ميام 8 হইতে সমস্ত পার্থিব সংস্কার মুছিয়া ফেলিতে হইবে। এ সংসার প্রকৃত ভালবাসার আম্পদ মতে, এই ভাবটি হৃদয়ে বদ্ধমূল করিতে হইলে । আমাদের সে ধারণ হয় না, এঞ্জস্ব চৈতন্তদেবকে ভাল করিয়া বুঝি না । আমরা এষ্ট প্রকৃতির ঐশ্বৰ্য্য ও সৌন্দর্যে মুগ্ধ, সুতরাং এতদতিরিক্ত কিছু বুঝিতে চাহি না । কিন্তু যদি এই জড়জগতের কণ্ঠে স্বরলহরী উত্থিত হইতে পারিত, তবে চন্দ্রস্তর্গ্যময়ী প্রকৃতি একবার গাকিয়া উঠিত - "আমি ছায়া,--নহি আমি অনস্থ মঙ্গন । অনন্ত মহান তিনি আমি যার ছা ।” পূৰ্ব্ব পূৰ্ব্ব ধৰ্ম্মবরগণ ধাঙ্গ শিখাইয়াছেন, তাহা ইষ্টতে চৈতন্যদেবের শিক্ষণ একটুকু নুতনভাবের । ঈশ্বরকে ভালবাসিতে কোন ব্যক্তি প্রকৃত অধিকারী ? যিনি মানুষকে ভালবাসিতে শিপিয়াছেন, শুধু তাঙ্গাই নষ্ঠে, যিনি জীবজগতের সমস্তকে ভাল বাসিয়ছেন, তাহারই সেই মহৎ অধিকার লাভ হইতে পারে । য’াষ্ঠীর সঙ্গে জগতের সেী। হার্দ্য সুপ্রতিষ্ঠিত হয় নাই, ঈশ্বরকে ভালবাসিবার তাহার কোন সামর্থ নাই । এই সোপানাবলীর একটির পর অপরটিতে পদস্থাপন করিতে হইবে, এস্থলে ডিঙ্গাইয়া উন্ধে উঠিবার চেষ্টা বিড়ম্বন । মনুষ্যের সঙ্গে মনুয়ের পাতৃত্ব স্থাপনের জন্য যিশু অবতীর্ণ হইয়াছিলেন । তিনি উপদেশ দিলেন, যদি দেবমন্দিরে পূজা লইয়া আসিয়া থাক, তবে স্মরণ করিয়া দেখ, কাতারও সঙ্গে তোমার কলঙ্ক আছে কি না ; যদি সেরূপ অপরাধ করিয়। থক, তবে যাও, আগে সেই কলহ মিটাইয়া আইস, তোমার পাপের প্রায়শ্চিত্ত গ্রহণ করিয়া আইস, তৎপর পূজা,- নতুবা তোমার পূজা গৃহীত হইবে না । মানবজাতি শিশুর সংশিক্ষায় এই অভিনব ভ্রাতৃত্ব অনুভব করিয়া উন্নীত হইল। কিন্তু বুদ্ধের শিক্ষা এতদপেক্ষা উচ্চতর । * শুধু মানুষ নহে, জগতের প্রত্যেক জীব • বুদ্ধদেব যিথেষ্টে৭ অনেক পূৰ্ব্বে আবির্ভূত হইলেও যিশুপ্রচারিত ভ্রাতৃত্ব ভারতবর্ষে অজ্ঞাত ছিল না। ভারতবাসিগণ ধ৭श्रिङ्ग भूथिवीत्व भक्तञ्चाडि श्श्:5 प्लेब्र छल्लिन। शि९३ जङ्गलाद बूक দেৰে পূৰ্ব্বেও যে ভারতবাসিগণ আয়ত্ত করিয়াছিলেন, তাহা বুদ্ধদেবের निासङ्ग कषाछ्रे खान पारेष्ठप्छ-"त्न आभाष्क बाब्रिग्नttइ, ८ण প্রবাসী ১ম ভাগ । & আমাদের প্রেমের পাত্র, এই