পাতা:প্রবাসী (প্রথম ভাগ).djvu/৪১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৮ম ও ৯ম সংখ্যা । ] এ8প পরিহাসাম্পদ,আকৃতিবিশিষ্ট অভিন কুশল পাত্র প্রাপ্ত ৪য়া সহজ নহে । তজ্জষ্ঠ্য নানাদিগেদশ হইতে যথাযোগা বা ক্ৰ নিৰ্ব্বাচন করিতে হইত। প্রায় পূৰ্ব্বদেশের লোকেই বিদুষক সাজিবার জন্য নিযুক্ত হইতেন । পাত্রনিৰ্ব্বাচনের ন্যায় বসন ভূষণ ও অস্থাদি নির্বাচনেও দেশ কাল ও শাস্ত্রজ্ঞানের পরিচয় প্রদান করিতে ৪ইত । এনকার রঙ্গালয়ে বদন নিৰ্ব্বাচনে কোনরূপ দেশ কালজ্ঞতার পরিচয় প্রাপ্ত হওয়া যায় না । নাটকের পা এপা স্ত্রীগণ যে লের লোক,সেই কালোচিত বসন ভূষ। ব্যবহৃত না চইলে, অভিনয়ের স্বভাবানু করণমাঙ্গায়া নষ্ট হইয়া যায় । তজ্জন্য সেকালের নাট্যাচার্যাগণকে এ বিষয়ে সবিশেষ দৃষ্টি রাখিতে কেবল তাহাঙ্ক নহে ;--বসনের বর্ণ নিৰ্ব্বাচনে ও সকল বর্ণের পরিধেয় সকল রসের অনুকূল হইতে পারে না । সুতরাং রসের প্রতি লক্ষ রাশিয়া বসনের বর্ণ বি,ার করা আবশ্বক 株秀 ジ秀5 | “ খ্যমে ভবতি শুঙ্গ'র; সিতে হাস্যঃ প্রকাণ্ডিতঃ । কপোতঃ করুণশৈচল রক্তে রী দঃ প্রক ‘ত্তি ত; } গেীরে বীরস্থ বিজ্ঞেয়ঃ কৃষ্ণশ্চৈব ভয়ানক । নীলবর্ণপ্ত বীভৎসঃ পীতশ্চৈবাস্তুত: স্মৃত: ” অভিনয়ের অনুকূল অঙ্গরা প্রকাশিত করিবার জন্য নানা প্রকার বর্ণচূর্ণ ব্যবহৃত হইত। কোন কোন নাটকের প্রস্তাবনায় নেপথ্য-বর্ণনায় দেখা যায়, তথায় পাশ্বচরগণ বিবিধ বৰ্ণপেষণে নিযুক্ত। এইসকল বর্ণের মধ্যে হরিতালই প্রচুর পরিমাণে ব্যবহৃত হইবার প্রমাণ প্রাপ্ত হওয়া যায় । তজন্ত অভিধানে চরিতাল "নটমণ্ডন” ও “নটভূষণ" নামে অস্থাপি উল্লিখিত হইয়া থাকে ; “র মালায়” ইহা দেখিতে পাওয়া যায়। সেকালের নাট্যাভিনয় উৎসবমধ্যে পরিগণিত ছিল ; এবং জাতীয় মহোৎসবে বা বিবাহাদি মাঙ্গলিক ব্যাপারে, অভিনয় একটি পরিচিত উৎসবাঙ্গ বলিয়া পরিজ্ঞাত ছিল । প্রচলিত নাটকাদিতে দেখা যায়, এই সকল উৎসব উপলক্ষে নুতন নাটক অভিনীত হইত, - তদুপলক্ষে অনেক নূতন কবি খ্যাতিলাভ করিয়া কৃতার্থ হইতেন । মহাকবি ভবভূতিবিরচিত মহাধীরচরিত, উত্তররাম চরিত এবং মালতীমাধব ভগবান কালপ্রিয়নাথের