পাতা:প্রবাসী (প্রথম ভাগ).djvu/১৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>२७ প্রবাসী যে তাচাদের এক স্তু অযোগ্য সন্তান নহি, তাহাই আমাদের চরিত্র ও কার্গা দ্বারা প্রমাণ করিবার চেষ্টা করা উচিত । জগদীশবণু প্রমুখ ভারতবাসী বৈজ্ঞানিকগণের কথাও যেম আমাদিগকে কৰ্ত্তব্যপরায়ণ করে । আমরা তাহান্ত স্বদেশবালী, এই ত সম্পর্ক । তাহার একাগ্রতা, স্বাথত্যাগ, কঠোর তপস্তার অনুকরণ আমরা যদি কিঞ্চিৎ পরিমাণেও করিতে পারি, তাহা হইলেই আমরা তাহাকে আপনার লোক বলিতে অধিকারী হইব । রক্তের সম্পর্ক, একদেশবাসিত, একজাতীয়ত, এসকল কিছুই নয় ; চরিত্রের সাদৃশু ও আচরণের ঐক্যই মাষ্ট্ৰীয়তার, জ্ঞাতিত্বের প্রকৃত ভিত্তি । আমরা যদি নিজ নিজ সাধ্যানুসারে মহতের পদানুসরণ করিতে না পারি, তাহা হইলে আমাদের তাহাদের কীৰ্ত্তিতে গৌরব অনুভব করিবার কি অধিকার আছে ? অসময় । মালা নয়, জালা এ যে আছি বুকে কবি, - ধর ধর অঞ্জলি আমার ! কাটা যদি থাকে তায়, চরণকমল ছায় স্নেহে তবু নিও উপহার । হৃদে নাই ছায়া জল, শুধু ধু ধু মরুস্তল, সৰ্ব্বনেশে শূন্তের ভাণ্ডার । – ধর ধর অঞ্জলি আমার । ওপারে হাসিছে কারা, এপারে একেলা লুটাতেছি গুমরি গুমরি ! খেয়া তরী শেষবার হয়ে গেছে নদী পার, ফেলিয়ছি অসময় করি । নদীজলে রক্ত ভাসে, বালুরাশি হাহা শ্বাসে ; এল এল আধার শর্করী ! লুটাতেছি গুমরি গুমরি। ভয়ে ভয়ে চেয়েছিনু তোমারে যেদিন, কেন ধরা দিলে না তখন ? ভেঙ্গে ভেঙ্গে বার বার রচেছিনু উপহার ; বৃথা গেছে অনেক যতন । । আসিয়াছ, হে নিদয়ে, এ দুদিনে, অসময়ে দেখিবারে দাসের সাধন ! কেন ধরা দিলেন। তখন ? কোথা সেই • পদ্মবন, বসন্তবিলাস ? হো আজ শ্মশানে বাসর ! করুণ প্রসন্ন মুখে এলে যদি ভক্ত-দুখে, יtס הצן সাজানু বরণডালা, হাসি মুখে লও মালা, লও সাথে কণ্টক কঙ্কর ! হোক আজ শ্মশানে বাসর ! শ্ৰীপ্রমথনাথ রায় চৌধুরী। মৃত্যু। মাতৃ-অঙ্কে বাল্যকালে করিতাম ক্রীড়া— পাশে তুমি নেহারিতে আনন আমার ! যৌবনে জাগিত প্রাণে যুবতীর বীড়া-- সলজ্জ হসিত মুখ দেখেছ দোহার ! বিপদে বান্ধব গেছে, আত্মীয় স্বজন,-- তুমি হে একাকী নাহি যাও তেয়াগিয়া ! ংসার-অরণ্যে এক কোরেছি রোদন, পেয়েছি সাম্বনা পুনঃ তোমারে স্মরিয়া । নিত্যসথা, চিরসার্থী, ভ্ৰমিতেছ সঙ্গে, তথাপি তোমার নাহি পাই পরিচয় ; তাই কি শিহরে প্রাণ তোমার ভ্রভঙ্গে, শুনিলে তোমার নাম কম্পিত হৃদয় ? মিত্ৰ তুমি, সখা তুমি, নহ তুমি অরি, নেহারিলে ছায়া তব মিছে কেন ডরি ? শ্ৰীনগেন্দ্রনাথ গুপ্ত । কবি-ভগিনীর প্রতি । দূর হতে বহুদিন, হে বীণাবাদিনি, শুনি তব গুণ-গাথা, কবিতা-ঝঙ্কার ; আজি পুৰ্ব্ব-সিন্ধুকূলে, হেরিনু তোমার সংসার-আশ্রম পুত, বিজনবাসিনি !— কল্পনা-আকাশ হ’তে, আজি লো ভাবিনি! পতিপুত্র পরিজনে পূর্ণপ্রেমালয়ে বিরাজো মানবী-রীতি ধরিয়া হৃদয়ে ;ー মুক্ত পক্ষ যুক্ত এবে, নভোবিহারিণি ! বল, কবি ! বল আজি, গৃহিণী-জীবন কেমন লাগিছে মনে ? অাদর্শ অসীম, কাব্য-সঙ্গীতের রাজ্য, আজো কি লো জাগে মায়া-আবরণ ভেদি**– হের কি স্বপন ? কি সাধনা এৰে তৰ ? -- শান্তি মধরিম י:י