পাতা:প্রবাসী (প্রথম ভাগ).djvu/৪৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৮৪ আছে । তাঙ্গার কার্য সুচারুরূপে সম্পন্ন হইতেছে। ইহা হইতেই সিমলা-প্রবাসীর কতদূর মাতৃভাষানুরাগ তাহা বেশ বুঝা যায় । সাষ্ঠী হউক, সম্প্রতি গ্ৰন্থ গুলিকে বিক্রয়ের হস্ত চষ্টতে রক্ষা করিয়া পুস্তকালয়ের কর্তৃপক্ষ য়ুগণ বাঙ্গলসাধা“আমরা বর্তী লাইবেরী” "ইণ্ডিয়ন লাইবের” ভূক্ত স্তষ্টয়াছে । মিরজপুর—মিরজাপুরে পূৰ্ব্বে অনেক বাঙ্গালীর বাস ছিল, কিন্তু বড় বড় আফিসগুলি উঠিয়! যাওয়ায় বাঙ্গালীর সংখা সমধিক হ্রাস প্রাপ্ত হইয়াছে। এখানে মিউনিসিপলিটার সাহায্য প্রাপ্ত একটি সাধারণ পুস্তকাগার আছে। এপর্য্যস্ত উঠতে কেবল ষ্টরাঙ্গ উদ্ধ, ও সিন্দী পুস্তক রথিত হইতেছিল । সম্প্রতি স্থানীয় বাঙ্গালী ভদ্রস স্থানগণের ষ্টোয় একটি বাঙ্গাল বিভাগ খুলা হইয়াছে। গত মাসে উঠাতে ৫১ খানি বাঙ্গালা পুস্তক ছিল এবং নুতন গ্রন্থ সংগৃষ্ঠত ঠইতেছিল। এক্ষণে বোধ হয়, বাঙ্গালী বিভাগের পুস্তকসংগা একশত গুচাব । বাঙ্গাল। সাময়িক ও সংবাদ পত্র একখানিও নাই। মিরজাপুরের প্রসিদ্ধ উকীল ত্রযুক্ত কেদার নাগ ভট্টাচার্য মহাশয়ের সম্পাদকতায় এবং স্থানীয় শিক্ষিত বঙ্গ সপ্তম গণের সঙ্গানুভূতি দ্বারা পুস্তকালয়টির উত্তরোত্তর উন্নতি হইতেছে । ফয়জাবাদ-এপানে ১৮৯১ সালের সেন্সাস অনুসারে ৩৫৩জন বাঙ্গালর বাস । সম্প্রতি ফয়জাবাদে কতিপয় সন্ধান্ত ব্যক্তি "বঙ্গসাহিতাসমাজ" নামে একটি বাঙ্গালা পুস্তকালয় ও পাঠাগার সংস্থাপিত করিয়াছেন। আপাততঃ প্রায় ১০০ গ্রন্থ সংগৃহীত হইয়াছে। প্রসিদ্ধ পরিব্রাজক বঙ্গসাহিতাসেবক ত্রযুক্ত চন্দ্ৰশেখৰ সেন মহাশয় এসময় ফয়জবাদ-প্রবাসী ওয়ায় পুস্তকালয শীঘ্র উন্নতি লাভ করিকে সনোচ নাই । R. ঝাঙ্গী-১৮৮৯ সালে ডাক্তার শ্ৰীক্ত রাজেন্দ্রনাথ চৌধুরী কর্তৃক “বঙ্গসাহিত্য-সমাজ” নামে একটা বাঙ্গালা পুস্তকালয় ও পাঠাগার স্থাপিত হয়। পুস্তকালয়ট প্রথমে ঝাঙ্গীর রাণীর প্রাসাদে স্থান পাইয়াছিল ; তখন ইহাতে ৩• • বাঙ্গাল গ্রন্থ ছিল। পরে ইহাকে ঝান্সী গভমেন্ট ज्वल झानाख्ब्रिङ कब्र रुग्न । डेश डेङ क्रूणब्र दिउँौग्न শিক্ষক ঐযুক্ত গিরীশচন্দ্র বিশ্বাস মহাশয়ের তত্ত্বাবধানে রণের