পাতা:প্রবাসী (প্রথম ভাগ).djvu/৩৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७२ ० এ প্রদেশের চোগা বা ‘সুক্কার’ দ্যায়। তবে ষ্টক চোগার ন্যায় সম্মুণে চেরা থাকে না । গলার নীচে ২৩টা বোতাম কিম্বা স্বতার দ্বারা বন্ধ করা থাকে ; নিয়ে বা তই পাশ্বে শেলাই করা। চোগার ন্যায় এই কোষ্ঠীও টাটুর নীচে অন্ধ হস্ত পরিমিত লম্ব এবং আস্তিন তুষ্টটিও তদনুরূপ । টুপিট পুরুষদিগের টুপির ন্যায় নষ্ঠে । ইঙ্গ সাধারণতঃ রুশীয় ছিটে তৈয়ার হয় । মাথার মাপে এই ছিট গোলাকার করিয়া সেলাই করিয়া লইলেই স্ত্রীলোকদিগের টুপি হইল । পুরুষের এবং স্বীলোকের পকতে কোন প্রভেদ নাই। চোগার উপর স্ত্রীলোকেরা একথানি চাদরও বাবচার করিয়া থাকে । এষ্ট চাদর দ্বারা মস্তক এবং শরীরের কিয়দংশ আচ্ছাদন করিয়া রাপে । ইহাতে স্বীজনসুলভ লজ্জা নিবারণ অতি উত্তম এবং সম্যক্রূপে হুইয়া থাকে। ইঙ্গাদের ভিতর অবরোধপ্রথার তত কড়াকড়ি নাই, সুতর ং ইহার ঘোমটা দিয়া লজ্জার মাত্রা বৃদ্ধি করে না । এখানকার স্বালোকের প্রায়শই সুন্দরী, কিন্তু দরিদ বণিয়া পুরুষের স্থায় অতি মলিন, অপরিণা ; এবং অপরিচ্ছন্নভাবে থাকে। বাঙ্গালির চক্ষে গিলগিট স্ত্রীলোকদিগের পোষাক, বিচি ৭ বলিয়া বোধ হওয়া স্বাভাবিক । কিন্তু নিরপেক্ষভাবে যদি একটু ভাবিয়া দেখা যায় তাগ হইলে মুক্তকণ্ঠে বলিতে চাইব যে অসভ্য গিলগিটা স্ত্রীলোকদিগের পোষাক সভ্য বাঙ্গালি স্ত্রীলোকদিগের পোষাক অপেক্ষা সহস্ৰগুণে উন্নত । অন্যান্য দেশের মত এখানকার স্ত্রীলোকেরাও অলঙ্কার পরিয়া থাকে। অলঙ্কারগুলি স্বর্ণ, রৌপ্য এবং পিত্তলের নিৰ্ম্মি । শেৰ টুইটা ধাতুই অধিক ব্যবহৃত হয়। যাহারা অপেক্ষাকৃত সঙ্গতিপন্ন, তাহারাই স্বর্ণের অলঙ্কার ব্যবহার করিতে পারে। এখানকার অলঙ্কারের সহিত হিন্দুদিগের অলঙ্কারের অনেক সাদৃশু দেখিতে পাওয়া যায় । আমাদের দেশেষদিও সভ্যতার স্রোতের মুখে অন্যান্য অনেক দ্রবোর সহিত পুরাকালীন অলঙ্কারগুলিও ভাসিয়া গিয়াছে, এবং যদিও কোন ভদ্রলোকের ঘর হইতে এই প্রকার কোন অলঙ্কার বহির হইলে তাহাকে পুথিবীর সপ্ত আশ্চর্যের ভিতর একটী করিয়া দেখা হয়, কিন্তু উত্তর-ভারতবর্ষে সৌভাগ্যক্রমে সত্যতার স্রোতের এখনও তত বেয়াড় তেজ হয় নাই। এখনও পঞ্জাব প্রভৃতি স্থানে পুরাকালীন নমুনা প্রবাসী { ১ম ভাগ । বা ধরণের অলঙ্কারই প্রায় ব্যবহৃত হইয়া থাকে। সেই সব অলঙ্কারের সহিত গিলগিটের অলঙ্কারের অনেক সাদৃশু আছে। ইচা হইতেও বুঝা যায় যে গিলগিটাদিগের সহিত কোন না কোন সময়ে হিন্দুদিগের অব গুই সম্বন্ধ ছিল । পূর্বেই বলা হইয়াছে যে এ প্রদেশের নদীগুলি অত্যন্ত থরপ্রবাহিনী । কিন্তু তাই বলিয়া কি নদীর এক পর হইতে অস্ত পারে যাওয়া যায় না ? যায় । নদীর উপর পুল তৈয়ার হয়। কাটের বা লোঙ্গর পুল মহে । দড়ীর পুল । তাঙ্গকে এপানে "কুলা” বলে এবং ইংরাজীতে kop" Bridge বলে। “বুলা” প্রস্থত করিতে গিলগিটাদের অনেক পরিশ্রম করিতে হয় এবং অনেক ইঞ্জিনীয়ারিং বুদ্ধিও থাটাইতে হয় । উভয় পাশ্বে প্রস্তরমালা (Solid rocks) থাকাতে যেখানে নদী কিছু সংকীর্ণ হইয়া চলিয়াছে, সাধারণতঃ এমন স্থানেই বুলা তৈযার করা হয়। ৫টি খুব মোটা গাছের ছালের দড়ী হইতে "লা" তৈয়ার হয়। প্রথমে ৩টি দড়ী পাশাপাশি রাখে এবং একের সঠিত অন্তকে অপেক্ষাকৃত শকু দড়ী দ্বারা বধিয়া বা বুনিয়া দেওaা হয় । তাঙ্গার পর এই ৩টি একত্রে গ্রথিত দড়ী নদীর এক তীরের পাহাড় হইতে অন্ত তীরের পাহাড় পর্যান্ত বিছাইয়া দেওয়া হয়। উভয় পাশ্বে প্রায় ৫৭ ফুট উচ্চ ২টি দেয়াল তৈয়ার করিয়া ইহার উপর ২টি গাছের গুড়ি রাখে। এই গুড়ির উপর দিয়া দড়ীগুলিকে টানিয়া নীচে আর একটি গুড়ির সহিত উত্তম রূপে বাধি । তাহার উপর প্রস্তরের দেয়াল উঠাই পুষ্ঠিয়। ফেলে। ইহাতে দড়ীগুলি বেশ টান টানা থাকে এবং খুলিয়া যাইবার ভয় থাকে না । ৩টি দড় একত্র থাকাতে প্রায় ১ ফুট বা তদধিক প্রশস্ত হয় । তাহার উপর দিয়া চলিতে হয়। অন্য ২টি দড়ী নীচের ৩টি দড়ীর উভয় পাশ্বে প্রায় এক গজ উচ্চে নদীর এক পার হইতে অন্ত পারে উক্ত প্রকারেই পাথরের দেয়ালের নীচে পুতিয়া দেওয়া হয় । এই ২টি দড়ী দুই হস্তে ধরিয়া চলিতে হয় । নীচের দড়ীগুলির সহিত উভয় পাশ্বের উপরের দন্ত্রী ২টি ২৩ গজ অন্তর পাতল দড়ী দ্বারা বাধা থাকে । ইহাতে পাশ্বের দড়ী ২টি অধিক হেলিতে দুলিতে পারে না । আবার পার্থের দড়ী ২টি যাহাতে পাশ্বেই থাকে, পরস্পরের