€లిy প্রবেশ নিদিষ্ট হয়। তদনুসারে নাটকাদিতে “নান্দ্যন্তে স্বত্ৰধারং" পাঠ দেখিতে পাওয়া যায়। বাস্তবিক এই প্রণালী অনুসরণ করিলে কে নান্দী পাঠ করিবে, তাগ নির্ণয় করা কঠিন হইয় পড়ে। কারণ, নাটকে নান্দী কাহারও উক্তি বা সঙ্গীত বলিয়া লিখিত মাছ । নাট্যশাস্ত্রের ঐতিহাসিক তথ্য বিলুপ্ত হওয়ায়, সংস্কৃত নাটকের নান্দী কাঙ্গর পাঠা, তদ্বিষয়ে উত্তরকালে অনেক বাদানুবাদের সৃষ্টি হইয়াছিল । ভরতমুনি স্বযধারকেই নালীপাঠের ব্যবস্থা দিয়া গিয়াছেন : কারণ, তখন নাদীপাঠ সমাপ্ত ঠষ্টলে স্থাপক নামক অন্ত নট আসিয়া প্রস্তাবনা আরম্ভ করিতেন। স্থাপকের আগমন রচিত হওয়ার পর সূত্ৰধার আসিয়া প্রথমে নান্দাপাঠ করিয়া তদন্তে কথা আরম্ভ করিতেন । সময় স ক্ষেপ করিবার জন্যই এই প্রণালী প্রচলিত হঠয়া থাকিবে । বলা বাহুল্য যে, অভিনয়ক্রিয়া সমুচিত শিক্ষাসাপেক্ষ বলিয়া উপযুক্ত অভিনয়শিক্ষকের প্রয়োজন হইত। এই অভিনয়শিক্ষক “নাট চার্যা” নামে পরিচিত ছিলেন । উত্তর কালে নট নামে নিম্নশ্রেণীর একটি স্বতন্ত্র জাতি গঠিত হইয়াছিল ; তাহারা সমাজে সমাদর লাভ করিতে সক্ষম হয় নাই । কিন্তু পুরাকালের নটগণ উচ্চকুলোধুব সু শিক্ষিত বাক্তি ছিলেন, এবং নাট্যাচাৰ্যাগণের শাস্ত্রাধাপকের ন্যায় প্রভূত সম্মান পরিলক্ষিত হইত। "মালবিকাগ্নিমিত্রে" তাহার প্রমাণ প্রাপ্ত হওয়া পায় । রাজার নিকট নাট্যাচার্য্যগণ কিরূপ সমাদর ও আসন লাভ করিতেন, গণদাস ও হরদত্ত নামক নাটাচাৰ্য্যদ্বয় তাঙ্গার দৃষ্টান্ত দেখাষ্টয়া গিয়াছেন। বাহুল্যভয়ে তাঙ্গ উদ্ধত হইল না। ভরতপ্রণীত নাট্যশাস্ত্রে নাট্যাচার্যোর যে সকল লক্ষণ দেখিতে পাওয়া যায়, তাছাই যথেষ্ট । নাটাচাৰ্যই স্বত্রধার হইতেন। স্বত্রধার শাস্ত্রে ও শিক্ষাদানে সুপণ্ডিত না হইলে নাট্যাচার্যাপদে আরূঢ় হইতে পারিতেন না । নাটামগুপে নাটাচার্য্যই সৰ্ব্বকার্য্যের নিয়ামক সকলে র প্রভূ । অন্তান্ত নটগণ র্তাংরি আজ্ঞানুবৰ্ত্তন করিতেন। সেকালের নাট্যাচাৰ্য্যগণ কিরূপ সুপণ্ডিত ছিলেন, তাহার পরিচয় দিবার জন্ত ভরতবিরচিত নাট্যশাস্ত্র হইতে স্বত্রধারগুণ উদ্ধত হইল । युरो “চতুরে নাট্যকুশল: শাস্ত্রীতিপ্রতিষ্ঠিত: | ब्रtबt *tiष७काराjtछ। मौछि*tद्धt९{३ख्थt ॥ প্রবাসী | ১ম ভাগ । বেঙ্গোপচারণিপুণঃ কাব্যশাস্ত্রবিচক্ষণঃ। নানাগতিপ্রচারঞ্জে রসভাকবিশারদ: | নাট্য প্রয়োগকুশলে নানা শল্পসমম্বিতঃ। ছুলো বিধানতত্ত্বজ্ঞ: সৰ্ব্বশাস্ত্রবিচক্ষণ: | গ্রহনক্ষত্র তত্ত্বত্ত্বে দেশবা তারতত্ত্ববিৎ । পৃথিলীদপবমানং পৰ্ব্বতন জনস্ত চ | প্রমাণাচার - জ জ্ঞশ্চ রাজবংশপ্রগুড়িবিং। শ্ৰেত শ{{থক।যানাংশ্র (চৈব(বধlরক: | অল ধ{য় প্রয়েন্ত চ শ|{gৈবে{পদেশনে । এবং গুণ স্তথাচযা; সুত্র ধরে বিধীয়তে ॥” এরূপ গুণগণান্বিত নাট্যাচার্য্যের সহিত আধুনিক নাট্যাচাৰ্য্য গণের তুলনা হইতে পারে না বলিয়াই তাছারা নাট্যাচায্যের পুরাতন সমাদর লাভ করিতে সক্ষম হন নাই । নাট্টাচাৰ্য্যগণই সেকালে গীত বাদ্য নৃত্য ও অভিনযের শিক্ষক ছিলেন। কবিগণের সহিত তাঙ্গদের সপা ছিল । অভিনয়ে স্ত্রীপুরুষ নিযুক্ত হইত ; কিন্তু স্ত্রীলোকদিগকেও নাট্যাচাসোর নিকট ন ত্যশিক্ষা করিতে হইত। "মালবিকাগ্নিমিত্রে” ইহার প্রমাণ প্রাপ্ত হওয়া যায় । মালবিক নাট্যাচার্য। গণদাসের নিকট "চলিত" নামক নৃতাশিক্ষার্থ প্রেরিত হইয়াছিলেন। সন্ধান্ত পুরমহিলারাও যে নাট্যাচার্যাগণের নিকট নৃত্যগীত ও অভিনয়াত্মক হাব ভাব শিক্ষার্থ প্রেরিত হইতেন, ইহাষ্ট সেকালের নাট্যাচাৰ্যাগণের সুবিমল চরিত্রের প্রচুর প্রমাণ । কোন কোন নাটকে পুরুষেও স্ত্রীলোকের অভিনয় করিবার প্রাণ দেখিতে পাওয়া যায় ; যেন ভবভূতিপ্রণীত “মালতী মাধবের” প্রস্তাবনায় সূত্ৰধার ও নট অভিনয় করিতে করিতে তৎক্ষণাৎ সুত্ৰধার “কামন্দকী” হইলেন, এবং নটও বলিয়া উঠিলেন,"এই দেখ আমি ও অবলোকিত সাজিলাম।” স্থলবিশেষে এরূপ হইলেও, সাধারণত: স্ত্রীলোকেই স্ত্রীলোকের অভিনয় করিতেন । যথোপযুক্ত পাত্র পাত্ৰী নিৰ্ব্বাচনে নাট্যাচার্যগণকে বিলক্ষণ আযাসস্বীকার করিতে হইত। বিদূষক নির্বাচনে নটের স্বাভাবিক আকৃত প্রকৃতির বিচার করাও আবগুক হইত। কিরূপ লোককে বিদূষক নিৰ্ব্বাচন করা কর্তব্য, ভরতমুনি তাহার এইরূপ আভাস দিয়া গিয়াছেন ; যথা--- "বামনে মন্থর কুঞ্জে দি জন্ম বিকৃতাৱনঃ। খলক্তি পিঙ্গলাক্ষশ্চ স বিধেয়ে বিদূষক: "
