পাতা:প্রবাসী (প্রথম ভাগ).djvu/৪৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১০ম সংখ্যা । ] 彰 কাম ত লোক থাক। হতেই পারে না । সাহেবের ইচ্চা ছিল যেন কোন একটা ভাল ঘর খালি করিয়া দেন ; কিন্তু গুচিশীর আদব কায়দার বিচারে তাঙ্গ ঘটিয়া উঠিল না । অবশেষে বাথরুমের সংলগ্ন একটা ক্ষুদ্র ঘরে বৃদ্ধ স্থান পাঠলেন । এমি তাহাকে কড়া ভুকুম দিয়। রাপিলেন সে, কোন ভদ্রলোক বা মহিলা বাটাতে আসিলে, তিনি যেন লুকাইয়া থাকেন । অসভ্য পরিচ্ছদ মিটরপরিবারে নিষিদ্ধ । প্রমথনাথ উজ্জ্বল সভ্যতার পশ্চাতে গভীর অন্ধকারের ছায়। দেখিলেন । যাচাচউক কথাটা ঠাঙ্গর অধিকক্ষণ মনে রঙ্গিল না, কারণ পিয়ানো-স্বর-সংযোগে এমি গাঙ্কিতে লাগিল আমি প্রাণ দিতে চাঙ্গি তারে, প্রাণ নিতে চাচিন । পাপীর মত গান গাঠি, ভুলাতে তারে চাঙ্গিন । লুকায়ে রাপি পরাণে সপি প্রাণের যত বাসনা, লুকায়ে রাখি, পরাণে ঢাকি প্রাণের মত যা তন । সুখের নেশা ঘনীভূত হইয়া আসিল । কি করিলে এমি আমার হয়, এই চিন্তায় প্রমথনাথের চিত্ত বাপি ত হইতে লগিল । ( 8 ) 8 চারিদিকে রাষ্ট হইল যে প্রমথ বাবু মিটার সাহেবের কন্যাকে বিবাহ করিবেন । মিটার বিলাতফেরত হইলেও হিন্দু। বিবাহ হিন্দুমতে হইবে কাজেই বহুবিবাচের দোষ স্পশিবে না । জনরব ঐীপুর পর্য্যন্ত পহুছিল । প্রমথনাথের পিতা, তাহাকে বাড়ী যাইবার জন্য পত্র লিখিলেন ; অবশেষে লোক পাঠাইলেন। প্রমথনাথ এম এ. পরীক্ষার ফলের জন্য অপেক্ষা করিবেন বলিয়াছিলেন, কিন্তু অদভা শ্ৰীপুরে যাইতে হইল। বয়স্তের আকার ইঙ্গিতে কথাটা পাড়িবার চেষ্টা করিল ; কিন্তু তিনি কোন কথাই কানে তুলিলেন না। মা জিজ্ঞাসা করিলেন, “বাবা! লোকে কত কিছু বলিতেছে,সে কি সত্য ?” প্রমথ নিরুত্তর। কিন্তু মনে মনে কৃতসংকল্প, যেমন করিয়া হউক এমিকে বিবাহ করিবেন । পিতা, রাশভারি লোক, কখনও পুত্রের সঙ্গে বেশী কথা কহিতেন না ; এ বিষয়েও কোন প্রসঙ্গ উত্থাপন করিলেন না । পুত্রকে গৃহে মানিয়াছেন, গৃহেই প্রবাসী 893 রাখিলেন। পাড়ার মেয়ের জুটিা সরমাকে শিক্ষা দিল, যে, সে একবার স্বামীকে উপরোধ অনুরোধ করিবে, এবং স্ত্রীজাতির ব্রহ্মাক্স—একটু চক্ষর জল ফেলিবে । সয়ম বিরক্ত হইয়া বলিল “ছি !” । সকলে তাছাকে হাব মেয়ে বলিয়া তিরস্কার করিল ; কিন্তু সে কাহারও কথা শুনিল না । প্রমথনাথ যেদিন বাটতে আসিলেন, সেইদিন রাত্রে শয়নকক্ষে গিয়া দেখিলেন, শম্যার এক পাখে সরমা শয়ানা i এমি বলিয়াছিলেন যে সরমার সহিত কোন সম্পর্ক রাখতে পরিবেন না । সেই কথা মনে পড়িল । প্রমথবাবুর “মরাল ফিলসফি" পড়া ছিল; তিনি গম্ভীরভাবে সরমাকে বলিলেন, ”তোমার সঙ্গে একত্র শয়ন নীতিবিরুদ্ধ ; তুমি অন্যত্র যাও”। ভালবাসার কথা বলিলে সরমা হয়ত কথা কল্পিত না ; কিন্তু এবার উঠিয়া বসিল । ঠুিরভাবে কছিল, “আমি এখন অন্ত ঘরে গেলে, বড় গোল হইবে । মা আমাকে বকিবেন । ঠাকুর তোমাকে তিরস্কার করিবেন । আমি এক কোণে পড়িয়া থাকি, ক্ষতি কি ?” প্রমথনাথ ঠিক ঝগড় বাধাইৰেন বলিয়া ছুতা খুঞ্জিতে আসেন নাই ; কিন্তু একটু কিছু হইলে ভাল হইত। তাহা হইলে মুখ দেখাদেখি বন্ধ হওয়ার পক্ষে বেশ সুবিধা হইত। অলক্ষে এই ভাষটা মনের মধ্যে নিহিত ছিল। প্রমথনাথ সরমাকে বলিলেন,"আমি বিবাহ করিষ— তোমার সঙ্গে আমার প্রকৃত বিবাহ হইয়াছে,স্বীকার করিতে পারি না। তুমিও জান যে তুমি আমাকে ভালবাস না” । বালিকা সরমার সব্বাঙ্গ কঁাপিতেছিল ; কিন্তু সে অকম্পিতস্বরে কঠিল,"তুমি যাহাতে খুসী হও নিশ্চয়ই তাহা করিবে, কিন্তু মাকে এবং ঠাকুরকে রাজা করিয়া কাজ করিও । মাকে ভাল করিয়া বলিলে তিনি সম্মতি দিবেন” । অবস্থায় পড়িলে মুগ্ধাও প্ৰগলভ হয় । দীপালোক অনুচ্ছল ; মানসনয়নপথে এমির প্রেমকুহেলিকার আবরণ ; প্রমথনাথের চক্ষে, সরমার যজ্ঞবন্ত্রির মত প্রদীপ্ত রূপ, প্রতিভাত চইল না । সরমা শয্যার এক পাশ্বে মুখ লুকাইয় গুইল ; প্রমথ নাথ আর কোন কথা না কহিয়া নিশি যাপন করিলেন । তাঙ্গার পরদিন হইতে সরমা, শয্যাগুচে মন্ত শয্যা রচনা করিয়া শয়ন করিতে না" ) “আমার সাত রাজার ধন এক মানিক, ঐ এক ছেলে। বিৰাহে বাধা দিলে কি হইবে কে জানে ; প্রমথ ৰিৰাছ