সাৰ্বজনীন প্রেম কপিলাবস্তু ইষ্টতে জগতে প্রচারিত হইল। এই ধৰ্ম্মবীরগণের চেষ্টায়, প্রথমতঃ মানুষের সচিত মানুষের, তৎপরে মানুষের সহিত জীবমাত্রেরই প্রীতিসঙ্গন্ধ নির্ণীত হইল । যখন মানবহৃদয় এইভাবে উন্নততর প্রেমের যোগ্য হইল, যখন মানুষঙ্কিংসা ও জীবচিঃসার শিকড় সদয় হইতে উন্মলিত হইল,—যখন পুরুষানুপুরুষ ক্রমে মংস্যমাংসাচারে নিরন্তু রাহ্মণ শাস্ত্রচচ্চ - দ্বারা বিষয়নিম্পতভাবে ভগবদারাধনায় রত হইলেন, তখন সেক্ট ব’৭ে সাত্ত্বিক প্রেমের অবতারস্বরূপ চৈতন্ত্যদেব আবিৰ্ভত হইলেন । ঈশ্বরের প্রেম কিরূপ, তিনি বুঝা ইলেন। যুগযুগান্তর, জন্মজন্মাস্তুর যাবৎ যিনি আমাদের প্রিয়তম মুঙ্গং-পুপসমূহ যাঙ্গর প্রেমলিপির ন্যায়, মুমূর্ষর শ্রুতিতে যাহার নাম অমৃত, রোগে শোকে দুঃখে যাহার হস্ত স্নেহুকোমলম্পর্শে আমাদের হৃদয়ের ব্যথা ভূলাইয়া দেয়, তাহার প্রত ভালবাসা জন্মিলে সে ভালবাসা কতকটা অসীমভাব ধারণ করে। এ সমস্ত জগং টাস্কার কৃপার সাক্ষী : কুসুম-পল্লব, নদী-তরঙ্গ, বনাস্তের গুামশোভা, চিরহরংক্ষেত্ররাজি, ডুবন্ত স্বর্যালোক, উদিত শশিলেখা, এ সকলের সঙ্গে তাঙ্গর মধু স্মৃতি জড়িত। এ প্রেমের ধিনি আস্বাদ পাইবেন, তিনি যে একবারে উদভ্ৰান্ত হইয়া পড়বেন, তাহাতে বি চত্র কি ? এই প্রোেমর রূপক রাধা,--বৈষ্ণবকবিগণাঙ্কিত রাধা একটি সাত্ত্বিক ভাবের ইতিহাস ; ইহা কাব্যের চরিত্র নহে। “কেন মেঘ দেখে রাই এমন হ’লি”, কিংবা "সদাই ধেয়ানে চাহে মেঘপানে, না চলে নয়নের তারা” প্রভৃতি বর্ণনা পরোক্ষভাবে বৈষ্ণবমহাত্মগণের লীলাম্মারক । বাস্তবিকই মাধবেন্দ্রপুরী প্রভৃতি মেঘ দেখিয়া উদৃদ্ৰান্ত ইয়াছিলেন—“মাধবেন্দ্রপুীর কথা অকথ্যকথন । মেঘ দরশন মাত্র হয় অচেতন ।”-(চৈতন্য আমাকে জব্দ করিয়াছে, সে আমকে ঠকইয়াছে, যাহার এইরূপ চিন্ত মনে পোষণ করে, তাই াদের অন্ত:করণ হইতে বিদে,ষবৃত্তি কখনই যাইবে না, কারণ বিদেষদ,ার বিদ,য কখনই নষ্ট হইবে ন— ভালবাস। দয়া বিদেশ নষ্ট হইবে, ইহা প্রাচীন নীতিকারগণ কহিয়াছেন।" বুদ্ধের উক্তি, ধৰ্ম্মপদ । ভারতবর্বে এই উচ্চ নীতি পরিজ্ঞাত থাকিলেও জগতের অপরাপর দেশে যিশুই সৰ্ব্বপ্রথম এই ভাবটি জীবজ্ঞরূপে প্রমাণিত করেন।