প্রবাসী రిల్సి মহোৎসব উপলক্ষে প্রথম অভিনীত হও,ার পরিচয় তত্ত্বৎ নাটকের প্রস্তাবনা । দেখিতে পাওয়া যায় । রত্নাবলী শ্ৰীহৰ্ষদেবের মদনমহোৎসবে প্রথম অভিনীত ইয়াঞ্ছিল । এই সকল অভিনয়ে নানা সামন্ত নরপতি, রাজপদোপজীবী অমাতালগ ও বিবিধ বিদ্বন্ম গুলী দশক রূপে উপস্থিত থাকিতেন । পুরুষের কথা দূরে থাকুক, সেকালের পণ্ডিত মচিলাম গুলীও নাট্যশাঙ্গে কতদূর পারদশিনী ছিলেন, “মালবিকাগ্নিমিত্রে” তাঙ্গর বিলক্ষণ অা ৬াস পাওয়া যায় । ইরদত্ত ও গণদাসের মধ্যে নাট্যশাস্ত্র ও অভিনয় শিক্ষাদানে কে যাগাতর, তাতার বিচারভার একজন মহিলার উপরেই অপিত হইয়াছে । ন।8্যশাস্ত্রের আবির্ভাবকালের দ্যায় তিরোতাবকালের নির্ণয় করাও কঠিন বা পার হইয়া উঠিয়াছে । স্বাধীন রাজার অনুকম্প বলে নাট্যাভিনয় প্রতিষ্ঠা লাভ করিয়া ছল । তাহারা সমুচিত বেতন দান করিয়া নাট্যাচার্যাগণকে অক্তিনয় সম্পাদনে উৎসাঙ্গি ও করিতেন । কোন কোন স্থলে একের অধিক নাট্যাচাৰ্য্যও রাজানু গ্রহে প্রতিপালিত হইতেন । তাতাদের অধঃপতনের সঙ্গে সঙ্গেই যে নাট্যকলার অধঃপতন সাধিত হইয়াছিল,তাগষ্ট সম্ভব বলিয়। বোধ হয় । “বেণীসংঙ্গার" নাটকের শেষে এইরূপ একটি করুণ কবিতা দেখিতে পাওয়া যায়। যথা ; -- "*{লা লীপকুভাসিতব্যসমিনস্তে রাজহংস{থ ঠা YS 0KSYYYDSKK DBBBSDS B B00 BBS SS স1ল’করনদপ্রসপ্লমধুরকারঃ কবীন গির: প্রাপ্তমীশময় তৃ ভূমিবলয়ে জায় প্রবন্ধে মহাম্‌ ৷” রাষ্ট্রবিপ্লবে রাজানুপালত সুকুমার সহিত্যের সঙ্গে নাট্যকলাও ভাসিয়া গিয়াছিল । নাট্যাচার্যাগণ উচ্চ আদর্শ হইতে ক্রমশঃ স্থলিত ইয়া উদরামের প্রলোভনে নটজাতিতে পরিণত হইয়াছিলেন। সংস্কৃত সাহিত্যানুরাগ তিরোহিত হইবার সঙ্গে সঙ্গে ভাষানিবদ্ধ যাত্রাদির অভু্যদয় হইয়া প্রাচীন নাট্যকলা বিলুপ্ত হইয়া গিয়াছিল। এখন আর তাঙ্গাকে সঞ্জীবিত করিবার সম্ভাবনা নাই । তাহা চিরদিনের মত ইতিহাসের জীৰ্ণমন্দিরে আবর্জনারাশির মধ্যে বিলুপ্ত হইয়া গিয়াছে । সে কাব্যালাপসুভাশিতব্যসনী রাজহংসকুল যে পথে মহাপ্রস্থান করিয়াছেন, নাট্যকলাও সেই পথেই অন্তধর্শন করিয়াছে ! এখন কেবল তাহার স্বধৰ্ম্মতিই