিলেই কোথাও-না-কোথাও নারীর উপর অত্যাচারের কাহিনী দৃষ্টিগোচর হয়। ছৰ্বতদের দমন হওয়া একান্ত আবশ্যক। তাহদের জন্য গ্রামে সকলধৰ্ম্মাবলম্বী লোক লইয়া গঠিত সাহসী কৰ্ম্মীর দল চাই। তদ্ভিন্ন ছবুতদের বিরুদ্ধে মোকদম চালাইবার জন্ত টাকা চাই। নারীদের উপর অত্যাচার হইলে তাহার উপর তাহারা আবার জাতিচু্যতিওসমাজচ্যুতিরূপ সাতিশয় অন্যায় ও অমান্থধিক সামাজিক শাস্তি যাহাতে না পান, তাহার ব্যবস্থা চাই। নারীরা যাহাতে ঘরের বাহিরে আসিলেই লজ্জায় ও ভয়ে জড়সড় হইয় পড়া-প্রযুক্ত আত্মরক্ষার চেষ্টা করিতেও অসমর্থ না হইয়া পড়েন, এরূপ শিক্ষা ও অভিজ্ঞতার্তাহাদিগকে দিবার জন্য সামাজিক ব্যবস্থা চাই । মুসলমান সম্প্রদায়ের কোন-কোন কাগজ এই মিথ্যা ধারণা জন্মাইতেছেন, ষে নারীরক্ষা সমিতি কেবলমাত্র হিন্দুদের একটি প্রতিষ্ঠান এবং মুসলমানদের শক্ৰতা করা উহার উদ্দেশু। ইহা ভ্রান্ত ধারণা। এই সমিতির সভ্যদের মধ্যে মুসলমান আছেন, কৰ্ম্মীদের মধ্যে মুসলমান আছেন, এবং ইহা অত্যাচারিত মুসলমান নারী ও বালিকারও পক্ষ বিবিধ প্রসঙ্গ—কচুরীপানা ও গ্রিফিথ সের ঔষধ Nben অবলম্বন করিয়া তাহাজের উপর অত্যাচারকারী লোকদের বিরুদ্ধে মোকদ্দমা চালাইয়াছেন। এরূপ ভ্রান্তধারণা পোষণ করা ও উৎপাদন করা অত্যন্ত দুঃখের বিষয়। পৃখিবীব্যাপী বিপ্লব লর্ড মলীর মত লর্ড বার্কেনহেড ত বলিয়া চুকিয়াছেন, যে, ইংরেজ মানসনেত্রে দৃশ্যমান কোন স্থদুর ভবিষ্যতেও ভারতের অছিত্ব ও কল্যাণ করিতে ছাড়িবে না । অল্প দিকে সোভিয়েট, রুশিয়ার নেতা জিনোভিয়েফ বলিতেছেন, চীন ও মরোক্কোতে যাহা ঘটিতেছে তাহা ভাবী জগদ্ব্যাপী বিপ্লবের ক্ষুদ্রায়তন রিহাসাল মাত্র ; চীন ও মরোক্কোর ব্যাপারের পরিণাম হুইবে প্রাচ্য সব দেশে ও ভারতবর্ষে সোভিয়েটু গবর্ণমেণ্ট । জিনোভিয়েফ বলেন, পাশ্চাত্য দেশে বিপ্লব-প্রচেষ্টা মন্থরগতিতে চলিতেছে বটে, কিন্তু প্রাচ্যে তাহার কতবিস্তার দ্বারা ক্ষতিপূরণ করিয়া লওয়া যাইতেছে । ভারতে সোভিয়েটের চর আছে কি না, ও থাকিলে তাহারা কি করিতেছে, জানি না । কিন্তু ইহা সহজবোধ্য যে, যে-দেশেই গরীব দুঃখী ও নিম্নশ্রেণীর লোকদের উপর কোনপ্রকার অত্যাচার আছে,সেখানেই রুশিয়ার বিপ্লবচেষ্টা ফলবতী হইবার সম্ভাবনা আছে । আমাদের দেশে কোন-রকম অত্যাচারেরই অভাব নাই । অতএব সময় থাকিতে আমাদের সাবধান হওয়া উচিত, এবং জাতিধর্শ্ববর্ণ-নির্বিশেষে সামাজিক ও আর্থিক অবস্থা-নির্বিশেষে, সব মানুষের সহিত মন্থয্যোচিত সহৃদয় ও শিষ্ট ব্যবহার করা উচিত। নতুবা রুশিয়ায় অভিজাত ও সন্ত্রান্তশ্রেণীর এবং বুদ্ধিজীবী মধ্যবিত্ত শ্রেণীর যে দুঃখ-দুর্দশা হইয়াছে, এদেশের ঐ-ঐ শ্রেণীর লোকদের তাহা হওয়া অসম্ভব নহে। কচুরীপান ও গ্রিফিথসের ঔষধ পূৰ্ব্ববঙ্গে ও মধ্যবদে কচুরীপানায় নদী, খাল, বিল, পুকুর আচ্ছন্ন হইয়া পড়িতেছে। এই পানার উচ্ছেদের উপায় নির্ধারণ করিবার নিমিত্ত বাংলা গবর্ণমেণ্ট আচাৰ্য্য জগদীশচন্দ্র বস্থর নেতৃত্বে এক কমিটি নিযুক্ত করেন। গ্রিফিথ সূ-নামক দক্ষিণ আফ্রিকার একজন লোক বলে, যে, সে উহা বিনাশ করিবার ঔষধ জানে ; তাহাকে এক লক্ষ বা এরূপ বেশী কিছু টাকা দিলে সে উহার উপাদানও প্রস্তুত করিবার প্রণালী গবর্ণমেন্টকে বলিয়া দিবে। বস্থ মহাশয় পরীক্ষা করিয়া বলেন এবং কমিটির অধিকাংশ সভ্য তাহাতে সায় দেন, যে, ঐ ঔষধের কচুরীপান নষ্ট করিবার ক্ষমতা নাই। তথাপি গৰণমেণ্ট, ঐ ঔষধ প্রয়োগ করিয়া পান বিনাশের চেষ্টা করেন। এক্ষণে বলিতেছেন, যে, উহা অকেজো জিনিষ । জাগেই