পাতা:প্রবাসী (প্রথম ভাগ).djvu/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ર ઝ

অবশ্য পুৰ্ব্বকালে এদেশে এবিদ্যা ছিল না । তেমনই একালের কোন বিদ্যাই ছিল না । কিন্তু এখন যেমন ইতিহাস, কবিতা, নাটক, উপন্যাস রচনার খরবেগ দেখিতে পাই, অন্যfন্ত বিষয়ের তেমন নাই । বঙ্গবিদ্যালয়ের পাঠ্য বলিয়। ডক্ট একটি বিজ্ঞানের প্রথম পুস্তক লিখিত হইয়াছে, কিন্তু জীববিদ্য। উপেক্ষিত ছিল বলিয়া সে বিষয়ে শিশুপাঠ্য পুস্তকও দেখিতে পাই না । প্রাণিবিদ্যা এ ক্ষণে প্রায় দুইভাগ করা হইয়াছে । একটি মুল, অপরটি শাখা । এই শাখার নাম প্রাণিবৃত্তান্ত । পূৰ্ব্বকালে য়রোপে প্রাণির হ্রান্ত ছিল ; কিছুকাল পূৰ্ব্ব পর্য্যস্ত উঠাই প্রাণিবিদ্যা নামে শিক্ষণ করা হইত। এক্ষণে প্রাণিবিদ্যারই প্রাধান্ত এবং প্রাণিবৃত্তান্তের আদর ক্রমশঃ হ,সি পাইয়াছে। প্রাণিরক্তান্তের নিমিত্ত প্রাণিসমূহের স্বভাব ধৰ্ম্ম অনুসন্ধান ও আলোচনা করিতে হয় । সাবধান পরিদর্শন করিতে পারিলে এ বিসয়ের জ্ঞান হয় । হংস নীর ত্যাগ করিয়৷ ক্ষর গ্রহণ করে, এ প্রকার পরিদর্শনে ফল নাই। তেল পোকা কুমরে পোকার সংসর্গে কুমরে পোকায় পরিণত হয়, ইহা পরিদর্শনের অভাবের ফল । জীববিদ্যা শিক্ষা দ্বারা যদি বিশেষ কিছু ফল হয়, তাঙ্গ সুক্ষ দৃষ্টির বিকাশ । উদ্ভিদবিদ্য ও প্রাণিবিদ্যার সমস্ত বিষয় ভুলিয় গেলে ও শিক্ষার ফলট থাকিয়া যায় । এই ফলের সহিত জীবরাজ্যের একটা সম্পর্ক জ্ঞান থাকে, যাবতীয় জীবের প্রতি একটা সহানুভূতি জন্মে। এই শিক্ষার ফলের নিমিত্ত ইংলণ্ডে আচার্যা হক্ষলী আমরণ সংগ্ৰাম করিয়া গিয়াছেন । প্রাণিবিদ্যা শিখিতে গেলে অন্ততঃ কতক গুলি প্রাণিদেহ ব্যবচ্ছেদ করা আবশুক। এ দেশ মাংসাশীর দেশ নহে ; কাটা কাটি রক্তারক্তি দেখিতে লোকে ভালবাসে না । এমন লোক আছে যাহারা তুই একবার রক্তপাত দেখিলে মূচ্ছি ত হইয়া পড়ে। ফলে যে দেশে অহিংসা পরমোধৰ্ম্ম, সে দেশে প্রাণিবিদ্যার প্রতি আকর্ষণ অল্পই থাকিবে। উদ্ভিদবিদ্যা শিখিতে এ বিঘ্ন নাই। কৃষি প্রধান দেশে উহার সমাক প্রয়োজন ও আছে। অবশু পুথিগত বিদ্যা বিদ্যাই নয়। প্রত্যক্ষভাবে স্বয়ং দেখিয় শুনিয়া উদ্ভিদতত্ত্ব সংগ্রহ করা আবশ্বক। কিছুকাল পূৰ্ব্বে কোন প্রবাসী [ ১ম ভাগ ংবাদপত্রে পড়িয়া ছলাম যে, একস্তানে হরিতকী বু:ে জাম ফল ফলিয়াছিল । সংবাদদাতা উক্ত জাম ফল স্বয় প্রত্যক্ষ করিয়াছিলেন কি না, বলিতে পারি না । কি ইহা নিশ্চিত বলিতে পারি তিনি ফ লটা ব্যবচ্ছেদ করে নাই, বাহা আকারে ভুলিয়াছিলেন । ধানের গাছে তত্ত হয়, এ বিদ্ধপের মূলে অনেক সত্য আছে। এ সকল বিদ্যা শিখিবার বিশেষ বিঘ্ন ঘরের কো:ে আমাদের বসিয়া থাকার অভ্যাস। পরমেশ্বর চক্ষু দিয়া ছেন দেখিবার নিমিত্ত ; আমরা ঘরের কোণে বসিয় দিব লোকে ও দীপের আলোকে লেথ দেখিয়াই চক্ষু সার্থকতা করি । দুঃখের বিময় সেখানে গাছপালা জনে না, পিপড়ে ও মশা ভিন্ন অন্য জন্তু বেড়াইতে আসে না আমাদের অপেক্ষা সাহেবেরা এ বিশয়ে বহু গুণে শ্রেষ্ঠ ছুটী পাইলেই, কাজের বিরাম ঘটিলেই, ভ্রমণে, বিহারে, বন ভোজনে, মৃগয়ায় বহির্গত হয় । এইরূপে শরীরট। ভা থাকে, জীবনটা সুখে ধায়, আর শিখিবার জানবার ইচ্ছ না থাকিলেও অনেক নূতন বিষয় জানিতে পারা যায় । বস্তুতঃ প্রকৃতির সহিত প্রত্যক্ষ পরিচয় সাহেব ও ফি, রঙ্গী যুবাদের যত আছে, আমরা বুড়া হইতে বসিয়াও আমাদের তত ঘটে নাই । ইহারই ফলে তাহার ব্যবসায়ী ধনশালী : আমরা নিষ্কৰ্ম্ম নিঃস্ব । তাতাদের আত্মনির্ভর আছে, আমরা পরমুখাপেক্ষী | ভাবিয়া দেখিলে বাহ প্রকৃতির সহিত যে জাতির যত সম্পর্ক, ধনাগমের পথ সে জাতির তত মুক্ত। আর, বাহপ্রকৃতির তিনভাগের দুই ভাগ জীবরাজ্য অধিকার করিয়া আছে । শ্ৰীযোগেশচন্দ্র রায় । এ ক্ষীরাৎকুম্ভ । =ত্ৰশপার অধস্তন যে সকল স্বৰ্য্যবংশীয় নৃপতি চিতোরের সিংহাসনে অধিষ্ঠিত থাকিয়া রাজপুতকুল উজ্জল এবং হিন্দুনামের গৌরবরক্ষা করিয়াছিলেন, তন্মধ্যে রাণাকুম্ভের নাম বিশেষরূপে উল্লেখযোগ্য । চিতোরের জয়স্তম্ভ (যাহ ‘ক্ষীরাংকুম্ভ “ক্ষীরোদখাধা” “জয়ংলাট” ও” বড়া কীৰ্ত্তম,” প্রভৃতি নামে অভিহিত হয়) রাণী কুম্ভের কীৰ্ত্তি। ঐ