পাতা:প্রবাসী (প্রথম ভাগ).djvu/৪৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

లీపిక এক্ষণে কোম্পানী আমলের যে সকল টাকা চলিতেছে তাহার সকল গুলিতেই ১৮৪০ এক্ট সাল লিখিত আছে । কিন্তু তাষ্ট বলিয়া সকলগুলিই যে ১৮৪০ সালে প্রস্তুত তষ্ঠা লঙ্কে । ১৮৪০ হইতে ১৮৬১ সালের মধ্যে ঐ টাকা গুলি প্রস্তুত কইয়াছে । ১৮৪০ হইতে ১৮৫১ সাল পর্য্যস্ত প্রস্তুত টাকা অন্য টাকা হইতে কিছু বড় এবং তাহাতে “কুঙ্গন” ও “fঙক্টোরিয়া” এই কথা দুইটা কিছু কাছ কাছি লেখা ; ১৮৫৯ হইতে ১৮৬১ সাল পর্য্যস্ত প্রস্থত টাকার আকার অন্য টাকার সমান এবং তাহাতে মহারাণীর মূৰ্ত্তির এক পাশ্বে কুঙ্গন ও মন্ত পার্থে ভিক্টোরিয়া লিখিত আছে । বড় ঢ়পের টাকাগুলি অধিক পুরাতন বলিয়া এক্ষণে গবর্ণমেন্টের কোষাগারসমূহে তাঙ্গ বাছিয়া রাখা হইতেছে, ক্রমে গলাইয়া নূতন টাকা করা হইবে। সমুকুট মূৰ্ত্তি ও "কুঈন ভিক্টোরিয়া" নামাঙ্কিত টাকাগুলি ১৮৬২ হইতে ১৮৭৬ সালের মধ্যে প্রস্তুত হয় । তাহার মধ্যে ১৮৬২ সালাঙ্কিত টাকাই অধিক দেখিতে পাওয়া যায়। তাঙ্কার কারণ এক্ট যে ১৮৩২ হইতে ১৮৭৩ সালের মধ্যে য ত টাক প্রস্থত ইয়াছিল সমস্ত গুলিতেই ১৮৬২ এই তারিখ লিখিত হইয়াছে। ১৮৭৪ সাল হইতে টাকার যথার্থ তারিখ লিখিবার প্রথা প্রচলিত হয় । সেই জন্য খৃষ্টাব্দ ১৮৭৯ হইতে খৃষ্টান্ধ ১৮৯৩ পর্য্যস্ত সমস্ত সালেরই টাকা দেখিতে পাওয়া যায় । शूठेांगा ১৮৯৪ হইতে খৃষ্টাকা ১৮৯৬ পর্যন্থ ভারতবর্ষের টাকশাল সমূহে টাকা প্রস্তুত হয় নাই । ১৮৯৭ ও ১৮৯৮ সালে খুব কম টাকাই প্রস্তুত হইয়াছিল । তাছাও করদ রাজ্যসমুঙ্গের জন্তা । ১৮৯৯ সালে মোটেই হয় নাই । ১৯৯ • হইতে আবার রীতিমত মুদ্রণ চলিতেছে। উপরে যাহা লিখিত হইল তাঙ্গ হইতে বুঝা যাইতেছে যে ১৮৭৪ সালের পূর্কের টাক। হইলেই হয় ১৮৪• নয় ১৮৬১ সালাঙ্কিত হইবে। পরীক্ষা দ্বারা স্থির হইয়াছে যে অধুনা বাজারে প্রচলিত টাকার মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন সালাঙ্কিত টাকা নিম্নলিখিত মাত্রীর সংখ্যায় বর্তমান আছে । যথা—১৮৪০ সালের বড় ঢ়পের টাকা শতকরা ৪*১,ঐ সালের ছোট ঢপের ১১৮, ১৮৬২ সালের ১৯, ১৮৭৪ সালের ৭৬,১৮৭৫ সালের ১০৩, ১৮৭৬ সালের ১৩৬, ১৮৭৭ সালের ৪'২, ১৮৭৮ সালের ২-৯০, ১৮৭৯ সালের ২৫ ১৮৮৭ সালের ২ ৪, প্রবাসী [ ४अ उनंनं । ১৮৮১ সালের ৩, ১৮৮২ সালের ২ ৭৩, ১৮৮৩ সালের ১, ১৮৮৪ সালের ১৯২ ১৮৮৫ সালের ৩•৭, ১৮৬৬ সালের : ২ ১৫, ১৮৮৭ সালের ৩ ৯, ১৮৮৮ সালের ২৯, ১৮৮৯ সালের ৩৩৩,১৮৯০ সালের ৫৬, ১৮৯১ সালের ৩, ১৮৯১ সালের ৪৯, ১৮৯৩ সালের ৩৮, ১৮৯৭ সালের ১৭, ১৮৯৮ সালের ৪, ১৯০০ সালের ৬ ৮, ১৯০১ সালের ৩০৫ ৷ কিছু কাল পূৰ্ব্বে চতুর্থ উইলিয়মের মূৰ্ত্তিবিশিষ্ট টাকা প্রায় দেখা যাইত কিন্তু গবর্ণমেণ্ট ঐ টাকা ক্রমাগত সংগ্ৰহ করি। গলাইয়া ফেলায় এক্ষণে আর বড় দেখা যায় না। এক্ষণে টাকার ওজন ও চলন সম্বন্ধে কিছু বলা যাউক । টাকার ধাতুতে শতকরা ৯৯.৮৬ ভাগ খাটি রৌপ্য থাকে, অবশিষ্ট তাম ও অন্যান্ত ধাতুর খাদ ; সুতরাং চলিত কথায় টাকার রূপাকে পাচ পাই খাদের রূপা বলিলে নিতান্ত ভূল হয় না । এক টাকার ওজনকে এক ভরি বা এক তোল বলে তাহা সকলেই জানেন। উহা ইংরাজী ট্রয় ১৮০ গ্রেনের সমান । সুতরাং এক দোয়ানির ওজন সাড়ে বাইশ গ্রেন । বহুকাল ব্যবহারে শতকরা দুই ভাগ অর্থাৎ প্রতি টাকায় ৩, ৬ গ্রেন পর্যাস্ত কম হইলেও সে টাকা আইন মতে বাজারে চলবে । কিন্তু তদপেক্ষ অধিক তকম হইলে কেছ সে টাকা লইতে বাধ্য নহে, অর্থাৎ ঠিক ধরিতে গেলে তাহ অচল । মুক্তরাং সকলেরই উচিত যে টাক লইবার সময় দেখিয়া লয়েন যে গৃহীত টাকার প্রত্যেকট ওজনে ১৭৬ ৪ গ্রেনের উপর হয় । খুব বাধার্বাধি নিয়ম করিলে, নিরীহ লোকের অনর্থক লোকসান হইতে পাৱে ও ভারতের অধিকাংশ লোকেই সুক্ষ্ম ওজন প্রভূতি বিষয়ে অনভিজ্ঞ, এই জন্ত সদাশয় গৰণমেণ্ট আপাততঃ নিয়ম করিয়াছেন যে শতকরা ৬ ২৫ ভাগ পৰ্য্যস্ত (অর্থাৎ প্রতি টাকায় এক আনা বা ১১:২৫ গ্ৰেম) কম হইলেও সে টাকা গবর্ণমেণ্টের কোষাগারে গৃহীত হইবে ও তাছার পরিবর্তে পূরা ওজনের টাকা পাওয়া বাইৰে । কিন্তু সকলেরই ভাবিয়া রাখা উচিত ে এই নিয়মটী অনুগ্রহ মাত্র এবং গবর্ণমেণ্টের ইচ্ছামত প্রত্যাহৃত হইতে পারে। ষে টাকা অপর লোকে আইন মতে লইতে বাধা মহে, গবৰ্ণমেণ্টও তাহ লইতে অস্বীকার করিতে পারেন । সুতরাং ওজনে শতকরা দুইভাগ কম হইলে সে টাকা না