পাতা:প্রবাসী (প্রথম ভাগ).djvu/২৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা । ] প্রবাসী । >龄邻 হুইবে না। কলিকাতার এবং বেহারের লবণের কারথানায় প্রায় একই প্রণালীতে কার্য হইয়া থাকে। প্রথমে a"ৈফুট ব্যাসের একটা গোলাকার চৌবাচ্চ। প্রস্তুত করা র। ইহাকে ফিন্টার বলে । ফিণ্টারের চতুদিকের দওয়াল প্রায় ১৮ ইঞ্চি উচ্চ রাখা হয়। এই দে ওয়ালের অস্তভাগে ইট রাখিয়া এবং তাহার উপয় খড় পাতিয়া দেওয়া হয়। লবণাক্ত মৃত্তিক প্রায় পুরাতম দেয়াল ও অপরিস্কার স্থান প্রভৃতি হইতে চাচিয়া সংগ্রহ করা থাকে । ঐ মূৰ্ত্তিক উপযুক্তি খড়ের উপর ফিল্টারের মধ্যে প্রায় ৮/৯ ইঞ্চি পরিমাণ রক্ষিত হয় । তাহার . উপর জল ঢালিয়া দে ওয়া হয় । জল দ্বারা মৃত্তিকামিশ্রিত লবণ গলিয়া একটা নলের ভিতর হইয়। ফিণ্টারের বাহিরে স্থিত নাদে গিয়া উপস্থিত হয় । এই রস জাল দিয়া লক্টলেই লবণ হয় । ইহা দেখিতে ঠিক লিবারপুলের মত । অবশ্য প্রস্তুতের তারতম্যে অল্পবিস্তর ময়লা ও হইয়া থাকে । পঞ্জাবে খেওড়ার পর্বতে লবণের খনি আছে । তাহ। হইতে কাটিয়া লবণ বাহির করা হয় । এই লবণই সৰ্ব্বোৎ কৃষ্ট এবং সকল প্রকারে আবর্জনারহিত দেখিতে শ্বেত ও রক্তাভ প্রস্তরের ন্যায় । যখন এই খনি শিখরাজের অধিকৃত ছিল, অতি কদৰ্য্যভাবে ইহার খননকার্য্য সম্পন্ন হইত। কিন্তু এক্ষণে ইহার ভিতরে দেখিবার অনেক বস্তু আছে । খনির ভিতর অন্ধকার । দর্শকগণের জন্য আতশবাজি জালিয়া দিলে দেখিতে অতি চমৎকার হয়, ঠিক যেন হীরকনিৰ্ম্মিত প্রকাগু অট্টা, লিকার মধ্যে দশক উপস্থিত । আলোকের সাহায্যে চারিদিক ঝকমক্‌ করিতে থাকে। ইংরাজহস্তে খনির অভ্যস্তর এরূপ শোভা ধারণ করিয়াছে, যেন উল্লাহ। বাস্তবিকই একটা সুদৃশ্য অট্টালিকা। বড় বড় প্রকোষ্ঠ, সুন্দর গোল ছাদ, বড় বড় থাম, তাহার গাত্রে নানারূপ কারুকার্য্য, সমস্তই ঈষৎ গোলাপী মিশ্রিত শ্বেতবণ, দেখিতে বড়ই মনোমুগ্ধকর। বড় ও ছোটলাট সাহেবগণ খনি দর্শন করিতে যাইলে তাহদের আমোদার্থে আতশবাজী এবং আলোকের বিশেষ বন্দোবস্ত হইয়। থাকে। কথিত আছে যে, খেওড়ায় এত লবণ আছে যে, ইহার অন্ত এখনও মুদূর ভৰিয়তে নিছিত। কোহটের লবণ ও পাৰ্ব্বতীয় খনি হইতে কাটিয়া বাহির করা হয় । দেখিতে প্রস্তরাকার, বণ শ্যাম । রাজপুতানার মরুভূমিতে কয়েক স্থানে লবণ উৎপন্ন হয় । তন্মধ্যে সাম্ভর হ্রদই প্রধান ও বিশেষ উল্লেখযোগ্য ; এবং খেওড়ার স্তায় এখানকারও সরকারী কারখান খুৰ বড় রকমের। সাম্ভর হ্রদ দীর্থে প্রস্থে প্রায় ৫২ বর্গমাইল স্থান অধিকার করিয়া আছে । সৰ্ব্বদা সামান্ত গভীর নোন। জলে স্থানে স্থানে পরিপূর্ণ থাকে । ত্বদকুলে আইল বাধিয়া চতুষ্কোণ অনেকগুলি কেয়ারী বাধা হয়। ঐ জল তুলিয়া কেয়ারীতে রক্ষিত হয় এবং স্তয্যের প্রখর উত্তাপে শুকাইয়া গেলে লবণাকার ধারণ করে । পরে ঐ লবণ তুলিয়া লইয়া ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পৰ্ব্বতসম স্ত,প সকলে একত্রিত করা হয় । ঐ রূপ এক একটা স্ত,পে ২/৩ লক্ষ মণ লবণ সঞ্চিত থাকে। এই লবণের আকৃতি ষট্রকোণ ব৷ পঞ্চকোণ (rystalএর ন্যায়। উত্তর-পশ্চিমের প্রায় সকল বাজারেই সা স্তর লবণ পাওয়া যায় । সাম্ভর হুদের উৎপত্তি সম্বন্ধে একটা প্রবাদ অাছে, তাহা এস্থলে উল্লেখযোগ্য । হিউম সাহেব ঠাহার সরকারি রিপোটে এইরূপ বর্ণন করিয়াছেন— মাধুনিক সাস্তুর গ্রামের কয়েক মাইল দূরে, লিল্পথল নামে এক গ্রাম ছিল । ৫৪৩ খৃষ্টাব্দে ঐ গ্রামে মাণিক রায় নামক চৌহানবংশীয় এক ব্যক্তি বাস করিতেন। তিনি নিকটবৰ্ত্তী প্রাস্তরে আপনি পিতামহীর গো-পাল চরাইতেন । সে সময় নাকি ঐ স্থানে মুদূরব্যাপী এক নিবিড় বন ছিল । কিছুদিন পরে বৃদ্ধ পিতামহী নিত্যই দেখিতেন যে, কোন বিশেষবর্ণ একটা গাভী মাদে দুগ্ধ দান করে না । ক্রমশঃ সন্দেহ হওয়ায় তিনি মাণিক রায়কে দুগ্ধাপহরণের জন্য প্রায়ই ভৎসনা করিতেন । কিন্তু গাভীর দুগ্ধ কে অপহরণ করে, মাণিক তাহার কিছুই জানিতেন না । এজন্য অতঃপর তিনি সতর্ক হইয় গান্তীটির গতিবিধি পৰ্য্যবেক্ষণ করিতে লাগিলেন । শীঘ্রই জানিতে পারিলেন যে, সুযোগ পাইলেই গাভী পাল হইতে বিলয় হইয়া কোথায় চলিয়া যায় । পুৰ্ব্বকথিত বনের মধ্যবৰ্ত্তী এক স্থানে একটী পৰ্ব্বত ছিল, এবং তাহার