পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

.১ম সংখ্যা ] हैश्टबन जबर्डहन निवाब्रट्नब चरछ शशमान द्रष्क्त्र মাঝখানে যে দুখানি শরা উবুড় ক’রে টাডিয়ে দেওয়া হয়েছিল তা’র একখানার খানিকটা , ভেঙে গেছে। কিন্তু সেই বিত্র পুরাতন আলনার উপরে শোভা পাচ্ছে, ধবধবে ধোয়া জরির বুটিদার ঢাকাই কাপড়ের একটি পিরান, জরি-পাড় একখানি ধুতি ও জরি-পাড় একখানি রেশমী চাদর। ভাঙা দেরাজের উপরেও সাজানো আছে আতর গোলাপজল ল্যাভেণ্ডার পমেটম পাউডার আর এলেনুসের বিবিধপ্রকারের শিশি-কোঁটা । এই ঘরটিতে দারিদ্র্য ও ঐশ্বৰ্য্য অভাব ও বিলাসিত যেন গলাগলি হ’য়ে বিরাজ করছে— এ যেন আলো ও ছায়ার অপূৰ্ব্ব রহস্যময় খেলা । হঠাৎ সেই ঘরে এসে প্রবেশ করলে একটি যুবক। তা’র বয়স একুশ-বাইশ বংসর হবে । চেহারা দেখলেই বুঝতে পারা যায় যে, ছেলেটি আগের বর্ণিত স্বালকটিরষ্ট বড় ভাই ; এরও গায়ের রং উজ্জল-গৌর, তপ্ত-কাঞ্চনের মতন ; কিন্তু এই যুবার সঙ্গে পূৰ্ব্বেক্ত বালকের চেঙ্গারার মধ্যে বিশেষ-একটা পার্থক্যও প্রথম দর্শনেই চোখে পড়ে— এই যুবকের দেহ বলিষ্ঠ উন্নত স্বগঠিত পেশীপুষ্ট, মুখে পৌরুষ ও দৃঢ়তার সহিত কোমলতার ছাপ দেদীপ্যমান ; তা’র বেশভূষায় যত্নমাত্র নেই—তা’র মাথার চুল স্বভাবকুঞ্চিত কিন্তু আঁচ ড়ানো নয়, তা'র কাপড় ছেড়া,মোট এবং Hদ্য-ধোয়াও নয়,ক্টোচার কাপড়টাতেই তা’র দেহু আবৃত। সেই যুবা ঘরে এসে দাড়াতেই তা’র ছায়া বালকের সম্মুখস্থ পণে প্রতিবিম্বিত হ’ল ; ঘরে লোক আসার পায়ের শব্দ গুনে ও দর্পণে আগস্তুকের প্রতিচ্ছায় পড়তে দেখে বালক একটু বিত্রত ও লজ্জিত হ’য়ে বিচিত্রকারুকার্য্যময় টেড়ি রচনার দুশ্চেষ্টা থেকে প্রতিনিবৃত্ত হ’য়ে আগন্ধকের দিকে iখ ফিরিয়ে দেখলে । আগন্ধক-যুবক ভ্রাতার বিব্রত মুখ ও অসমাপ্ত প্রসাধনকে উপেক্ষ ক'রে ব্যস্তভাবে বললে—অনিল, শিগগীর এস, মা তোমাকে ডাকৃছেন••••••••• মুখ বিরস ক’রে অনিল বিরক্তস্বরে কেবল বললে— ६ोंछिह-•••••••• যুবক আগের মতন ব্যস্তভাবেই বললে—জার দেরি नकैफठझ AMMMAMMAMMMAMMMAMMMAAAA ۹ون করবার সময় নেই অনিল, মার অবস্থা খুব খারাপ হ’য়ে এসেছে• • • • • • छूमि শিগগীর এস- • • • • • এই কথা বলতে বলতে যুবক ঘর থেকে স্ক্রতপদে বেরিয়ে চলে গেল। অনিল মুখ বিকৃত ক’রে ক্ষিপ্র-হস্তে টেড়ি-রচনা সমাপ্ত করতে প্রবৃত্ত হ’ল । তা’র সমস্ত মনটাই যেন আবার প্রসাধনের দিকে ঝুকে পড়ল। যুবক অনিলের ঘর থেকে বেরিয়ে যে-ঘরে গিয়ে প্রবেশ কবৃলে সেখানে দারিত্র্যের ও দুঃখের একাধিপত্য। তাদের ভীষণ ক্রকুটির উপর স্বথ ও সচ্ছলতার স্নিগ্ধহাসি কোথাও এতটুকু রেখাপাত করতে পারেনি। একখানি জীর্ণ তক্তপোষের উপর সামান্ত ছিন্ন মলিন শয্যায় শুয়ে আছেন একজন মুম্ষু মহিলা ; তার বয়স যে কত তা তার চেহারা দেখে আন্দাজ করা কঠিন ; তাকে যুবতীর মমী বলাও চলে, আবার জরাজীর্ণ বৃদ্ধ বলাও চলে। র্তার দেহ শুষ্কশীর্ণ ; দারিদ্র্যের দুর্ভাবন ও অনশনের অত্যাচারে প্রাণ যেন বহু দিন সে জীর্ণ আবাস ছেড়ে গেছে। কিন্তু এখনও তাকে দেখলে বুঝতে পারা যায় যে এককালে তার এই মৃতপ্রায় দেহে কি অনুপম সৌন্দৰ্য্য ও লাবণ্য ছিল । যুবক ঘরে এসে দেখলে,মা নিম্পদ হয়ে শুয়ে আছেন, জীবিত কি মৃত অনুমান করা যায় না । সে ভয় পেয়ে তাড়াতাড়ি তার কাছে গিয়ে মুখের উপর ঝু”কে প'ড়ে নাকের কাছে হাতের উন্টাপিঠ পেতে নিশ্বাস পড়ছে কি ন, পরীক্ষা করতে লাগল ; পুত্রের হাত মাতার মুখে ঠেকে যেতেই মা চম্কে উঠে চক্ষু ঈষৎ উষ্মীলিত ক’রে অতি ক্ষীণশ্বরে জিজ্ঞাসা করলেন—কে ? অনিল ? প্রাণের সাড়া পেয়ে যুবকের মুখ-চোখ উজ্জল হ’য়ে উঠ ল ; সে মাতাকে জীবিত দেখে আশ্বস্ত ও প্রফুল্ল হয়ে বললে—না মা, আমি অনল । মা আবার জিজ্ঞাসা করলেন—অনিল কি বাড়ীতে নেই ? অনল কি উত্তর দেবে ভেবে ইতস্ততঃ কবৃছিল । যেন প্রশ্নটা এড়াবার জন্তই সে মার শষ্যার পাশে মাটিতে ব’সে, একটা ভাঙা পাথর-বাটিতে মকরধ্বজ ও মৃগনাভি বেদানার রসের সহিত একটা জাতির ডাটি দিয়ে মাড়তে