পাতা:প্রবাসী (প্রথম ভাগ).djvu/৩৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

文为8 “পুত্রে বিশ্ৰবস; সাক্ষাং ভ্রাতা বৈশ্রবণগুচ । ইত্নাক্ত লর্ডান, প্রাধান মোচ পতগেশ্বরঃ ” এই সময়ে রাম ধনু ফেলিয়া গৃধ রাজের পদতলে অবলুষ্ঠিত হইয়া পড়িলেন। “রাজা দশরণ: ঐমান যথা মম মহাযশ: | পূজনীয়শ্চ মান্তশ্চ তথায়ং পস্তগেশ্বরঃ ॥ সীতাহরণজং দু:খং ন মে দেমা তথা গতম । যথা বিনাশে গুধ, মৎক্লতেচ পরস্তুপ ॥” এই সকল অংশে রামচরিত্র পূর্ণ বিকাশ পাইয়াছে। পুঞ্চাধ্যায়ে ধৰ্ম্ম ও কর্তৃবা নীতির আবরণে যাগ প্রচ্ছন্ন ছিল, ঠাঙ্গর সদরের নিভৃত প্রদেশে যে সকল দুঃখকথা একান্ত গোপন ভাবে বিরাজ করিতেছিল, এই বিরঙ্গোপলক্ষে সেই সমস্ত কথা বা ব্রু ইষ্টয়া পড়িয়াছে। যে সকল কথা তিনি সুনীতি ও বৈরাগ্যের আচ্ছাদনে ঢাকা দিয়া রাখিয়াছিলেন তাঙ্গ, “সীতাবিয়োগাং পুনরভূদিীর্ণ । কান্ঠৈরিবাগ্নিঃ সহসোপর্দীপ্ত: ” কৰ্ত্তবানুষ্ঠানের অবতার রামচন্দ্রকে এখানে বাল্মীকি মানবীয় ঐসম্পন্ন করিয়া আমাদের সম্পর্ণবোধগম্য করিয়াছেন। এখানে তাঙ্গার ক্রোন, তাতার চিত্ত্ববেদনার কম্পন আমাদের হৃদয়তী স্পৰ্শ করিয়া বাজিয়া উঠে । এস্থলে বিরাট ঐশ্বৰ্য্যশালী রামচরিত্রকে আমরা আপনার জনের ন্যায় ভালবাসা প্রদান করিতে পারি। কিষ্কিন্ধ্যাকাণ্ডে রাম-মৃগীব মিলন করুণরসের উৎসস্বরূপ। সে সময়ে লক্ষ্মণ রামচন্দ্রকে লইয়। বড়ই বিপন্ন। তিনি মুচমু ভূ অজ্ঞান ?ইয়া পড়িতেছেন, পার্থীর স্বরে উতলা কইয়া কি বলিতেছেন, কুমুমগন্ধে সীতার আভাস পাইয়া উদ্ধান্ত হইতেছেন, কখনও মুগ্ধভাবে ভূতলে পড়িয়। নিশ্চলত অবলম্বন করিতেছেন ; এই ব্যাকুল প্রেমোন্মাদকে লইয়া লক্ষণ অতিশয় ভীত ও ব্যতিব্যস্ত,-তিনি সুগ্ৰীবের দৃতের নিকট যে বিনীত আবেদন জানাইলেন, তাঙ্গ মৰ্ম্মস্পর্শী কাতরতাসূচক । সে অংশ পাঠকালে কোন পাঠক ཨ་ཨཱ།. সংবরণ করিতে পারিবেন ? বালী মুগ্ৰীবের স্বী হরণ করিয়াছে, শুনিয়া রামচন্দ্র মনে করিলেন, স্ট্রীহরণতুল্য পাপ আর জগতে কিছু হইতে পারে না । তখনই অগ্নিসাক্ষী করিয়া প্রতিজ্ঞা করিলেন, যে