পাতা:প্রবাসী (প্রথম ভাগ).djvu/৩১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२8७ fবজ্ঞানের অনুশীলন এই ৫০।৬০ বৎসর হইতেছে । পৃথিবী অতি প্রাচীনকালে শুধু হইয়াছিল ; তাহার পর কত কোট কোট বংসর অতীত হইয়া গিয়াছে, তাহা বৰ্ত্তমান ভূতত্ত্ববিদেরা বলিতে পারেন । মানবজীবনের বিকাশ ও যে যুগযুগান্তর পূৰ্ব্বে হইয়াছিল, মানুষ ও যে পরমেশ্বরের একটি অতি প্রাচীন স্কষ্ট, এটি ও একটি আধুনিক বৈজ্ঞাfনক তথা । অধ্যাপক টাইলর সমগ্র মানবজাতিকে তিন ভাগে বিভক্ত করিয়াছেন, যথা বস্ত ( Sa\.ge , অসভ্য (Harbario ) এবং সভা (civilisorl" : মানবের প্রথম অবস্থ। বঙ্গ । বন্য মালুম চাষ করিতে শিখে নাই, জন্তু পোস্ত্ৰমানাইতে শিখে নাই । সে বনে বনে ঘুরিয়া বেড়ায়, বন্যপশু মারিয়া কিম্বা বনজ ফলমূল সংগ্ৰহ করিয়া আহার করে, ঝোপের ভিতর বা বৃক্ষতলে শয়ন করে । বস্ত মামুষের এমন কোন নিদিষ্ট আবাস স্থান নাই, যাহাকে তাহার গুহ বলা যাইতে পারে । শীতপ্রধান দেশে এ অবস্থার মানব কোন এক স্থানে বেশী দিন থাকিতে পারে না, কারণ সেখানে তাহার। সমস্ত বৎসর আহরিদ্র বা পায় না। ক্রাপ্তি বলয় মধ্যস্থিত জঙ্গলে অবশু থাপ্ত সামগ্ৰী প্রচুর, ; কতক গুলি পরিবার একস্থানে কিছুকাল ধরিয়া থাকিলে তত কষ্ট নাই । বঙ্গ অবস্থায় মানুষের নিভর বেশীভাগ শিকারের উপর ; কিছু শিকার করিতে পারিলেই খাইতে পাইবে, নতুবা অনশনে মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী । কিন্তু শিকার সকল সময়ে জুটে না, মনুষাকে জীবনধারণের জন্য অন্ত কোন উপায় উদ্ভাবন করিতে হয় । সভ্যতার প্রথম সোপান বোধ হয় পোষ্য জন্তু সংগ্রহ করা । মেষ কিম্বা গাভী পুষিতে পারিলে অনেক রকম সুবিধা হয়, আর খাবারের ভাবনা তত থাকে না। কিন্তু কোন রূপ জন্তু রাখিতে হইলেই তাহার খাবারেরও বন্দোবস্ত করিতে হয় । মেষ বা গাভীর চরিবার জন্য মাঠ চাই, স্বাস চাই, ইত্যাদি। কাষেই মানব এই সব জন্তু পুষিলে জার যেখানে সেখানে ঘুরিয়া বেড়াইতে পারে না, এক জায়গায় স্থির হইয়া বসে । আমার মাঠের সন্নিকটে এইরূপ নিদিষ্ট অবাসস্থান হইলেই যে, মানুষ ক্রমশঃ কৃষিবিদ্যা __* Tylor. At thosogy o 24, প্রবাসী । [ ১ম ভাগ । শিখিবে, সেটা বিচিত্র কি ? জঙ্গলী শিকারি মানুষ জন্তু পোষ মানিলেই বা জমী চষিতে আরম্ভ করিলেই যে সভ্য হৃষ্টয়া পড়ে, তাহা নহে, তাহারা তখনও ঘোর অসভ্য ; কিন্তু এ বিষয়ে সন্দেহ নাই যে তাহারা মানবজীবনের দ্বিতীয়স্তরে পড়ছিয়াছে, তাছার উন্নতির মাগে চলিয়াছে । শিকারি মানব কৃষি হইলেই তাহার খাদ্যদবোর জন্য আর বড় ভাবনা থাকে না । সে এক ফসলে উৎপন্ন শস্যাদি অন্ত ফসল পর্য্যস্ত সঞ্চয় করিয়া রাখিতে পারে। কাজেই সে শীঘ আবাসভূমি পরিত্যাগ করেন। ক্রমশঃ দুই চারিটি কুটীরের স্তানে গ্রাম বা পল্লী হইয় পড়ে, এবং সেই পল্লীনিবাসীদের দিন দিন নৈতিক ও ও সামাজিক উন্নতি হইতে থাকে। এই রূপে সমাজের, শাসনের এবং রাজতন্ত্রের অঙ্করোদগম হয় । তখন আমরা মানবজীবনের তৃতীয়স্তরে উপনীত হই, মানব জাতিকে সভাদশাপন্ন দেখিতে পাই । পৃথিবী পর্যবেক্ষণ করিলে আজ বিংশ শতাব্দীতে আমরা তিন রকমেই মানব দেখিতে পাইব । আমেরিকা কিম্বা অষ্ট্রেলিয়ায় যাইবার প্রয়োজন নাই, সিংহল দ্বীপেই জঙ্গলী মাকুম আছে—তাহাদিগকে ভেডডা বলে ; ছোটনাগপুরের স'া ওতাল অসভ্য, আর—আমরা সভ্য। অণ্ঠ আমি প্রাগৈতিহাসিক ( Prehistorie ) সময়ের মানবজীবন সম্বন্ধে যে সকল আবিষ্কার হইয়াছে, তাহার বিষয়ে কিছু বলিব । এটা বলা বাহুল্য যে, মাদিম মানব সম্বন্ধে আমরা এখনও কিছু জানি না, কখনও কিছু জানিতে পারিব কি না, সন্দেহ । ডাবিন ( Darwin ) প্রমুখ বৈজ্ঞানিকেরা আদিম মানবের কাল্পনিক চিত্র অঙ্কিত করিয়াছেন। সাধারণ দেহতত্ত্ববিদ্যা হইতে যে সকল প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহাতে সে ছবি বহুলাংশে সত্য বলিয়াই প্রতীত হয় । ক্লড বিরচিত অঙ্গিমমানবেতিহাস নামক পুস্তকে এইরূপ একটি ছবি মুদ্রিত আছে । আমরা আদিম মানবের বিষয় কিছুই জানিতে পারি নাই সত্য, কিন্তু প্রাচীন মানবের সম্বন্ধে সম্প্রতি অনেক জ্ঞানলাভ করিয়াছি । ১৮৩৯ খ্ৰীষ্টাব্দে এক ফরাসী পণ্ডিত (Boucher de Perthes) erot” won co, footfo অন্তঃপাতী আবেতীল নগরপ্রান্তে সোমূনদীর তটে কত্তৰ