পাতা:প্রবাসী (প্রথম ভাগ).djvu/৪৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

f ১০ম সংখ্যা । ] তাহার বিবরণ প্রকাশ করিয়া “প্রবাসী” বেশ কাজ করেতেছেন । এলাহাবাদ সাহিত্যসভা, সাহিত্যসম্মিলন,সাহিত্যমন্দির, বান্ধবসমিতি ইত্যাদির আবিভাবের সংবাদ শুনিয়া আমরা বিস্মত না হইয়া থাকতে পারি নাই । ইষ্ঠাতে আর কিছু হউক আর না হউক, প্রয়াগস্থ বাঙ্গালদের কার্য্যতৎপরতা ও বাঙ্গালা সাহিত্যানুশীলনের ইচ্ছা এখনও বিনষ্ট হয় নাই—ইহ। দ্বারা বলক্ষণ প্রমাণিত হইতেছে। দুঃখের বিষয় পাঞ্জাব ও উত্তরপশ্চিম প্রদেশের অনেক স্থানেই বাঙ্গালীদের নির্জীবভাব নয়নগোচর করলে, যাহার হৃদয়ে এখন ও কোন উৎসাহ ফুলঙ্গ বৰ্ত্তমান আছে, ঠাঙ্গাও নি, বয়া যাহতে আরম্ভ করে । দেরাদুন ক্ষুদ্র সঙ্গর ; যদিও ভারতীয় জরীপবিভাগের

  • {{ {া এয়ের এক শাখার কেন্দ্রস্তান বলয় গত ৪০ বৎসরের পূৰ্ব্ব হইতেই এখানে বাঙ্গালীর পদার্পণের চিহ্নসকল দৃষ্টিগোচর ও শ্রতিগোচর হইতেছে, তথাপি এখনও ২৪ ঘরের অধিক বাঙ্গালী এখানে নাই ; ইহার মধ্যে পূৰ্ব্ব ও পশ্চিম বাঙ্গালার লোকের সংখা প্রায় তুল্য। এতদ্ব্যতিরিক্ত কতকগুলি বাঙ্গালী যুবক মে হইতে অক্টোবর পর্য্যস্ত মাত্র এখানে বাস করেন । এতদিন ধৰ্ম্মমতনির্বিশেযে বাঙ্গালীদের মিলিবার ও পরম্পর মিলিয়া কাজ করিবার এমন বিশেষ কিছু ছিল না। গত জানুয়ারি হইতে, অর্থাৎ বিংশ শতাব্দীর আবির্ভাবের সঙ্গে সঙ্গে এখানেও সাহিত্যসমিতি নামক একটা সমিতি সংগঠিত হইয়াছে । ইহার প্রধান উম্নোক্ত ও জীবনদাতা বাবু রমাপ্রসাদ রায়, বি এ ৷ ইন এখানকার স্থায়ী প্রবাসী নহেন, কার্য্যোপলক্ষে ৬ মাস কাল মাত্র এখানে অবস্থিতি করিয়া থাকেন । ইহারই উৎসাহাগ্নি অনেকের জড়তা দগ্ধ করিয়া সমিতির জন্ম সম্ভব করিয়াছে । সমিতি সাপ্তাহিক সংবাদপত্র গ্রহণ করেন না । নব্যভারত, সাহিত্য, প্রদীপ, প্রবাসী, ভারতী, উদ্বোধন ও সাহিত্যসংহিতা সম্প্রতি লওয়া হইতেছে। পূর্ণিমা, হিন্দুপত্রিকা ও দরোগার দপ্তর পাওয়া যাইতেছে। স্মিথ ও রাউডেল কোম্পানীর বড় বাবু প্রবীণ শ্ৰীযুক্ত বাৰু কালীনাথ দত্ত মহাশয় সমিতির তত্ত্বাবধায়ক ও পরিদর্শক মনোনীত হইয়াছেন । বাবু উপেন্দ্রনাথ কাঞ্জিলাল, বাৰু হৃদয়ধন বস্থ ও বাবু ঈশানচন্দ্র দেব

প্রবাসী ՖԵ (: কাৰ্য্যনিৰ্ব্বাহক সভার সভ্য। শেষোক্ত বাৰু ইহার সম্পাদক ও বাবু বিমলাচরণ ঘোষ ইহার সহকারী সম্পাদক । আমাদের সভাদিগের মধ্যে বাবু প্রমথনাথ মুখোপাধ্যায়, এম,এ, ' “বুয়ার যুদ্ধের ইতিহাস” লিখিয়াছেন । অন্য কেহ বাঙ্গালা কোন পুস্তক লিখেন নাই। উপেন্দ্র বাবু উদ্ভিদবিদ্যা সম্বন্ধে এক ইংরাজি গ্রন্থ লিথিয়া গবৰ্ণমেণ্টের নিকট পুরস্কৃত ও সুখ্যাতিভাজন হইয়াছেন ; মধ্যে মধো মাসিক পত্রিকাদিতেও প্রবন্ধ লিখিয়া গাকেন। ঈশান বাবু মধ্যে মধ্যে বাঙ্গাল ও ইংরা জাত প্রবন্ধাদি লিখিয়া থাকেন। যদিও সমিতির সভ্যসংখ্যা অল্প, তথাপি এক কালন দান অনেক পাওয়া মাইতেছে ও পাওয়ার অাশা আছে বলিয়া সমিতির পুস্তকালয়,অল্প সময় মধ্যেই যথোচিত উন্নতি লাভ করিয়াছে এবং ভবিষ্যতে আরো করিবে এরূপ আশা করা যায়। দেরাঢ়ন, l শ্ৰীঈশানচন্দ্র দেব । ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯০১ । s ভারতবর্ষীয় জাতীয় মহাসমিতি । তানেকে মনে করেন জাতীয় মহাসমিতি আমাদের ক্ষতি করিয়াছে । অপরপক্ষ কংগ্রেসের উপকারি তা নিরস্তর ঘোষণা করিতেছেন । কগ্রেসবিরোধীদিগের প্রধান যুক্তি এই যে ইক্ষার অস্তিত্ব আমাদিগকে গবর্ণমেণ্টের অবশ্বাসের পাত্র করিয়াছে ; এবং যেহেতু শাসনকৰ্ত্তাদিগের বিশ্বাসলাভ ব্যতীত প্রজার উন্নতি অসম্ভব, তাই কংগ্রেস আমাদিগের অমঙ্গলের কারণ । এই যুক্তি তত সমীচীন বলিয়া বোধ হয় না। জাতীয় মলসমিতির জন্মদানে ভারত গবৰ্ণমেণ্টের তাৎকালিক কর্ণধার রাজনীতিবিশারদ লর্ড রিশের কিছু হাত ছিল । অধিকতর প্রত্যক্ষভাবে ইংরেজ রাজপুরুষ মহাত্ম৷ ষ্টিউম ইঙ্গার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করিয়াছেন । অপর এক রাজপুরুষ মহামতি ওয়েডারবর্ণ ইহার অধিষ্ঠাত্রী দেবতারূপে বিরাজ করিতেছেন। রাজকৰ্ম্মচারিগণ দর্শকরূপে কংগ্রেসের অধিবেশনে উপস্থিত হইতে পরিবেন, এষ্ট আদেশ প্রদান দ্বারা লর্ড লান্সডাউন ইহাকে স্পর্শদোষ হইতে মুক্ত করিয়াছেন। অধিকন্তু বর্তমান রাজপ্রতিনিধি লর্ড কর্জন বাহ