পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] ক্ষুধিতর্কে অন্নদান, বিপক্সের সাহায্য, পীড়িতের চিকিৎসা ও শুশ্ৰুষা, অজ্ঞের শিক্ষা ব্যবস্থা প্রভৃতি নানাবিধ উীয়ে অর্থশালী খ্ৰীষ্টীয় ধৰ্ম্মপ্রচারকগণ নিরন্থ, রুগ্ন, আৰ্ত্ত, নিরক্ষর ও অসংহত হিন্দুজাতিকে স্বধৰ্ম্মে দীক্ষিত করিতেছেন। মুসলমান সঙ্ঘবদ্ধ, তাহার ধৰ্ম্মবন্ধন শিথিল নহে স্বতরাং যদিও অধ্যাত্মতত্বে ইসলামধৰ্ম্ম হিন্দুধর্মের ন্যায় অগ্রসর নয়, তথাপি খ্ৰীষ্টধর্শের প্রবল আক্রমণ তাহার আত্মরক্ষার দৃঢ় প্রাচীর ভেদ করিয়া মুসলমান সমাজের বলক্ষয় করিতে পারে নাই। f:M\fí proselytizing নহে, অর্থাৎ অস্তধৰ্ম্মের পরাভব দ্বারা আত্মমত প্রচার করায় তাহার উৎসাহ নাই ; যদিও বা কেহ-কেহ হিন্দুধর্মের মাহাত্ম্য কীৰ্ত্তনে আগ্রহবনি থাকেন, বিধৰ্ম্মীকে হিন্দুধৰ্ম্ম গ্রহণ করিতে কেহই উপদেশ দেন না ; এমন-কি, যদি কেহ এরূপ ইচ্ছুক থাকে, তবে হিন্দুসমাজ তাহাকে গ্রহণু করিতে পরায়ুখ হয়। রাজকীয় প্রসাদলাভাশায় মুসলমান-রাজত্বে অনেক উচ্চশ্রেণীর হিন্দু স্বেচ্ছায় মুসলমান ধৰ্ম্ম গ্রহণ করিয়াছে, রাজঞ্জাতি তাহাদিগকে উচ্চপদে বরণ করিয়া সম্মান দান করিয়াছে। কিন্তু যে রাজপুতানার ক্ষত্ৰবীৰ্য্য মুসলমানে কন্যাদান করিতে বিমুখ হয় নাই এবং মোগল সম্রাটদিগের দক্ষিণ বাহুস্বরূপ পরিগণিত হইভ, সায়ণ-মাধবের স্মৃতিবিজড়িত যে সমৃদ্ধ বিজয়নগর সাম্রাজ্য আকবরের সমসাময়িক কালে তুঙ্গভদ্রা হইতে সমগ্র দক্ষিণাপথের বিশাল ভূভাগে বিস্তৃত ছিল, ঔরঙ্গজীবের-“পাৰ্ব্বত্য মুষিক” ছত্রপতি শিবাজীর গৈরিক কেতন যে বিস্তীর্ণ ভূখণ্ডে উড্ডীন হইত, ইহার কোন পরাক্রান্ত হিন্দুরাজ্যেই একটি মুসলমানকেও হিন্দুধৰ্ম্মে গ্রহণ করা হইয়াছে, ইতিহাসু তাহার সাক্ষ্য দেয় না। বস্তুতঃ হিন্দু কেবল বর্জন করিতেই জানে, গ্রহণ করিতে পারে না । হিন্দু অপর-একটি কারণেও ধৰ্ম্মান্তর গ্রহণ করিয়াছে, তাহা সৰ্ব্বাপেক্ষা শোচনীয়। কালাপাহাড়ের দেবমূৰ্ত্তিধ্বংস প্রবণতা তাহাকে যে অগৌরবের অমরত্ব প্রদান করিয়াছে, তাহার মূলে হিন্দুসমাজের প্রতি কোন দারুণ বিদ্বেষ ও প্রতিহিংসা-প্রবৃত্তি লুক্কায়িত ছিল, এ-বিষয়ে थळनिउ क्चिमडौब्र भ्रूण किङ्ग नङा निश्ऊि शाकांग्रहे