পাতা:প্রবাসী (প্রথম ভাগ).djvu/১৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা । ]

কিন্তু প্রশ্ন এই, রাজা ভবিষ্যৎ ভারতবর্ষকে খৃষ্টান শ কেন বলিলেন ? রাজার জীবনচরিতলেখিকা কুমারী লেট খৃষ্টান ছিলেন। লেখিকার যে বন্ধ পুস্তকটি hমাপ্ত করিয়া প্রকাশ করিয়াছেন, তিনিও তাঁহাই। কিন্তু bাহারাও বলেন যে রাজা থষ্টান ছিলেন না। মৃত্যুর পরেও চাহার দেহে যজ্ঞোপবীত ছিল, এবং মৃত্যুশয্যায় শায়িত থাকিয়া তিনি ঘন ঘন “ওঁ” শব্দ উচ্চারণ করিয়াছিলেন । tহার চরিতলেখক বলেন যে কেহ হয় ত বলিতে পারেন, যে, ভারতবর্ষ খৃষ্টান হইবে এই লোভ দেখাইয়া, তিনি হয় প্ত ইংরাজদিগকে নিজ প্রস্তাবে রাজী করিবার চেষ্টা করিয়াছিলেন। কিন্তু এরূপ অনুমান রাজার অকপট মহৎ চরিত্রের বিরোধী। তদ্ভিয়, ভারতবর্ষ সম্ভবতঃ স্বাধীন হইবে, একথাও ত ঐ পুস্তিকাতে ছিল। একল্পনা ইংরাজের পক্ষে কখনই প্রীতিকর হইতে পারে না । সুতরাং রাজার চরিত্রে এরূপ কপটতার আরোপ করা যায় না । চরিতলেখক বলেন, রাজার নিজের পক্ষে এ কল্পনা প্রীতিকর না হইলেও তিনি হয় ত মনে করিতেন, ভারতবর্ষ প্রথমে থষ্টান চুইবে এবং পরে বিশুদ্ধ একেশ্বরবাদ অবলম্বন করিবে । মামরা কিন্তু অার একটি ব্যাখ্যা সম্ভব মনে করি । এক অর্থে, দেশের প্রভাবশালী ও রাজশক্তিপরিচালক সম্প্রদায়ের ধৰ্ম্মকে আদেশের ধৰ্ম্ম বলা যাইতে পারে। যেমন আয়ল গুৈর অধিকাংশ লোক রোমানক্যাথলিক হইলেও বহুকাল প্রটেষ্টাণ্ট ধৰ্ম্ম তথাকার সরকারী ধৰ্ম্ম ( state religion ) ছিল। রাঙ্গার প্রস্তাবমত ভারতে ইউরোপীয় উপনিবেশ স্থাপিত হইলে, ঔপনিবেশিক ও তাহাদের বংশধরগণ যে প্রভূত ক্ষমতাশালী হইত, তাহাতে সন্দেহ নাই। স্বতরাং তাহীদের ধৰ্ম্মকেই সরকারী ধৰ্ম্ম বলা যাইতে পারিত। কিন্তু এ বাধাও সম্পূর্ণ সন্তোষজনক নহে। আমাদের বোধ হয় রাজা মনে করিতেন, ভারতবর্ষের লোক ভবিষ্ণুতে খৃষ্টধর্শ্বের সারসত্যে বিশ্বাস করিবে। তাহার Piccepts pf Jesus নামক গ্রন্থে তিনি এই সারসতাগুলি সঙ্কলন করেন। এই সারসত্যগুলি কিন্তু হিন্দু মুসলমানের ধর্শেও মরাধিক পরিমাণে সৃষ্ট হয়। তাহ হইলেও, ইংলণ্ডের পাঠকসাধারণকে নিজের মনোন্ততাৰ সংক্ষেপে বুঝাইবার

প্রবাসী খুজিয়া পান নাই, এরূপও মনে করা যাইতে পারে। প্রশ্নটি কিন্তু রহস্তপুর্ণ। ভারতবর্ষের জলবায়ু ইউরোপীয়দিগের স্বাস্থ্যের হানি । করিবে, এই আপত্তির উত্তরে তিনি বলেন যে, আপান্ততঃ অপেক্ষাকৃত স্বাস্থ্যকর স্থানগুলিতে উপনিবেশ স্থাপিত হইতে পারে । . রাজার প্রস্তাব কাৰ্য্যে পরিণত হয় নাই । কিন্তু তাছার যুক্তিগুলির আলোচনায় এখনও লাভ আছে। রাজা যেমন বলিয়াছিলেন, ইংরাজেরা এখনও তাহাই বলেন, যে বিলাষ্ঠী মূলধন দ্বারা ভারতবর্ষের কৃষি ও শিল্পের উন্নতি করা উচিত। এই উপায়ে শিল্পের উন্নতি ত হইতেছে। কিন্তু তাহা ইউরোপীয় শিল্প, টাকাগুলিও বিদেশে চলিয়া যাইতেছে। রাজার প্রস্তাষে৷ সপক্ষে ইহা বলা যাইতে পারে, যে এই শিল্পোয়তি ভারত বর্ষের স্থায়ী বাসিন্দা ইউরোপীয়গণকর্তৃক সাধিত হইলে, টাকাটা বিদেশে যাইত না। এখন ইউরোপীয়গণের অনুকরণে ভারতবাসীরাও কলকারখানা করিতেছেন ; ইউরোপীয় উপনিবেশ স্থাপিত হইলে, এই অনুকরণ হয় ত আরও বিস্তৃত হইত। নীলকর ও চা-করেরাও একপ্রকার জমীমার ; কিন্তু তাহাদের দ্বারা ত রাজার কল্পিত দেশহিতকর কার্যগুলি সম্পন্ন হইতেছে না. উত্তরে বলা যাইতে পারে, যে, তাহার দেশের স্থায়ী বাসিন্দা হয় নাই, এবং সম্ভবতঃ অধিকাংশস্থলে রাজার প্রাথিত "চরিত্রবান ও ধনবান শিক্ষিত ব্যক্তি”ও নহে। ভারতবাসী ইংরাজ ও দেশের লোক একযোগে আনালন করিলে যে রাজনীতিক্ষেত্রে শীল্প ফললাভ হয়, জুরাবিজ্ঞাপনীজনিত আন্দোলনে তাহার পরিচয় পাওয়া গিয়াছে। কিন্তু স্বার্থের ঐক্য না থাকায় এইরূপ আন্দোলন প্রায় ঘটে না । ইংরাজের ঔপনিবেশিক হইলে হয় ত আরও স্বার্থের ঐক্য এবং তাহার ফলস্বরূপ আমাদের রাজনৈতিক অধিকার লাভের সুযোগ হইত । অপরপক্ষে আশঙ্কা এই যে আমরা হয় ত, যে যে দেশে ইউরোপীয়ের উপনিবেশ স্থাপন করিয়াছে, তথাকার জাদিমনিবাসীদিগের স্তায় পদদলিত ও ক্ষতিগ্রস্ত হইতাম । কিন্তু একটা প্রভেদ আছে । আমরা তাঙ্কাদের মত জলভ্য बा ग्रश्शाद्र क्य नहि |० T* ऋबा बाकबाइन ब्राहब उड़ान गइ उशत्र प्रथ ० वकःणनज्ञ X > -