পাতা:প্রবাসী (প্রথম ভাগ).djvu/৪৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৮ম ও ৯ম সংখ্যা । ] সূযোর তাপ ঘনীভূত করিয়া এমন প্রচও তাপের যোগাড় করিতেছেন যে,তাহার তুলনায় কাঠ কয়লার আগুন শীতল বোধ হইবে । তাপ পাইলে তাড়িত উৎপাদনের ভাবনা পাকিবে না, তাড়িতের ভাবনা গেলে যে সে লোকের ধর করার রণধাৰাড়া, প্রদীপ জ্বালা, সবই অনfয়াসে চলিতে পারবে। খরচই বা কি ? স্বর্ষোর তাপ একত্র করার কথা । কাজেই কঠষ্ট বল, কয়লাই বল, কেরোসিনই বল, কিছুই দরকার থাকিবে না । এসকলেও তাচার সাহসের পরিচয় পাওয়া গেল না । মানুষকে সৃষ্টিকৰ্ত্তার আসনে বসাইতে না পারিলে আর কি &লে ! জড়ের যোগাযোগে বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের মাবতীয় বস্ত্রর উদ্ভব । সেই জড় যদ উৎপাদন করিতে পারা যায়, তাঙ্গ। চলেই মানুষ একটি ছোট খাট সৃষ্টিকৰ্ত্ত কষ্টতে পরিবে । পত্তমান রসায়ন শাস্ত্র বলেন মে, জড় লোপ ও করিতে পারা যায় না, সৃষ্টিও করিতে পারা যায় না। একথা সত্য, কিন্তু তাহার মতে বলা উচিত, এ পর্য্যন্ত লোপ বা স্বষ্টি করিতে পারা যায় নাই। কেননা, স্বঃ জড় লৰ্চয়াচ রাণায়নিকেরা নাড়াচাড়। করিতেছেন । কিন্তু তা বলিয়া জড়ের ধ্বংস ব| স্ষ্টি করা অসম্ভব বলা অন্যায় । লর্ড কেলভিন জড়ের যে আদিরূপ বলিয়াছেন, তাঙ্কাকেই ধরিয়া টেস্থল প্রত্যক্ষযোগ্য জড় সৃষ্টি করিবার উপায় চিন্তা করিতেছেন । লর্ড কেলভিনের অনুমান আমাদের প্রাচীন ঋষিদিগের মতের তুল্য। বিশ্বব্যাপী আকাশ পদার্থ চইতে যাবতীয় জড়ের উৎপত্তি । পুষ্করিণীর স্থির জলে আবৰ্ত্ত জন্মিলে যেমন তাছা চারিদিকের জল হইতে পৃথক দেখায়, তেমনই সৰ্ব্বৰ্যাপী অতীক্রিয় আকাশের কোন স্তানে আৰম্ভ জন্মিলে তাছা জড়ের আকার ধারণ করে । কথাটা মোটামুটি এই। তবে অfমর ঘাহাকে জড় বল, তাছা আবৰ্ত্তিত আকাশ মাত্র । আকাশে আবৰ্ত্ত জন্মাও, জড় স্বষ্টি হইবে ; আৰপ্ত জাঙ্গিয়া দাও, জড় আকাশে লীন হইবে। তবে জার জড়ের বিনাশ ও স্বস্থাি তত কঠিন কৰ্ম্ম কি ? খুব শীতে বা অন্ত উপায়ে আকাশবৰ্ত্ত ভাঙ্গিতে পারিলে, এবং প্রচও তাড়িতে বা ইহার মত কোন প্রচও শক্তি দ্বারা আবৰ্ত্ত উৎপাদন