পাতা:প্রবাসী (প্রথম ভাগ).djvu/১৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জলাতঙ্ক । সভাপ মার্কিন লেপক ল ওয়েল (Ivowell) বলিতেন—জগতে এমন ক তক গুলি জ্ঞাতব দ্যাপার ঘটিয়া থাকে,যাঙ্গাদের সঙ্গন্ধে আমাদের অজ্ঞতা দূর করিলে জ্ঞা:নর BBSBBS BBD BB DDK KBB BK জলাতঙ্গ রোগের চিপি ইসা বিসয়ট গুরুতর, তাড়ীতে “জ্ঞানের লে।” ভারী হ ওয়ার আশঙ্কা থাকিলে ও বোধ হয় এ বিষয়ে কিছু আলোচন করা অসঙ্গত হইবে না । জানি না, বিধাতা কেন জীবদেহকে এত সুর স্ত রোগের লীলাক্ষে এ করিয়া গড়িলেন। যে সকল ট্রপনের ব্যাধির কথা ভাবিতে ও প্রাণ আতঙ্কে অধীর চয়---যাচার! BBBBB BBB BSBBBB BBBB BBBS BBB BBBS যাহাদের তাড়নায় মৃত্যুকে সাদরে আলিঙ্গন করিতে সাধ যায়—ত তাদেরষ্ট অন্যতম দুষ্ট স্তু স্থল জলাতঙ্গ রোগ । এই উংকট রোগের চিকিৎসার জন্য, কিছুকাল হইল, কলেলিতে "পাষ্ট্রর ಕಸಿನ್ನಿ" (Pasteur lustitute) প্রতিষ্ঠিত পাষ্ট্রর প্রবর্তিত চিকিৎসা প্রণালী ও তাহার ফলাফল সম্বন্ধে অনেকেরই মনে নানা প্রকার ল্ল নায়ক বিশ্বাস জন্মিয়াছে ; এই জগাই, বোধ হয়, পূৰ্ব্বো ক্ৰ অনুষ্ঠানের বিরুদ্ধে চারিদিক ষ্টতে এত প্রতিবাদের গোলগুলি চুটিয়াছিল । সাধারণত: ক্ষেপ। কুকুরের রোগের বিধ মালয়ের শরীরে প্রবেশ করে । একটি প্রধান লক্ষণ এই মে, জল দেধিলে— এমন কি কোন তরল পদার্থ গিলিবার কথা ভাবিলে ও রোগীর বিলমঃ যাতনা উপস্থিত হয় । বলা বা লা যে এই লক্ষণ তইতেই রোগের নামকরণ হইয়াছে । কিন্তু অনেকেই শুনিলে বিস্মিত হইবেন যে, “ক্ষেপ কুকুরের" জলাতঙ্ক থাকে না – বরং সে আগ্রহের সহিত জলপান করিয়া থাকে । এই রোগের নিদান আজিও সম্যকরূপে জানা যায় নাই । সম্ভবতঃ অদ্যান্য সংক্রামক রোগের স্তায় ইহাও কোন বিশেষ জীবাণু দ্বারা প্ৰবৰ্ত্তিত হয় । কুকুর, শৃগাল প্রভৃতি পশুদের শরীরে নসে ! মে রূপ হইয়াড়ে । কামড়েই এই ভয়ঙ্কর এই রোগের প্রবাসী [ ১ম ভাগ । প্রকাশ পায়, এবং সেই অবস্থায়ই আমরা তাহাদের “ক্ষেপ” বলিয়া থাকি। ক্ষেপ কুকুরের লালারসও বিষাক্ত, সুতরাং এই রোগ সহজেই এক কুকুর হইতে অন্ত কুকুর কিম্বা অপর কোন জন্তুতেও সংক্রমিত হইতে পারে। এস্থলে “ক্ষেপ” অর্থে উত্তেজিত বা ক্রুদ্ধ নহে। পূৰ্ব্বোক্ত রোগের "রাজ" শরীরে না থাকিলে –কোন কুকুর যতই উত্তেজিত হউক ন! কেন তাচার দংশনে জলাতঙ্ক রোগ জন্মিতে পারে না । কুকুর যেমন মানুষের স্নেহ মমতার অধিকারী, বোধ হয় পশুদের মধ্যে এমন আর কে নয়। মানুষের এমন একান্ত ভক্ত ও অনুগত দাস আর মিলে না। ক্ষিপ্তাবস্থায় আমাদের এই নিত্যসঙ্গচরের যে দারুণ যাতন হুইয়া থাকে, তাঙ্গ দেখিলে সদয় বিগলিত হয় । চোখের চাহনিতে, নানা প্রকার ভাবভঙ্গা দ্বারা, ও কত অব্যক্ত ভাষায় যে প্রতি নিয়ত অনুরাগ জানাই ত, সে আর পূৰ্ব্বের মত নাই। কাচার ও সঙ্গ আর তাহার ভাল লাগে না ; কিন্তু নিজনে ও তাহার শাস্তি নাই । একদ গু স্তির হইয়া বসিতে ন বসিতেই আবার যেন কিসের তাড়নায় চুটিয়া বেড়ায় । তাচার প্রত্যেক কাণ লক্ষা করিলে মনে হয় যেন কোন অশরীর আততায়ীর ভয়ে তা চার প্রাণ সদা সশঙ্কিত । বঝি বা এই অদৃশ শক্রর উদ্দেশেই সে থাকিয়া থাকিয়৷ শতে নগা খাত ও দংশন করে । আমরণ তাঙ্গার দংশনের প্রবৃত্তি যায় না। কিন্তু প্রথম প্রথম কেবল জড়পদার্থ চিবাইয়াই সেই প্রবৃত্তি চরিতার্থ হয় । রোগের লক্ষণ যতই ভীষণতর হইতে থাকে, ততই দংশনের ইচ্ছা আরো বলবতী হয়। তখন আর মানুস, গোমেষাদি নিকটের কোন প্রাণীই বাদ যায় না ; তবে, স্বজাতীয়ের উপরই ক্ষিপ্ত কুকুরের আক্রোশটা বড় বেশী। এই অবস্থায় অপর কোন কুকুর একবার তাহার দৃষ্টিপথে পড়িলেই হয় ; তাহাকে কামড়াইয়াই সে যেন নিজ যন্ত্রণার সম্যক প্রতি- । শোধ তুলিয়া লয়। মানুমের শরীরে এই বিষ প্রবেশ করিলে সাধারণতঃ পাচ ছয় সপ্তাহের মধ্যেই