কৃতজ্ঞতাভাজন হঠয়াছেন । প্রবাসী' [ ১ম ভাগ । রহিয়াছে। ১৮৯৩ অন্স পৰ্য্যন্ত ইহার কার্য্য মুন্দর ভাবে চলিয়াছিল। তাঙ্গার পর হঠতে ইহার অবনতি আরম্ভ হয়। ৩০০ পুস্তকের স্থানে এক্ষণে প্রায় ১৫০ খণ্ড গ্রন্থ অবশিষ্ট আছে। নূতন পুস্তক আর সংগৃহীত হইতেছেন । যাহা একশত গ্রাঙ্গকের সাঙ্গাখো এবং শ্ৰীসূক্ত নগেন্দ্রনাথ বন্দোপাধ্যায়, শ্ৰীযুক্ত অবিনাশচন্দ্র মিত্র এবং প্রতিষ্ঠাতাপ্রমুখ উৎসাষ্ঠী ব্যক্তিগণের যত্নে উন্নতিপথে অগ্রসর হইয়া, ছিল এবং ঝান্সী প্রবাসী বঙ্গসস্থানগণের মাতৃভাষাচর্চার কেন্দ্রস্তল স্বরূপ বিরাজ করিতেছিল, এক্ষণে তাঙ্গা সাধারণের সহানুভূত অভাবে এবং প্রতিষ্ঠাতাগণের অনুপস্থিতিতে বিলুপ্ত প্রায় হইয়াছে। ঝান্সীতে ১৮৯৩ সালের সভা প্রতিষ্ঠিত হয় । গভমেন্ট হাই স্কুলের ছাত্রগণ ১৮৯৬ সালে উঠাতে সংবাদপত্রাদ সংগ্রহ করয় উঠাকে পাঠগোষ্ঠীতে পরিণত করেন। ইঙ্গার সভাগণ সকলেই শিক্ষিত এবং উংসাষ্ঠী। এলাঙ্গাবাদের বঙ্গসা তোংসাহিনী সভার কর্তৃপক্ষীয়গণ তন্ত্রস্ত বান্ধবসমিতির হস্তে সভার ভার অর্পণ করিয়া যেরূপ পুস্তকালয়টকে রক্ষা করিয়াছিলেন ঝান্সী বঙ্গ সাহিত্য সমাজ তদ্রুপ “Friends Association”etz হস্তে অপিত হইলে, বোধ হয়, পুস্তকালয়ট পুনর্জীবিত হইতে পারে। শুনা যায় ইতিপূৰ্ব্বে এরূপ প্রস্তাব ছাত্র সমাজ হইতে উঠিয়া ছল । কিন্তু বঙ্গসাহিত্যসমাজের ভূতপূৰ্ব্ব সম্পাদক মহাশয় সহসা উহা হস্তান্তরিত করতে ইচ্ছা করেন নাই। তিন অবগু ঝান্সতে থাকিলে পুস্তকলয়টার তত্ত্বাবধান করিতে পারিতেন । কিন্তু এক্ষণে তাহার অনুপস্থিতিতে, গভমেণ্ট স্কুলের শ্রদ্ধাস্পদ হেডমাস্টার শ্ৰীমুক্ত বিপিনবিহারী বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ঐক্ত গিরীশচন্দ্র বিশ্বাস মহাশয়দ্বয়ের চেষ্টায়, উৎসাহী যুবকসমাজের হস্তে ন্যস্ত হইলে পুস্তকালয়ট পুনঃ প্রতিষ্ঠিত হইতে পারে। শ্ৰীজ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস । মান্তবর ত্রযুক্ত প্রবাসীর সম্পাদক মহাশয় মাস্তবরেষু। মহাশয়-প্রবাসী বাঙ্গালীদেরমধ্যে বাঙ্গালাভাষার চর্ক কিরূপ হইতেছে, কোন স্থানে কিরূপ সভা সমিতি সংগঠিত হইয়া বাঙ্গালীদের পরস্পর মিলনের সুবিধা স্বধোগ কর হইয়াছে,