করিতে পাধিলে, জড়ের ধ্বংস বা সৃষ্টি করা বাকি ६ॉकिएब नः । প্রবাঙ্গী 心捡 সুধ কি তাই ? যে কোন পদার্থই তখন ইচ্ছামত উৎপাদৰ করিতে এবং তেমনই ইচ্ছামত তাঙ্গাকে শূন্তে মিলাইতে পারা যাইৰে । যেখানে এখন কোন জড় দেখিতেছি না, মনে করুন একটা গ্রহ, সেখানে একটা গ্রহের সৃষ্টি হইতে পরিবে, ইত্যাদি, ইত্যাদি । সাহিত্যিক । প্রসিদ্ধ রাসায়নিক আবিষ্কন্তু অধ্যাপক প্রফুল্লচন্দ্র রায়, ডি এসসি কয়েক বৎসর ৪ঠতে প্রাচীন হিন্দুদিগের রসায়ন শাস্ত্র সম্বন্ধে গবেষণা করিতেছেন । তাঙ্গারা সেকালে এবিষ্ঠার কতটা উন্নতি করিয়াছিলেন, তিনি তাঙ্গর ইতিহাস লিপিতেছেন। এতদথে তিনি অনেক বৎসর ধরয় ভারতবর্ষের নান প্রদেশ গুষ্টতে হস্তলিখিত প্রাচীন পুথি সংগ্ৰহ করিয়া অধ্যয়ন করিতেছিলেন। গবৰ্ণমেণ্টের নিকট হৃষ্টতে তিনি এবিষয়ে আর্থিক ও অন্তবিধ সৰ্ব্বপ্রকার সাহায্য পাষ্টয়া আসিতেছেন । সম্প্রতি ৬ার পুস্তকের প্রথমথগু যন্ত্রস্ত হইয়াছে । ঠত। ইংরাজী ভাষায় লিখিত হইয়াছে । প্রথম খণ্ড রয়েল আটপেঞ্জী আকারের আনুমানিক ৪৫০ পৃষ্ঠা পরিমিত গুইবে । তন্মধ্যে গ্রন্থের ঐতিহাসিক উপক্রমণিকা প্রায় ১০০পৃষ্ঠা পরিমিত হইবে । গ্রন্থকার ঋগ্বেদে, বিশেষত: অথৰ্ব্ববেদে ।khony তে বিশ্বাসের সুচনা পাইয়াছেন ; দষ্টান্থস্বরূপ বলা যাইতে পারে যে ঋগ্বেদের সময়ের আর্য্যেরা সোমরসকে এক প্রকার “রসায়ন” মনে করিতেন । অসৰ্ব্ববেদ কষ্টতেই আয়ুৰ্ব্বেদের উৎপত্তি । মায়ুৰ্ব্বেদ একটি অথৰ্ব্ববেদোপাঙ্গ বলিয়া বিবেচিত হয় । প্রথমভাগের নাম আয়ুৰ্ব্বেদিক যুগ রাখা হইয়াছে। ইঙ্গতে চরক সুশ্রতে রসায়ন সম্বন্ধে যাহা লিখিত মাছে,তাঙ্গ সংগৃহীত ইয়াছে। কিছুকাল পুৰ্ব্বে ডাক্তার রায় বঙ্গীয় সাহিত্যপরিষদের এক অধিবেশনে বলিয়াছিলেন,—“এই চরক স্বশত সম্বন্ধে পাশ্চাত্য পণ্ডিতেরা অনেকে অনেক কথা বলেন । এডিনবরার ডিউগালড, ইয়ার্ট বলেন, এসকল তথ্য ব্রাহ্মণের গ্ৰীকদিগের নিকট হইতে চুরি করিয়াছিলেন । বাস্তর্ষিক তাহা নহে । ক্ষার-কৰ্ম্ম নামে যে অধ্যায় আছে, তাহাতে ক্ষারভেদে আধার পাত্রাদির স্বেরূপ ব্যবস্থা দেখা যায়, আমি সেগুলি নিজে পরীক্ষা করিয়া অজ্ঞাতপূৰ্ব্ব কৰ পাইলাছি।