পাতা:প্রবাসী (প্রথম ভাগ).djvu/২৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা । ] --- সাম্ভর ব্যতীত ভারতবর্ষের আরও অনেক স্থলে, এবং হিমালয়ের পর প্রান্তস্থ তিব্বতেও অনেক স্থানে বহুল পরিমাণে লবণ পাওয়া যায়, কিন্তু স্থানাভাবে এস্থলে সে সকলের বর্ণন অসম্ভব । এ সকল স্থলে লবণ কোথা হইতে আসিল, ভূতত্ত্ববিদগণ তাহার আলোচনা করুন । ঐগিরিজাকুমার ঘোষ । -*-* * *-* V জাতীয় ভাষার উন্নতি । শ্চেন মাসের “রিভিউ অব, রিভিউজ, পত্রে পালে মেণ্টের আইরিশ সভ্য টমাস ওডনেল সাহেব একটি প্রবন্ধ প্রকাশ করিয়াছেন । জাতীয় ভাষা সংরক্ষণর আগ্রহ ও অমুরাগে সে প্রবন্ধটি পূর্ণ । জাতীয় ভাষা রক্ষার জন্য তাহাদের কি সুমহৎ সামুরগি চেষ্টা, উক্ত প্রবন্ধ হইতে তাহাই কিঞ্চিৎ প্রদর্শন করা আমার অভি. প্রায় । আমি উহার গুটিকত চিস্তাকে ভিত্তি করিয়া একে একে কয়েকটি কথ। উপস্থিত করিব ১ } আমরা যদি কল্পনা করি যে আমাদের কোন ব্যবস্থাপক সভায় কোন দেশীয় সভ্য তাহার জাতীয় ভাষায় বক্তৃতা করিতেছেন, সে কল্পনায় জাতীয় ভাষার প্রতি সেই বক্তার কি অকৃত্রিম অনুরাগের চিহ্ন পাওয়৷ যায় না ? অামাদের পক্ষে ইহা নিতাস্ত কল্পনা হইলেও ব্রটিশ পালে মেন্টের আইরিশ সভ্য ওডনেলের পক্ষে তাহা কল্পনায় পৰ্য্যসিত হয় নাই ! তাহাকে বি দ্বীপ হে করিতে হইলেও তিনি পালেমেণ্টে আইরিশ ভাষায় মত্ত তা করিয়া জাতীয় ভাষা সংরক্ষণের চেষ্টাকে আরও অগ্রসর করিয়া তুলিয়াছেন । আমাদের কিন্তু সকলই বপরীত, কারণ আমরা মনুষ্যত্বে বড় খাট । আমর। যদি ইংরাজিনবীশ দুজন ঘরেও কথা বলি, তবে অবিমিশ্র ইংরাজতে না বলিলেও একট। অপূৰ্ব্ব খিচুড়ী ভাষায় বলিয়৷ বাকি । ইংরেজের বাহিরটা অনুকরণে আমর। এতটা ব্যস্ত য কাৰ্য্যক্ষেত্রে, অনিৰাৰ্য্য কারণ ব্যতীতও, যাঙ্গ লিখিতে নী বলিতে হয়, তাহাও অনেক সময় ইংরাজিতেই সমাধা চরিতে চাই। এ স্রোতটা পূৰ্ব্বাপেক্ষ অনেক ফিরিয়াছে প্রবাসী । పిసిసి বটে ; কিন্তু এখনও দেখা যায়, ষে সভার সকল কাজ বাঙ্গালায় হইল, সে সভার সভাপতি ইংরাজিতে আপন মন্তব্য প্রকাশ করিলেন । আমাদের যদি জ্ঞানালোচনার জন্য কোন সভা সমিতি থাকে, তবে তাহারও একটা ইংরাজি নামকরণ করিতে হইবে, যথা—“লিটারেরি ক্লাব ।’ যাহা হউক, বাঙ্গালা সাহিত্যের পাঠক সংখ্য যে দিন দিন বদ্ধিত হইতেছে, এদিকে যে লোকের মতি গতি হইতেছে, এ বিষয়ে যে একটা চেতন জাগ্রত হইয়াছে, তদ্বিষয়ে সন্দেহ নাই । তাই আমাদের জানিয়া রাখিলে ক্ষতি নাই, আইরিশগণ র্তাহাদের জাতীয় ভাষার জম্য কি চেষ্টা করিতেছেন । (২) আইরিশ ভাষা বিস্তারের জন্য যে সমিতি আছে, এক আয়ল গুেই তাহার দুই শতট শাখা বিদ্যমান। আমেরিকায় ও সে সভার শাখ ব্যাপ্ত হইয়াছে । লওম, ম্যানচেষ্টার, লিভারপুলে আইরিশ ভাষায় বক্তৃতা দিলে তাহা আগ্রহের সহিত শুনিতে বহু লোক সমবেত ছন্ন । আয়ল গুৈর দুই শত সভার তুলনায় বঙ্গদেশে বাঙ্গাল ভাষার উন্নতিকল্পে মাত্র একটা “সাহিত্য-পরিষদ’ এবং অল্পকাল হইল একটা “সাহিত্য সভা’ গঠিত হুইয়াঙ্কে । বঙ্গদেশের বাহিরে যে সকল প্রবাসী বাঙ্গালী অাছেম, ভাষার মধ্য দিয়া ঠাহীদের সহিত একটা সংযোগ সংস্থাপনের জন্য বিশেষ কোনও সভা সমিতি অাছে কি ন৷ জানি না । এলাহাবাদে “প্রবাসী’’ পত্র প্রকাশিত হইবার পূৰ্ব্বে এরূপ একটা মহতী কল্পনা কাহারও মনে উদিত হইয়াছিল কিনা বলিতে পারি না প্রবাসের বাঙ্গালী প্রাণে জাতীয়তা সঞ্চারিত করিবার পক্ষে “প্রবাসী” জাতীয় ইতিহাসে এক নব অধ্যায়ের অবতারণা করিল। আইরিশদিগের তুলনায় স্বপ্রদেশে ও প্রবাসে আমাদের জাতীয় ভাষা বিস্তারের চেষ্টা কত ক্ষীণ । অন্যে ন্য দেখাইয়া দিলে আমাদের কোন উদ্যমটা যে মহৎ, তাছাও যেন আমরা বুঝিয়া উঠিতে পারি না। আইরিশদিগের মনুষ্যত্বের সহিত আমাদের মনুষ্যত্বের তুলনা না হইতে পারে, কিন্তু অনেক বিষয়ে তাহাদের অবস্থার সহিত আমাদের অবস্থা তুলনীয়। জাতিকে ঐক্যবন্ধনে বন্ধ করিবার জন্য আইরিশগণ যে কারণে জাতীয় ভাষার