পাতা:প্রবাসী (প্রথম ভাগ).djvu/১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা । ] নামক ক্ষুদ্র কবিতাটি পাঠ করিয়াছ ! টেনিসন যে উচ্চদরের কবি ੇਸ਼ਕ না, তাহা ইহা হইতেই প্রতিপন্ন হয় α কবিতাট অধিকাংশ স্থলেই সংশোধিত ও পরিবদ্ধিত হইতে পারে। যথা মূলে আছে— “The poet in a golden clime was born, With gol den stars above, Dowered with the late of hate, the scorn of i S(', 'I'll, 'I he love of love.” + بصمة ইহার শেষে, আর ও দুটি ছত্র বসান উচিত ছিল । যথা Armou el with the lunary of lunacy, And in) at “I joss col ) t. ti li la ('y . + তৃ তীয় পরিচ্ছেদ “যমুনার তটে কত বেজে ড়ে বঁশরী ! শুনি ধু লীর ধ্বনি, গোপিনী প্রমাদ গণি, ক তলার বজলনে উঠেছে শিশুরি । স্মরি রাধ প্রিয়ধনে কত যে কেঁদে ছ মা ন. দু:খাগ্লি জ্বলেছে তার সদয় ভি তরি । ক তলার সঙ্গীসনে মোহনীয়। আশা-লনে न * {.झ.घ् : ऋ। 1-नौ Eिरं । न लं द्वौ !” একদিন, শ্রাবণমাসের সায়ংকালে, গোবিন বর্ণচৈার নব জলধরপুঞ্জের শোভায় আকৃষ্ট হইয়া, উপরিলিপিত স্বরচিত কবিতা-পংক্তি আবৃত্তি করিতে করিতে, মথুরার পিয়ালকদম্ব-জস্ব-ক্ষারক্রম-সুশোভিত, কালিন্দী-পাদ-পদ্ম-সুরভিত বনদেবতা-অধিষ্ঠিত অরকুঞ্জে বসির। বালক হেমচন্দ্র, আনন্দ্বে বিভোর স্তইয়া, অলকার সুখ-স্বপ্ন দেখিতেছিল ;– iীলাময়ী, ক্রীড়ামী দেবাঙ্গনাদিগের কঙ্কণাগাতে দরদর রিায় বিগলিত পারিজাত-দ্রুমের অমৃতময়ী ক্ষীরধারা }ান করিতেছিল ও ভাবিতেছিল, “এই অপূৰ্ব্ব বিশ্ব অপূৰ্ব্ব মুখের আধারভূমি ও তাহার একমাত্র অধীশ্বর হেমচন্দ্র ” সহসা তাহার স্বপ্ন, কল্পনা অপসারিত হইল !

  • সোনার দেশে কবির জন্ম হইয়াছল। সেখানে আকাশে সেনার নক্ষত্র ফোটে। কলি নিজ ভাগ্যে যাতুক স্বরূপ কি পাইয়াছিল জান ? Tইণর প্রতি ঘৃণা, অষজ্ঞর প্রতি অবজ্ঞ ও প্রীতির প্রতি প্রীত, શિરાનીfક
  1. .

বির বর্গ কি ছিল ?-চুড়ান্ত বাতুগত ও তুলনারস্থিত এক{ स'ब्र(भि । প্রবাসী 이 সে অবাক স্তম্ভিত হইয়। অপুর সৌরভের আগ্ৰাণ পাইল । উষার রূপে মুগ্ধ হইয়া সহসা অসংখ্য গোলাপ প্রফুটিত হইয়া মেদিনীকে ক্ষিপ্ত প্রায় করিয়া তুলিল ; যেন নবদুর্গার আগমনে নগরের সমস্ত শেফালী-সুক্ষ, পলামর্শ করিয়া, এক সঙ্গে ফুটিয়া উঠিল ; যেন বসন্তে বসন্ত-লক্ষ্মীর শুভ উংসব-উপলক্ষে কুসুমিত অমকুঞ্জ অসংখ্য অসংখ্য ফুলের তোড়। সাজাইয়। রাখিল । তথন বর্ষার জলসিক্ত জম্বুফলগুলি আর ও স্নিগ্ধ গ্র্যামল শোভা ধারণ করিল ; এক রাশ ময়ূর ময়ূরী অপৃপা বঙ্গ রাশি বিস্তার করিয়া হেমচন্দ্রের সন্মধে আসিয়া নৃত্য করিতে লাগিল। বকুল পুষ্পের স্বাস ফুটন্ত কদম্বের সেরভের সহিত মিশ্রিত হইয়া গাভণা ধরি ঐীর দোতদ-আকাঙ্ক্ষা মিটাঠতে লাগিল । যমুনার সদ্য-নৃত্যশাল তরঙ্গমালা আর ও রঙ্গ ভঙ্গে নৃত্য করিতে লাগিল । ধীর পাদবিক্ষেপে হেমচন্ধের সম্মথে এক অপরূপ অদৃষ্ট-পূৰ্ব্ব দেবী মূৰ্ত্তি আসিয়া উপস্থিত ক্ত হল । বালক হেমচন্দ্র ভয় পাইল না ; কিন্তু মস্বমুগ্ধের ন্যায়, স্বপ্নোথিতের দ্যায়, চিত্রিতের দ্যায়, নিম্পন্দনেত্রে সেই এিলোক নয়নানন্দ দেবী-মুৰ্ত্তি দেখিতে লাগিল । , মোন চতুর্থ পরিচ্ছেদ তোমরা কি কথন কোন দেব-নারীর, কোন আরাধ্য দেবতার আলোকসামান্ত লাবণ্য মনে কল্পনা করিয়া অবাক স্তম্ভিত হইয়াছ ? যে রূপ দেখিলে রসন হইতে বাক্য ফুরিত হয় না, যে রূপ দেখিলে সৰ্ব্ব ইঞ্জিয় চক্ষুরিদিয়ে লয় ও বিনাশপ্রাপ্ত হয়, যে রূপ দেখিলে অকস্মাৎ অভূতপূৰ্ব্ব শান্তি ও আত্মপ্রসাদ আসিয়া হৃদয়কে অধিকার করে ; যে রূপ দেখিলে অতি বড় পাষণ্ডের মনে ও ভক্তিরসের সঞ্চার হয় ; যে রূপ দেখিলে পা জড়াইয়া কঁাদিতে ইচ্ছা করে ও বলিতে ইচ্ছা করে “মা, এত দিনে এ অধম পুত্রের মনুষ্যজীবন সার্থক হইল!” এ সেই দেবী-মূৰ্ত্তি । দেবীর সাজসজ্জা কিছুই ছিল না । গলায় অরবিন্দের মালা, এক হস্তে একটি নীল পদ্ম ও অন্ত হস্তে একটি সুন্দর বীণা ৷ কিন্তু তবুও সে অনিন্য মুখশ্রীর উপমা নাই । তাহারই প্রসাদে কোন কবি গাচিয়াছেন—