পাতা:প্রবাসী (প্রথম ভাগ).djvu/১৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

_ প্রবাসা ه > २. ० ঘাটে না যায়’ ।" শোভ। ঈমং রাগিয়া বলিল, “আমি কি রাণীজির গোলাম ?” শোভার মা বলিলেন "তুষ্ট তে। বড় হ’য়েচিম । আজ বষ্ট কাল বিয়ে তবে, লিয়ের সম্বন্ধ ও হ’চ্চে । যদি পথে হেমচন্দ তোকে দেখতে পায়, সেই বা কি বলবে ?" হেমচন্দের নাম শুনিয়া শোভাসুন্দরীর কপোল পীড়ারঞ্জিত হইল। কিন্তু সে কত্রিম কোপে বলিল -“তবে এরা—এষ্ট আমার সঙ্গেলিরা কেমন ক’রে যায় ?” শোভার মা হাসিয়া বলিলেন যে বিবাহিতা ।” “ ওদের ভিন্ন কথ। । ওর। সকলেই এমন সময়ে উচ্চ০াতে “পরেছি, ধ'রেছি," বলিয়া একটি ৯১০ বৎসরের বালিক রঙ্গভূমিতে আসিয়া উপস্থিত হইল । টুকটুকে ঝিকমিকে কন্স। ঠিক যেন রাজা হিমাদ্রির বালিকা কন্তু উমাদেবীর ছবি-বিশ্বকৰ্ম্ম এণ্ড কো” ক হুক ফোটাে গ্রাফিত ।-—সকলে উচ্চরোলে হাসিয়া উঠিল । বালিকাকে দেপিয়া কি সকলে হাসিয়া উঠিল ? না, তা নহে । তাহার করধৃত শিকলিবদ্ধ একটি অপরূপ আগম্বুককে দেখিম! সক, লেই বিস্মিত ষ্টয়া হাসিয়া উঠিল । বালক মালতী শিকলীཤིན་ পাশ্বচরের গালে চপেটাঘাত করিয়া বলিল, “এ গালেতে একটা চড়, ও গালেতে একটা চড় ।" হতবৃদ্ধি জানোয়ারটি চড় খাইয়া কিছুই বলিল না। একটি যুবতী বলিল, "ওমা, কোথায় যাব গো ! মালতি, ছোট বোনটি আমার, তুষ্ট এই ডাকাতটাকে কেমন ক’রে ধরলি ? সে দিন ও আমার কাপড় ধ’রে ছিড়ে দিয়েছিল । ওকে আমর। বিলক্ষণ চিম । ঐ দেখ, ওর কপালে মস্ত টীকা । শ্রীরাম পাণ্ড। ওকে ধ’রে ওর কপালে দাগ ক’রে দিয়েছিল । ও দাগ চোর ।" আর এক যুবতী সঙ্গস্তে বলিলেন, "খুব হ'য়েছে । এখন বাছাধন কেমন ক’রে পালাবে । সে দিন আমি খেতে ব'সেছিলেম, তুমি আমার সমস্ত লুচিগুলি হরণ ক'রে বৃক্ষারোহণ করে ছিলে । বল বাছা, এখন ?” মালতীর মা বলিলেন, “ধন্তি বুকের পাট । একরত্তি মেয়ে । কি সাঙ্গসে ও রাক্ষসটাকে ধৱলি ? ছেড়ে দে–নইলে তোকে কামড়ে দেবে ” মালতী হাততালি দিয়া বলিল, “কাম ড্রাতে আর इंद्रे ना-८न नको রফ । এগালে একটা চড়, ওগালে একটা চড় ।” শোভা বলিল, “ওকে কি ক’রেচিস্ ? ওযে একেবারে ভালমানুষ ব’নে গেছে।” মালতী হাসিয়া বলিল, “যাকু ক’রেচি ” [ ১ম ভাগ । শোভা বলিল, "রঙ্গ রাখ, বানরটা যেন ঘুম থেকে উঠেছে। একেবারে জুজু ওর ভ্যালাচাকা লেগে গেছে ”। বালিকা বলিল, “আমি রোজ বাবার জন্তে কচুড়ি তোয়ের করতাম, ও কেন এসে রোজ চুরি করে খেয়ে ফেলতো ? আজ ভাঙ্গের কচুড়ি ক’রে রেখেছিলাম। দুই চারিটি খেয়েই নেশায় চুর । কেমন ধরেছি ! কেমন ধরেছি! আর বাবার কচুড়ি থাবে ? এগালে একটি চড়, ওগালে একটি চড় ।” সকলে হাসিয়া উঠিল । মালতীর মা মালতীকে সগন্তে জিজ্ঞাসা করিলেন, "এ বুদ্ধি তোকে কে দিলে ?” মালতী বলিল, “রাণীজি” । একটি সুব তা সঙ্গাস্তে বলিল, “মালতি, তুঠ বানরচনা ক বশ ক’রেচিস ; তোর বড় বহিন ষ্টেমশোভা ঈষৎ হাসিয়া বি দ্রুপকারিণীর পৃষ্ঠে একটি অতি মৃদু মুষ্ট্যাঘাত করিলেন । তখন দশমীর চন্দ্র আকাশে হাসিতেছিলেন । মন্দিরে মন্দিরে শঙ্খ ঘণ্টা কাণ বাজিতেছিল। যুবতীর শোভার কাছে বিদায় লইয়া গাঠিতে গাঠিতে যমুনার ঘাটের দিকে চলিল-— আমর। গে।পনারী চন্দ কে এমনি ক’রে বশ করবে।” য{হ গে। স{{র সরি পথে ৩ নরনারী চমকি চয় । ল:লগে, “এ কি রূপ, এমে গে৷ অপরূপ : কপ যে ফাটি পড়ে ধরণী গায় । যে র কমলিন” যন রে কুমুদিন’ সরসী জলসহ চলিয়ে যায় ৷ ” কটিতে কিনকিনি হাসিয়ে চলি সব ভু,জতে রিনিঝিনি গে।পের বtল। . ८म (* लिौ डाटनौत গোলাপী করলার যন রে এক চুড। ফুলের মাল। । চতুদশ পরিচ্ছেদ । শোভ। সেস্থল পরিত্যাগ করিয়া উপরে ছাদে গিয়া বসিল । চন্দ্রের দিকে তাকাইয়া সগৰ্ব্বে মনে মনে বলিল, " ও চাদের অপেক্ষ আমার হেমচন্দ্রের মুখচন্দ্র শোভাময় ।” শোভা এখনও জানে না যে হেমচন্দ্রের হৃদসের অধিষ্ঠাত্রীদেবতা কবিঙ্গদয়ের রাজরাজেশ্বরী মা ভারতী । তাহার আবার বিবাহ কি ? শোভা হেমচন্দ্রের সহিত কত খেলা করিয়াছে। দুইজনে সমবয়সী । শোভা হেমচন্দ্রকে চিরদিন ভাল বাসিয়াছে । আর হেমচঞ্জ কি শোভকে ভাল