হিন্দুর ধৰ্ম্মাস্তুর গ্রহণ & P عصصتصقا সম্ভব। কথিত আছে, অনিচ্ছাকৃত মুসলমান-সংশ্ৰবজনিত অপরাধ হেতু, পুনঃপুনঃ কাতর প্রার্থনা সত্ত্বেও অহুদার হিন্দুসমাজ তাহাকে পুনরায় হিন্দুসমাজে গ্রহণ করিতে অস্বীকৃত হইলে, শিক্ষিত শাস্ত্রজ্ঞ ব্রাহ্মণতনয় কালাপাহাড় হিন্দুর প্রধান তীর্থস্থানের দেবমূৰ্ত্তিসমূহ ধ্বংস করিতে কৃতসঙ্কল্প হয় । আমার স্বগ্রামের ইতিহাস হিন্দুসমাজের কাপুরুষোচিত সঙ্কীর্ণতা-সম্বন্ধে সাক্ষ্য প্রদান করে। নদীমাতৃক পূৰ্ব্ববঙ্গে মেঘনার একটি ক্ষুদ্র শাখার তীরে এই গ্রামটি অবস্থিত। যখন আরাকান দেশীয় মগ দস্থ্যগণ মেঘনার ক্ষুদ্র-ক্ষুদ্র শাখাগুলি বাহিয়া উভস্থ পার্শ্বস্থ গ্রামের তটভাগ লুণ্ঠন করিয়া চলিয়া যাইত, তখন এই গ্রামের নদীকূলে কয়েকঘর ব্রাহ্মণ বাস করিত। গ্রামের মধ্যে অবস্থিত হিন্দুদিগের পক্ষে পলায়ন যতটা সহজসাধ্য ছিল, তটভূমির সন্নিহিত উক্ত ব্রাহ্মণদিগের পক্ষে অতর্কিত আক্রমণ হইতে আত্মরক্ষণ ততটা স্বকর না হওয়ায়, তাহাদিগকে মগের উৎপীড়ন কিযুৎপরিমাণে সহ করিতে হইত। দক্ষ্যগণ চলিয়া গেলে, পলায়নপর গ্রামবাসীরা ফিরিয়া আসিয়া ঐ হৃতসৰ্ব্বস্ব ব্রাহ্মণপরিবার-কয়টিকে “একঘরে” করিয়া তাহাদের বীরত্ব প্রদর্শন করে এবং তদবধি ঐ-কয়ঘর ব্রাহ্মণ “মগী ব্রাহ্মণ" নামে পরিচিত হইয়া জল অনাচরণীয় হইয়া থাকে। ঈদৃশ অমুদারতার ফলে,তাহারা যে মুসলমান হইয়া যায় নাই, ইহাই আশ্চৰ্য্য। শুনা যায়, বিগত মপ লা বিদ্রোহের সময় বহু ংখ্যক হিন্দুকে বলপূৰ্ব্বক মুসলমান ধৰ্ম্মে দীক্ষিত করা হইয়াছে এবং যদিও হিন্দুর বিবেক এখন এতটা উদ্বুদ্ধ হইয়াছে যে তাহাদিগকে স্বধৰ্ম্মে পুনগ্রহণের কথা উঠিয়াছে, তথাপি ভ্রাবিড় দেশে অস্পৃশু বিচার এত তীক্ষ যে, সেখানে এই প্রস্তাব সামান্যমাত্রই কার্ধ্যে পরিণত হইতে পারিয়াছে। বস্তুতঃ মহন্ধদ গজনী ও মহম্মদ ঘোরীর আমল হইতে টিপুস্বলতানের কাল পৰ্য্যস্ত কত হিন্দু যে, অনিচ্ছায় স্বধৰ্ম্ম বিসর্জন দিয়া হিন্দুসমাজের জাতি ক্ষয়কর অনুদার অন্ত্রশাসনের ফলে চিরকালের জন্ত ধর্শ্বাস্তুর গ্রহণ করিতে বাধ্য হইয়াছে, তাহার ইয়ত্তা নাই। হিন্দুধর্মের অপরিণামদৰ্শিতা ও সঙ্কীর্ণত আজিও হিন্দুসমাজের কি সৰ্ব্বনাশ সাধন করিতেছে, বাংলা সাপ্তাহিকু