পাতা:প্রবাসী (প্রথম ভাগ).djvu/১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

や 沙 প্রবাসী এ ছাড়া, হেমচন্দ্র বণিক কলকলঙ্ক ছিল । উপবীতধারী বা ক্ষণের ন্যায়, বালক হেমচন্দ্র সরস্বতীর সেবা করিত । যেখা:ে সামবেদ উদা দ্য অনুদান্ত স্বfরতের মনোঙর ঋঙ্কারে উচ্চাfীত হইত, সেখানে মগ্ন, অলীক, স্তষ্ঠিত হইয়া, দাড়ায় থাকিত । রাজসভায়, যখন রাজা নূতন শ্লোক, নুতন কবিতা, নূতন কাব্যরচনাকারী ও আরস্তিকারী সমবেত বিপ্রম গুলীকে পারিতোলিক বিতরণ করিতেন, সে সময়ে, চন্দ্ৰম গুলসন্নিহিত নক্ষত্রের ন্যায়, সঙ্গাস্য-বদনে কৌতুক দেণিত; জন্মাষ্টমী, দোলপূর্ণিমা, রাধাষ্টমী উপলক্ষে, যখন মথুরার পাণ্ডার রাত্রি জাগিয়া গান গাইত তখন তাহাদিগকে উংকোচ প্রদান করিয়া, বালক হেমচন্দ্র তাহাদিগের দ্বারায় স্বরচিত সঙ্গীত গাওয়া ঠত, ও nেই ঐকতানিক সঙ্গীত-সাগরে দেহ-মন-আয়া ভাসাইয়া, মুষ্টি গান সঙ্গীত হইয়া, অতুলা আনন্দ উপভোগ করিত। একমাত্র পুত্র বলিয়া হেমচন্দ্র পিতার বিরাগভাজন হয় নাই ; কিন্তু সে বুঝিতে পারিত তাতার ঈদৃশ আচরণে পিতার চিন্ত মৰ্ম্মাচত । শ্ৰেষ্ঠী> ত্বরে, রাজসভায়, রাজেtথানে, কোন বণিকপু একুস্থার বিবাহোৎসবে, কোন নিমন্ত্রণ স্থলে -কোন আনন্দ-পর্বের উপলক্ষে, যখন তাতার সমবয়স্ক প্রৌঢ় বণিকের শ্বেরমুখ হয়। চন্দনদাসকে বলিত, "আর নয়, শাসন করা উচিত তোমার পুত্র মথুরার বণিকসম্প্রদায়ের নাম ডুবাইতে বসিয়াছে।” তখন লজ্জ-পেদ আশঙ্কা জজরিত চনদনদ{স, গৃহে প্রত্যাগত চইয়৷ ভাৰ্য্যাকে বলিত, “আর ময়, সৃষ্টিণি ইগর প্রতাকার করা আবশ্যক।” দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ § § প্রতিকার কে করিবে ? হাঃ, মৰ্ত্তো কি এ ব্যাধির ঔষধs · বা চিকিৎসা আছে । যখন কারণ-বারিধির উপকূলে বসিয়া, হিরণ্যগৰ্ভ বিরাটপুকয, অস খ্য অসংখ্য জীবপুঞ্জকে স্প জন করিয়া চন্দ্রলোকে, বুধলোকে, শনৈশ্চ ে, মত্তা লোকে প্রেরণ করিতে আরম্ভ করিলেন, তখন কবির আত্মা পৃথিবীতে আসিতে অতিশয় অসম্মতি ও বিরক্তি প্রকাশ করিল। এক কথায়, সে বাকিয় বসিল আর নারাজ চইয়া বলিল, “আর সব কর ঠাকুর কিন্তু মনুষ্যলোকে [ ১ম ভাগ । আমাকে পাঠাইও না। সেখানে দুঃখ আছে, দরিদ্রত আছে, শোক আছে ব্যথা আছে, বিরক্তি আছে, নিন্দ আছে, গ্লানি আছে কটাক্ষ আছে, ক্রোধ আছে, বিদ্রুপ আছে ঘুণ আছে, সে স্থানে আমি যাইব না।” বিধাতা তখন ঈষৎ হাস্ত করিয়া বলিলেন, “যাও বৎস। তোমার সঠিত এক অদ্ভূত অসাধারণ সামগ্ৰী দিতেছি। ইঠা সৰ্ব্ব স্ত্রণানিবারক। ইহার নাম জিদ । ইহার বলে তুমি সুণা, ক্রকুট, শোক, মোহ দুঃখ, দারিদ্র্য, সকল ব্যাধি হইতে মুক্ত হইবে, ও চিরপ্রফুল্প, সদানন্দ থাকিবে, মৃত্যু ও তোমাকে বিভীমিক দেখাইতে পারিবে না ।” কবি তখন সম্মত হইয়া বলিল, “হণ ঠাকুর যাইব ।” বালক কবি হেমচন্দ্রকে শ্রেষ্ঠিদম্পতি অনেক সমঝাইলেন, অনেক বুঝাইলেন । “কবিতা, দোহা গান শ্লোক রচনা করা বিপ্রোচিত কাৰ্য্য। উক্ত বণিকপুত্রের অবিধেয় ৪ অনধিকার চচ্চা । উহাতে লক্ষ্মী ছাড়ে ও শনৈশ্চরের অশুভ দৃষ্টি হয়।" বৃথা ! বৃথা । বরং চন্দ্র গ্রহকে বলিতে পার “দেব তুমি মেদিনী-চক্র-পরিভ্রমণ পরিত্যাগ কর।” সুধাকর তোমার বচনে কৰ্ণপাত করিলেও করিতে পারেন ; কিন্তু কবিকে কবিতা ও কল্পনার রাজ্য হইতে নিৰ্ব্বান্তি করিবার চে; করিও না । অগ্নিতে ঘৃতাহুতি দিলে যেমন অগ্নি দাউ, দাউ করিয়া জলিয়। উঠে, পিতামাতার অনুরোগে ও উপদেশে কবিতার প্রতি হেমচন্দ্রের অনুরাগ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাইতে লাগিল । সে কখন নন্দগ্রামে গিয়া, কখন সিরিগোবদ্ধনে, কখন গোকুলে কখন পরিহিত-নীল-মেপলা মথুরার রাজোঠানে বসিয়া, গাথা, কবিতা, শ্লোক, ছন্দ, সঙ্গীত রচনা করিত। কবি-প্রতিভার বিশেষত্ব এই যে তাহ আঘাত প্রাপ্ত হইলে পুরুভূজের দ্যায় সমধিক শ্ৰীসম্পন্ন হয়। আমার এক বন্ধু টেনিসনের সম্বন্ধে বলিয়াছিলেন, “Tennyson was no poet. He was a fraud upon the people”—“টেনিসন কবি ছিলেন না । সাধারণ জনসমাজের উপর তাহার কবি-আখা প্রতারণার জালস্বরূপ ছিল ।” অবহু তোমরা তাহার “Tue poeu”* AASAASAASAASAASAA AAAS T L TT TMAMSMAAA AAAA S S * * -v.

  • ः कति ।