পাতা:প্রবাসী (প্রথম ভাগ).djvu/২৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা । ] প্রবাসী । * X് তেলেগুদিগের কাপড় পরার রীতি অনুসারে এত বহর না রাখিলে চলে না, এবং হয় জরি, না হয় রেশম, না হয় ছাপা পাড় চাই । ১২।১৪ হাত সাড়ীর জন্ত স্ত্রীলোকদিগের লজ্জা নিবারণ বেশ হয় । ১০ হাতী সাজী পরিলে উপরে ওড়না স্বরূপ একথান চাদর আবশুক হয় । বোধ করি, বাঙ্গালী মেয়েরা ভিন্ন ভারতের আর কোথাও কেহ বস্থপরিধানে এত কৃপণতা করে না । মাড়োয়ারী, মরাঠী স্ত্রীলোক স্বচ্ছন্দে বাড়ীর বাহিরে অাসিতে পারে । কাপড় সামলাইতেই তাহাদিগকে ব্যতিব্যস্ত হইতে হয় না ; এমন কি ওড়িয়া স্ত্রীলোকও হাটু পর্য্যস্ত বিস্তৃত সাড়ী পরিলেও ১২।১৪ হাত লম্ব সাড়ীর গুণে লজ্জানিবারণে সবিশেষ দক্ষ। কেবল বাঙ্গালী মেয়েরাই,—তাও পশ্চিমবঙ্গের-—কাপড় পরিতে জানে না বোধ করি, ১২ হাত সাড়ীর প্রচলন হইলে কতকটা উন্নতি হইতে পারে। আমরা বিজয়নগরে একদিন থাকিয়া প্রাতে ৭টার ডাক গাড়ীতে রাজামছেঞ্জী যাত্র করিলাম । বেল প্রায় ৩টার সময় প্রখর গ্রীষ্মের রৌদ্র ভোগ করিয়া রাজামহেশ্ৰী ষ্টেসনে পহুছিলাম। গোদাবরীর উপরেই রাজামহেন্দ্রী নগর। কিন্তু ষ্টেসন হইতে নগর প্রায় দুই মাইল দরে, অথচ ঘোড়ার গাড়ী নাই। একজন ভদ্রলোক ভাড়া দিবার নিমিত্ত ছুইখানি ঘোড়ার গাড়ী করিয়াছেন । দেখিলে বোধ হয়, গরুর গাড়ীকে কোন রকমে ঘোড়ার গাড়ী করিয়াছেন । যেমন গাড়ী, তেমনই ঘোড়া ; তার উপর পথের লোক সরাইবার অভিপ্রায়ে তেলেগু চালকের বিকট চীৎকার। ওড়িয়া মাঝির নৌকায় চড়িয়া নদী পার হইয়াছি, নৌকা ছাড়িবার সময় সে কলরব, সে ব্যস্ততা বেশ মনে আছে, এবং নৌকা ঠিক চলিবার সময় মাঝির মুখের গাম্ভীৰ্য্য, সাহসিকতার লক্ষণ বেশ মনে হইতেছে ; যেন প্রতিক্ষণে তাহারা যাত্রীকে বলিতে থাকে, দেখ জলরূপ ভূতের বুকে চড়িয়া যাইতেছি অথচ ভয় করি না ! সেইরূপ রাজামহেন্দ্রীতে তেলেঙ্গ গাড়েস্নানের অশ্বচালনা দেখিয়া মনে হইতে লাগিল, বনের জানোয়ার ধয়িয়া গাড়ী চালান সোজা কথা নছে । যাহহউক, রাজামহেশ্রী সহরের লোকজনকে ডাকিয় আপনাদিগকে দেখাইতে দেখাইতে বালায় পহছিলাম । বাসাটি দোতলা, নুতন তৈয়ারী, সেখানকার সবজজ মহাশয়ের ; সবজজের নামের গুণেই হউক, বা নূতন বাড়ী বলিয়াই হউক, দেখিলাম সহরের প্রায় সকলেই বাড়ীটিকে চিনে । কিন্তু হায় ! সন্ধার সময়ের ঘোর বৃষ্টির সমস্ত জল বাহিরে না পড়িয় ঘরের ভিতরেই পড়িতে লাগিল । স্নাত্রে শুইবার নিমিত্ত তিলাদ্ধ শুকন জায়গা রছিল না । কি করিয়া রাত্রি কাটান যাইবে, তাহাই ভাবিতে ভাবিতে সহরটার উপর ভারি রাগ হইতে লাগিল । কিন্তু নাচার । উপরে পাক ছাত করিয়া সদর মালা মহাশয় কি বিষম ভুলই করিয়াছেন । দেওয়ালের সঙ্গে ছাতের জোড় মিশে নাই, অবিরল ধারা বিগলনের পক্ষে কোন বাধাই ছিল না । বলিতে ভুলিয়াছি, তেলেগু দেশে পাকা বাড়ী থাকিলেও পাকা ছাত প্রায় নাই । যেমন বাড়ীই হউক, রাজার হউক, সরকারী আফিস আদালত হউক, রেলের ঃেসন হউক, উপরে খোলা ; লাল খোলা পরিপাটী সাজান, কোথাও বা দুই তিন প্রস্ত খোলা । দূর হইতে দেখিতে বেশ সুন্দর, খোলা খুব মজবুত, দেশে বানর নাই, ভাঙ্গে ও না। ছাইবার গুণে ঘোর বৃষ্টিতেও বিন্দুমাত্র জল ঘরের ভিতরে পড়ে না । আমরা যদি এই রকম একটা বাড়ী পেতাম ! প্রাতে কিন্তু প্রসন্নসলিল গোদাবরী দেখিয়া আমাদের মন প্রসন্ন হইল । শীঘ্ৰ স্নানাহ্নিক সমাপন করিবার উদ্যোগ করিতে লাগিলাম। কিন্তু মুখশান্তি কোথায় ? ওড়িশা ক্ষেত্র ছাড়িয়া পাণ্ডাদের কথা ভুলিয়া গিয়াছিলাম । কিন্তু হায়, একদল তেলেগু পাওীদের হাড়ডুড় শব্দে কাণের স্বগা ঝিল্লী বিলক্ষণ ক্ষুব্ধ হইতে লাগিল । গোদাবরী তীর্থ স্নান করিতে আসি নাই, বুঝায় কে ? গোদাবরী যে আদি গঙ্গা, তাহার প্রমাণ হৃদয়ঙ্গম করায় কে ? নিতাস্ত নিরুত্তর দেখিয়। একজন পাও সংস্কৃত ভাষার আশ্রয় লইল । কিন্তু বলিতে কি, হাড়ডুড় বরং ছিল ভাল, দেবভাষার এমন তেলেগু উচ্চারণে মন बाथिष्ठ श्हे८ठ लांश्रिण । यांशंहउँक, प्रांन न१कब्र मां করাইয়া ছাড়িল না ; তটে মার্কণ্ডেশ্বরের মন্দির, গেই ঘাটে স্নান করিয়া কোটিজন্মের পাপ ধৌত করা গেল । ठिन मारेन सूरद्र ८काििनत्रम् श्णि ; ८नथाप्न शहेरठ