ভাবেই হউক বালীকে বধ করবেন। এ সম্বন্ধে প্রবাসী রামচন্দ্রের বিরুদ্ধে যাহা কিছু অভিযোগ হইতে পারে, তাত [১ম ভাগ বালীকি তারা ও বালীর মুথে প্রচার করিয়াছেন। অথচ রামকে ঐ ভাবে বালীহনন ব্যাপারে লিপ্ত করাইয়া তাতার চরিত্রের স্বাভাবিকত্ব বজায় রাখিয়াছেন। স্ত্রীহরণকষ্টাতুল সুগ্ৰীব স্বভাবতই রামচন্দ্রের প্রিয়তম সুহৃদ হইয়া দাড়াইয়ছিলেন। এ বন্ধুত্বের ভিত্তি আর কিছু নহে। কিষ্কিন্ধ্যাকাণ্ডে ষড় ঋতুর বর্ণনা ও তদুপলক্ষে রামচন্দ্রের বিরতগাথা চিরমধুময় সৌন্দর্য্যের স্বপ্ন স্বষ্টি করিয়াছে। বর্ষ। কালে, “ক চং প্রকাশম, কচিদপ্রকাশম, কচিং কচিং পৰ্ব্বত সন্নিরুদ্ধম, মহার্ণবসদৃশ আকাশমণ্ডল দেখিয়া "নীলকুঞ্চিতমূদ্ধজা" সীতার রাপবিধত মুখপঙ্কজ রামের স্মৃতিতে জাগিয়৷ উঠিত। নবায়ুধারাঙ্গতকেশর পদ্ম পরিত্যাগ করিয়া সকেশর কদম্বপুষ্পের লোভে অলিকুল উড়িয়া পড়িত, রামচন্দ্র তাঙ্গ। দেখিয়া “মনসা জগাম প্রিয়াং” । গতবিদ্যাদবলাহুক আকাশ শরৎকালে প্রসন্নভাব ধারণ করিল, বিরক্তকাতর রামচন্দ্র কত মধুর ও দুঃখপূর্ণ কথায় বিলাপ করিলেন। কাঞ্চন এবং কশি কুসুম প্রস্ফুটিত হইল ; সীতা এ সকল দেখিয়া কি ভাবে জীবন ধারণ করিবেন ? বাপৗর্তীর ও কাননপথে যিনি নিত্যসঙ্গিনী ছিলেন, আদ্য র্তাহাকে ছাড়া “সরাংসি সরিতোবাপি কাননানি বনানিচ । তং বিনা মৃগশাস্বাক্ষীং চরমাদ্য সুখংলভে” ৷ অসন সপ্তপণ, এবং কোবিদার পুষ্প শরৎকালে গিরিউপাস্তে প্রস্ফুটিত হইয়া রামকে উদ্ধান্ত এবং চঞ্চল করিয়া তুলিল। বন্ধুজীবের রক্তরাগ সীতার রক্তিম অধরের স্মৃতি জাগাইয়া তুলিল । “চত্বারে বার্ষিক মাসা গত বৰ্ষ শতোপমা:"- কিষ্কিন্ধাবাসের এই চারিটি মাস রামচন্দ্রের নিকট শত বর্ষের ন্তায় কাটিয়াছিল । সুগ্ৰীবের অবহেলা দেপিয়া তিনি লক্ষ্মণকে বলিয়াছিলেন, “প্রিয়াবিল্পীনে দুঃপার্তে হৃতরাজ্যে বিবাসিতে । কৃপাং ন কুরুতে রাজা সুগ্ৰীবো ময়ি লক্ষ্মণ । অনাথে হৃতরাজ্যোহয়ং রাবণেনচ ধৰ্ষিত: | রামায়ণের এই বহুঅধ্যায়ব্যাপী রামবিরহের সৌন্দর্ঘ্যের আভাস সংক্ষেপে প্রদান করা দুষ্কর। পাঠক একবার _