পাতা:প্রবাসী (প্রথম ভাগ).djvu/৪২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૭88 ইচ্ছামত সমুন্নত হক্টতেছে না। কিন্তু নিৰ্ভীক সমালোচনায় যে যোগ্যতা আবশ্যক, তাত আমাদের মধ্যে কোথায় আছে ? তাহার অভাবে সমালোচকগণ হয় নিভাজ স্থতি, না হয় অনর্গল নিন্দ লইয়া লেখন চালনা করিতে বাধ্য হন। তক্ষষ্ঠ আমাদের সাহিতা-সমালোচনা কেবল বাক্যস্থপে পরিণত চৰ্চয়া থাকে । বঙ্গ সাহিত্যের এক্ট তদশ লক্ষ্য করিয়া ও কবি যথাযথ সমালোচনা করিবার চেষ্টা করেন নাই ; অধিকাংশ স্থলেই সমালোচনার দোহাই দিয়া অকৈতবে নিন্দার তপ্ততৈল ছিটাঠয়া দিয়া নেপথ্যে প্রস্তান করিয়াছেন। কিন্তু কুঞ্জাপি সাঙ্গসের কিছুমা এ অভাব ঘটে নাই । বরং দুই এক স্তলে স্পষ্টই বোধ হইয়াছে যেন “ হাউই কহিল, মোর কি সাচস ভাই ! তারকার মুখে আমি দিয়ে আসি ছা । ” এই পিচুড়া-ভোজের প্রথম ছয় পা ত ভীষ্ম দ্রোণ ভীমাৰ্জ্জুন প্রভৃতি পুণ্যশ্লোক বীরবৃন্দের উদেখে নিবেদিত প্রেতবলি ; তাছার পিগুশেষ মহার্য বাল্মীকির নামে উৎসর্গ করা হইয়াছে। ইছাদের পুণান্মতি এরূপ রঙ্গরসের আবর্তে টানিয়া আনিবার প্রয়োজন ছিল না । নিবেদিত শ্রাদ্ধপাণে যে খিচুড়ী পতিত ইণছে, তাই ভাল সিদ্ধ হয় নাই,— পলাওর গন্ধও বিলক্ষণ! তাদের কপাল! প্রথম পাতায় যাঙ্গ পড়িয়াছে, তাঙ্গা ও ভাল সিদ্ধ হয় নাই । একটু নাড়িয়া চড়িয়া দেখিয়া শুনিয়া রাধিতে পারিলে হয়ত এমন হইত না । নমুনা এইরূপ - “প্রেমের বদ্যায় ভেসে গেল আগষ্ঠা এমন সাধের দেশটা, তবুতো দেখ ছ কাতার এখনও ভাঙ্গি লন প্রেমন্তে ।" আজকাল “খোয়াড়ি ভাঙ্গার" কথা যথেষ্ট শুনিতে পাওয়া যায় : “তষ্টাভাঙ্গা” কথাটা বুঝি নূতন উঃয়াছে ? “মিটিলন প্রেমতেঃ ” লিখিলে কিন্তু বাঙ্গালা ঠিক হইত। ক ব বোধ হয় “প্রেমাত্মক” সাহিত পাঠেই অবসর শূন্ত ; নচেং বৰ্ত্তমান বঙ্গ সাহিত্য সে কত বিভিন্ন পথে ধাবিত হইতেছে, তা তিনি অবশ্যই দেখিতে পাইতেন ! “প্রেমে”র বন্যায় ভাট পড়ে পড়ে হইয়া আসিয়াছে। অতিশয়োক্তিতে গ্রন্থারম্ভ করিয়া আদ্যন্ত তাহার ছড়াছড়ি প্রবাসী ১ম ভাগ । কfরতে গিয়া গোস্বামিপাদ অনেক স্থলে আপনাকে কিয়? পরিমাণে হাস্তাম্পদ করিয়া তুলিয়াছেন। সেই সকল স্তলে নিদোষ হাস্যরসের অবতারণার চেষ্টাও কিয়ৎপরিমাণে সফল হইয়াছে । সপুম পাতা হক্টতে প্রকৃত ভোজমারম্ভ । তাহাতে কিন্তু সনাতন পদ্ধতি সুরক্ষিত হয় নাই। কারণ,-পংক্তিভোজের সর্ব্ব প্রথমে বর্ণশ্রেষ্ঠ ব্রাহ্মণকে আসন প্ৰদস্তু তযু নাই ; আসন পাইয়াছেন ঘোষকুলকমগোপ্তাসক সানুজ শ্ৰীসক্ত শিশিরকুমার ঘোষ। কিন্তু ভ্রাতৃস্গল বক্তবৎসরের সাহিতাসেবার পুরস্কারস্বরূপ যাচা লাভ করিয়াড়েন, তাতাতে ঝালের মাত্রাষ্ট বেশী । সে ঝাল দেশী লঙ্কার হইলে তত কষ্ট হ'ষ্টত না ; তাঙ্গ বিলাতী রাক্ট,--যেমন ঝাল, তেমনই ঝাঝ ! নমুনা এইরূপ — “এদের সাহস আছে চিৰ্ম্মৎ আছে আছে প্রতিভার ভাতি, শিশির ঘোয়ে গেীরা ভজে কলম চালায় মতি ।” প্রভুপাদ অদ্বৈন্তগোস্বামী শ্ৰীগৌরাঙ্গভজনার প্রধান প্ৰবৰ্ত্তক । তাঙ্গারই কলপবন, বংশ প্রদীপ মুশীল শিশির কমারকে গৌরাঙ্গভজনার জন্য বাঙ্গ করিয়াছেন; ইহা নিতান্তই বিলাতী রাই গোলা ! ঘোষলতৃিযুগলের পাশ্ব একত্র এক ভোজনপাত্রে উপবিষ্ট “মাননীয়” সুরেন্দ্রনাথ ও রমেশচন্দ্র কাচ পাকা ও পোড়া খিচুড়ী প্রাপ্ত হইয়াছেন । রমেশচন্দ্রের “শতবর্ষ” বঙ্গসাহিত্যসমাজে সুপরিচিত । কবি তাহাকে লক্ষ্য করিয়া লিখিয়াছেন : “শতবর্ষে Grub Street হইয়াছে কাণা, সবাই গড়ে বঙ্গভাষ কারে করবো মান ।” রমেশচন্দ্রের পক্ষে “শতবর্ষ”—রচনার চেষ্টা ধৃষ্টতামাত্র, – একথা বলিতে গিয়া, কবি যথেষ্ট সাঙ্গসের পরিচয় দিয়াছেন ! এরূপ সমালোচনা যথাৰ্থ ই নিৰ্ভীক । ইহাতে বিলক্ষণ বাহাদুরী আছে ।