পাতা:প্রবাসী (প্রথম ভাগ).djvu/৪৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১০ম সংখ্যা। ] আমার বোধ হয় আরসলার কাচপোকাতু প্রাপ্তির অর্থ ভিন্ন আছে । সে অর্থ কি, তাই সংস্কৃত সাহিত্যসেবকগণ বলিতে পারেন। প্রবাদের অর্থ প্রথমে ঠিক হইলে উহার সন্তাসত, নির্ণয় সহজ হইবে । গত কান্তিকমাসের ভারতীতে শ্ৰীযুক্ত সতীশচন্দ্র বিদ্যাভূমণ হংসের নরত্যাগ ও ক্ষীরপানের বিবরণ সংস্কৃত সাহিত্য হইতে প্রদর্শন করিয়া মীমাংসার পথ সুগম করিয়; দিয়াছেন । এখানে হংস ও ক্ষীর লইয়া কথ। । তিনি দেখাইধাছেন যে ক্ষীর অর্থে দুগ্ধও বটে, মৃণালের রস ও বটে । ঠাঙ্গার উদ্ধত প্রমাণ চাইতে হংসের নিম্নলিপিত কয়েকটা লক্ষণ পাওয়া যায় । উচ্চ বকের মত শ্বেতবর্ণ, বকের সঠিত একত্র জলাশয়ে বিচরণ করে, পদু বলে পদ্মের মৃণাল ভক্ষণ এবং তাঙ্কার রস পান করে, কৈলাস পৰ্ব্বত এবং ত ব্ৰতা মানসসরোবর শ্ল ষ্টতে ভারতে আসে । তাঙ্গার এক নাম রাজহংস,অন্ত নাম ক্রৌঞ্চ । তবে বুঝা গেল,এই চাস পোষ পাতিষ্ঠাস নষ্ঠে । Goose of is of: ২ ইতেছে । Swan 9 F7: যাতাকে কড়ঙ্গাস ( কলহংস ) বলে, বোধ হয় ক্ষীরপায়ী হংস তাঙ্গাই । কড়হাস শাত কলে উত্তর ভারতে আসে । বঙ্গদেশে প্রায় দেখা যায় না । অবগু বেলে হাস ও সোরেল প্রভূতি পক্ষী নহে । এই কড়ঠাস হইতে গ্রাম্য 4} পোষা রাজহাসের উৎপত্তি । পোষা পাতিহাস ও রাজছাস পাওয়া যায় । কিন্তু এই ছই ষ্টাস দুগ্ধ পান করে না । খাটি দুধ, এমন কি আগুনে শুকাইয়। ঘন করিয়া দিলেও থায় না । ইহাতে বোধ হইতেছে যে, নীরত্যাগ ও ক্ষীরপান অর্থে দুগ্ধপান নহে । অধস্ত শাবকাবস্ত হইতে অভ্যাস করাইলে হাস গাভীগুপ্ত পান করিতে পারে । তৃণভোঞ্জী অশ্বকে যখন মাংস খাওয়াইতে পারা যায়, তখন হংসকে দুগ্ধ পান করান কঠিন নষ্ঠে । সংস্কৃত কাবো যে কংসের কথা আছে, তাহা পোম গুহপালিত রাজহংস বলিয়া বোধ হয় না । কারণ ত{হ হইলে হিমালয় হইতে ভারতে আসিবার কথা থাকিত না । গৃহপালিত না হইলে হংসের দুগ্ধপান রুচি জন্মিতে পারিত না ! হংস স্তষ্ঠ্যপায়ী নহে, জন্মাবধি দুগ্ধের সহিত তাঙ্গার সম্পর্ক নাই। উহা প্রকৃত তৃণভোজী প্রাণী । অথচ প্রবাসী . সংস্কৃত সাহিতোর হংসের ক্ষীরপান যেন স্বাভাবিক অর্থ বলিয়া বোধ হয় । বাস্তবিক দেখিতে গেলে ক্ষীর অর্থে গবাদির দুগ্ধ করিলে কথাটা হাস্তকর হইয় পড়ে । কারণ এমন, কি দুগ্ধ আছে বাহাতে স্বভাবতঃ বিস্তর ভুল থাকে না । গাভীর নিজ লা’ দুধেও সের প্রতি কিঞ্চিদন wy nছুটাক জল থাকে। যদি প্রবাদের অর্থ এক্ট করা যায় যে, স্বাভাবিক গুগ্ধের জলীয়াংশ হইতে কঠিনাংশ ( ছান । পুগল করিবার ক্ষমতা হংসের আছে, তাগঙ্গইলে জ মিশ্রিত দুগ্ধের কথা হইতে পারিত না। বিদ্যাভূষণ মহাশয় বলেন,"াদি যথার্থষ্ট উৎসের ক্ষীরনীয়বিবেচনক্ষমতা থাকে, তাঙ্গাঙ্গইলে নবাৰিষ্কৃত দুগ্ধপরীক্ষণষন্ত্র (I.acomote) উষ্ঠার নিকট অকিঞ্চিংকর বলিয়া বোধ কিন্তু গোয়ালার তুrধ জল মিশাইয়া দুধে জলের স্বাভাবিক পরমাণ বৃদ্ধি করে মাত্র । সুতরাং তঃসের উক্ত ক্ষমতা থাকিলে ও উচ্চাঙ্গার গুণের সমস্ত জল পৃথক হইয়া পড়িবে। খাটি দুধ পাইবার আশায় কেচ gধ চৰ্ততে ছানা কাটিয়া লক্টতে চান ন । কিন্তু আর একটা কথা আছে । পোলা রাজহংসের মুখের লালার আম গুণ আছে । মুখের ভিতর জিহবার উপর অম্লত্ব পরীক্ষার কাগজ রাখিয়া দেপা গিয়াছে যে, লালা ঈষৎ অম। এই দেখিয়া কয়েকটা পোষী রাজষ্ঠাসকে ক্ষুধাৰ্ত্ত অবস্থায় বার্টতে পাটি দুধ দেওয়া গিয়াছিল । কেবল দুধ কিছুতেই স্বেচ্চায় পাইল না । বাটীর গুধে চাউল নিক্ষেপ করিলে সমুদয় চাউল খুটিয়া খাষ্টয়াছিল, শেষে চারিট ষ্ঠাসের মধ্যে একটা এক ঢোক গুধ ও থাইয়াছিল। বাটাতে প্রায় সমস্ত ধই ছিল । মনে করিয়াছিলাম হয়ত দুধট অম্নযোগে কাটিয়া যাইবে । কিন্তু তুষ্ট তিন ঘণ্টাতেও কটিয়া ছান হয় নাই । বোধ হয় অর্মের মুজতা ও অল্পত্ন বশত: দুধ কাটে নাই । কিন্তু এক্টরূপ করিয়া কি প্রাচীনের হংসের ক্ষীরনীয়. বিবেচনক্ষমতা নির্ণয় করিয়াছিলেন ? পুৰ্ব্বেভু বলা গিয়াছে সংস্কৃত সাহিত্যের হংস কোন জাতীয়, এবং কি প্রকারে তাহার এই গুণ নিরূপিত হইয়াছিল, তাহ জানা নাই । সুতরাং উপরে যাহা বলা গিয়াছে, তন্দ্বারা প্রশ্নটার শেষ মীমাংসা করা যাইতে পারে মা ! Sసి গুইবে সন্দেহ নাই ।”