পাতা:প্রবাসী (প্রথম ভাগ).djvu/১০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

& প্রবাসী ও ধূলি বৃষ্টির সঠিত মিশিয়া পড়ায় রক্তবৃষ্টির উৎপত্তি স্তয় আলি ও একটি কারণে রক্তসৃষ্টি হয় । কোন ও কোন ও জলাশয়ে একপ্রকার অতিক্ষুদ রক্তবর্ণ উদ্ভিদ জন্মে। জলশয়ের উপর দিয়া প্রবল চক্রবাত বা মূর্ণিবায়ু প্রবাষ্ঠিত চলে এক্ট ক্ষুদ্র উদ্ভিদ গুলি আকাশে উন্নীত হয় । পরে বষ্টিসগুলোগে পড়িলেই লোকে বলে রক্তবৃষ্টি হইয়াছে । ঘূর্ণিবায়ুর বেগ ও শক্তির কথা সকলেষ্ট অবগত আছেন । যখন বড় বড় গাছ উrার দ্বারা সমলে উৎপাটত ইয়া দূরে নিক্ষিপ্ত ষ্টতে পারে, তখন উক্ত জলাশয়ের উপর দিয়া গেলে যে কতকগুল হুক ও মংস্যকে উড়াইয়া লইয়। যাইবে, ইত আশ্চর্যোর বিষয় । । এষ্ট কারণেই ভেক ও মংস্যবৃষ্টি হয় । কলকারখানা তে উত্থিত ধূম ও কয়লার গুড়া বৃষ্টির সঙ্গি"ত মিশ্রিত হওয়ায় হ’ল গু কখন কখন মসীরষ্টি হুইস্তে ও দেখা গিয়াrছ । ༣ ྋ ༢༥ যথেষ্ট পরিমাণে লবণ খাইতে না পাইলে গোর গুৰ্ব্বল ও অসুস্থ হইয় পড়ে । কোন কোন শিল্পজাত দ্রব্যের লবণের প্রয়োজন । কিন্তু লবণের উপর শুল্ক থাকায় আমাদের দেশের গরিব লোকেলাই যথেষ্ট পরিমাণে নন গঠতে পায় ন}, উৎপাদনে ও গোরকে দে ওয়া ত দুরের কথা । এই গণণমেণ্ট অনেক বৎসর ধরিয়া এরূপ কোন প্রক্রিয় উদুলিনের চেষ্টা করিতেছেন, যার লবণকে মানুষের অর্থাপ্ত করা যায়, অথচ অদ্যালু কাজে লাগাইতে পারা যায় । লবণ খুব কমমূলে বিক্রীত হইতে পারে। ১৬ বৎসর পূৰ্ব্বে ও ভারত বর্ণমেণ্ট প্রচার করেন যে মিনি লবণের "অস্বাভাবিকীকরণ” (denaturalisation) *** Ff TS পরিবেন, তিনি পাচন্তাজার টাক। পুরস্কার পাইবেন । আমরা যতদূর জানি, কেহ এপন ও এই পুরস্কার পান নাই । পুরস্কারযোগ্য হইতে হইলে উদ্ভাবিত প্রক্রিয়টির নিম্নলিখিত গুণ থাকা চাই- ১ ) কোন মানুষ উক্ত প্রক্রিয়া দ্বার বিষ্কৃত লবণ ব্যবহার করিলে এরূপ অসুবিধায় পড়িবে, যে সে বরাবর উহা ব্যবহার করিতে পারিবে না । ( ২) কেহ অসাবধান হইয়া ঐ বিকৃত লবণ থাইলে বা ভাল লবণের . সঠিক.মিশাইলে তাঙ্গার প্রাণহানির সূচ্যবন! থাকিবে না। ਾ তাঙ্গ চলে এই [ ১ম ভাগ । (৩) বিরুত লবণ খাইয় গবাদি পশু কোনপ্রকারে অসুস্থ ব। দুৰ্ব্বল হইবে না । ( 4 ) বিকৃত লবণভক্ষক গবাদির দুগ্ধ বা মাংস মানুষের অবাবতার্য হইবে না। (৫ ) প্রক্রিয়াটির খরচ মণকরা চারি আনার অধিক হইবে না । (৬) দেশী লবণপ্রস্তুতকারীরা সাধারণ কোন উপায়ে বিকৃত লবণ হইতে মানুষের ব্যবঙ্গরোপযোগ লবণ বাড়ির করিতে পরিবে না । লবণ বিকৃত করিবার জন্য এপর্যন্ত যত চেষ্টা হইয়াছে, তাঙ্গর বৃ স্তান্ত ভারতগবর্ণমেণ্টের নিকট আবেদন করিলে পাওয়া যায়। ゾ উপকথাতত্ত্ব l উনবিংশ শতাব্দীকে বিশেম করিয়া বিজ্ঞানশতাব্দী বলা হইয়াছে । এষ্ট শতাব্দীতে বিজ্ঞানের চচ্চ যথেষ্ট হইয়াছে এবং নানা প্রকারের অভাবনীয় আবিষ্কার ও হইয়াছে । মানব প্রত্যঙ্গ নতম মৃতম প্রাকৃতিক তথ্য অবগত হইয়াছে। তাতার ফলে আমরা এখন সৃষ্টি সমষ্টির মত স্ত্র বিশদরূপে উপলব্ধি করিতে পারিতেছি । আমরা অল্প এমন একটি বিজ্ঞানের আলোচনা করিব, যাঙ্গ এক শতাব্দী পূৰ্ব্বেশতাব্দী কেন, ৩০ বৎসর পূৰ্ব্বে গু--বিজ্ঞান বলিয়। গণা ছিল না। যদিও যুরোপে এবং আমেরিকায় তাহার চচ্চ। এপন নিতান্ত অল্প নহে, তথাপি আমাদের দেশে আজ এই বিংশ শতাব্দীর প্রারস্থে ও অনেকে এই বিজ্ঞানের অস্তিত্বের বিষয় ও সমাক জ্ঞাত নহেন । উংকৃষ্টতর নামের অভাবে ইহাকে উপকথাতত্ত্ব (Folklore) বল। যাইতে পারে। ইহ। সাধারণ মানবতত্ত্বের একটি বিভাগ। প্রায় ১৭ বৎসর পূৰ্ব্বে ইংলণ্ডের কবি আলেক্জাগুৰু পোপ লিখিয়াছিলেন - The proper study of mankind is man. মানবই মানলের অসুশীলনের মোগা বিষয় । কিন্তু জগতের সকল রহস্ত বিলোড়ন করিয়া, নভোমণ্ডলের উচ্চতম প্রদেশ হইতে ভূগর্ভের গভীরতম প্রদেশ পর্যন্ত পরিদর্শন করিয়া, এতকাল পরে মানবের দৃষ্টি অনুশীলনের সেই নিকটতম অথচ যোগ্যতম বিষয় মানবের প্রতি আকৃষ্ট