পাতা:প্রবাসী (প্রথম ভাগ).djvu/৫১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8&e দরের। বষ্ঠ ফলফুল ইত্যাদি অতি স্বাভাবিক ভাবে প্রদর্শিত হইয়াছে প্রকোষ্ঠের প্রস্তর প্রাচরে খোদাই পশুপক্ষী ইতাদির যে সব অংশ ঔরঙ্গজেবের রোষানলে বিধবস্ত হয় নাই, তাগ হইতে তাছাদের বিষয়ও অনুমান করা যায়। সেগুলিও অতি সুন্দর স্বাভাবিক হইয়াছিল। পশু পক্ষী সকলেই মস্তকবিহীন । বাদসাহ ঔরঙ্গজেবের মত গোড়া মুসল নদের বিশ্বাস স্বাভা বক কিছু অনুকরণ করিতে গেলে ঈশ্বরের অবমাননা করা হয় । অন্তদিকে প্রশস্তমনা আকবর দাহ মনে করতেন, শিল্পী চিত্রকর সকলেই স্বাভাবিক কিছু অনুকরণ করিতে প্রয়াস পাইলে বুঝিতে পারে তাতাদের শক্তি সেই সৰ্ব্বশক্তিমান পরমেশ্বরের মুক্তির তুলনায় কত অকিঞ্চিৎকর । খাস মঙ্গল অন্তঃপুরের অন্তর্গত বলিয়া চারিদিক ঝিল্লিকাটা প্রস্তরের বেড় (প্রাচার) দ্বারা ঘেরাও ছিল । স্থান স্থান তাঃার ভগ্নাবশেষ বর্তমান রচিয়াছে, কিন্তু প্রায়ই সব অদৃগু হইয়াছে । খসি মহলের উত্তরপশ্চিম কোণে অস্তঃপুরের ছেলে মেয়েদের স্কুল ছিল বলিয়া প্রবাদ । তাহাবই পাশে পশ্চিম দিকে পাঞ্চ মহল ! এই অট্টালিকাটি আগু{ষ্ঠ সকল প্রাসাদ ইষ্টাত একটু স্বতস্করকমের ; নীচের তলা হইতে উপরে ক্রমে ছোট হইয়া গিয়াছে, সবদিকেই খোলা । নীচের তলায় ৫৬টি স্তম্ভ, সৰ্ব্বোপরি পঞ্চমতলায় মাত্র চারিটি স্তম্ভ । স্তম্ভ গুলির বিশেষত্ব আছে, সকল গুলিই প্রায় ভিন্ন রকমের খোদাই । এই অট্টালিকাটিতে বিশেষ কি প্রয়োজন সংসাপিত হুইত, বুঝা কঠিন। অট্টালিকার উপর হইতে চারদিকের দুগু বেশ দেগায় । অট্টালিকাটি অনেক জায়গায় ধ্বং ন পাই তেছিল । মুখের বিষয় বড় লাট লর্ড কজ - নের আদেশে বিভিন্ন প্রাসাদ গুলির যথাসম্ভব জীর্ণসংস্কার ই ইয়াছে ও হইতেছে। বিশেষ রূনী বেগমের মহালের ভি গুরদিককার ছাদ ও ঝিল্লি কাটা বেড় (প্রাচীর) বড়ই কুরবস্থায় পড়িয়াছিল। এই সকল নুতন কাজ “নয়াকাম” বলিয়। টিকিট মারিয়া রাখা হইয়াছে। থাপ মহলের উত্তরের চত্বরে একটি দশপচিশ খেলিবার সুবৃহৎ ঘর অঙ্কিত রহিয়াছে । প্রবাদ তাহার কোঠা গুলিতে সুসজ্জিত রমণীর গুটির স্থান অধিকার করিতেন । চত্বরের উত্তরে "দেওয়ানি থাস’ বা এক থাম্বা । প্রবাসী । বাহির [ ১ম ভাগ হইতে প্রাসাদটি দ্বিতল বলিয়া মনে হয়। ভিতরে মাথ খান হইতে একটি বৃহদায়তন স্তম্ভ উঠিছে ; স্তম্ভের মস্তক চারিকোণ হইতে চারিটি ১০ ফুট লম্ব প্রস্তর সেতুদ্বারা চারিপাশের বারেন্দার সহিত সংলগ্ন ; দক্ষিণদিককার পারেনা হইতে দূরে ফতেপুর-সিক্রির বসতির দৃপ্ত দেখা যায়। এক থাম্বার প্রকাগুদেহ একটি মাত্র প্রস্তর হইতে কাটিয় নিৰ্ম্মাণ করা হইয়াছে । স্তম্ভের উপর সমঅষ্টকোণ একটি বলিবার স্থান । প্রবাদ আকবর সাহ এখানে বসিয়া, চারিকোণে ঠাঙ্গর প্রধান মন্ত্রিচতুষ্টয় খানিথানান (সরদারের সরদার), বারবল, আবুল ফজল এবং ফর্মুজির সহিত মন্ত্রণ পরিতেন এবং বিশেষ বিশেষ রাজfজ্ঞা দিতেন । আর এথা নষ্ট নানা ধৰ্ম্মেরও আলোচনা হইত । আকবর দাত মাঝে নসিয়া তাঃ রে মীমাংসা করিয়া দিতেন । এই সকল আলোচনায় আবুল ফজলেই বাদসাহের প্রধান সহায় ছিলেন । তাহার তীক্ষ বুদ্ধির কাছে কাহারও তিষ্ঠিবার যে থা কত না । “uদওয়ানি থাসের’ পশ্চিমে "মাথ মিচে:নি’ । প্রবাদ আকবরসাঙ্গ এখানে অন্তঃপুরমহিলাদের লইয়া লুকোচুরী খেলিতেন । কিন্তু অক্ষঃপুর হইতে এত দূরে এবং “দেওয়ানি খাসের” এত নিকটে বলিয় ও দৃঢ় গঠন দেখিয়া কীন সাহেব অনুমান করেন এস্থানে ধনাগর ছিল । আঁখ মচেনির নিকটেই অীর একটি ছোট রকমের অট্টালিকা আছে, তাহাতে এক3ন বৈষ্ণব সাধু থাকিতেন বলিয়া প্রবাদ । মকরমুখারুতি কারুকার্য্য দেখিয়া ফ গুসন সাহেব অট্টালিকাটি জৈন ভাবের বলিয়া বর্ণনা করিয়াছেন। আগ্র তর্গের যোধবাই মহল এইরূপ কারুকার্য্যে পুর্ণ। যে চত্বরে পচিশির ঘর রহিয়াছে, তাহারই পূৰ্ব্বদিকে “দে ওয়ানি আম” । দ্বিতলের একটা প্রকোষ্ঠে বাদ সাঃ সৰ্ব্বজন সমক্ষে বসিয়া বিচারাদি করিতেন । তাহারই সমূপে নীচে দৈর্ঘ্য প্রস্থে ৩৬০ ও ১৮০ ফুট এক চত্বর । চত্বরের চারিদিকে বারেন্দ। সম্মুখে ও পাশের বারেন্দায় রেদ্র বৃষ্টি হইতে আশ্রয় লইয়া সাধারণ লোকে বাদ সাহের বিচারাদি দেখিতে পাইত । বাদসাহ যে স্থান হইতে বিচারাদি করিতেন, সে স্থানে যাইবার তত সহজ পথ নাই । তঁাচার প্রকোষ্ঠের দুপাশেই ঝিল্লিকাটা প্রস্তর প্রাচীর অন্য সকলকার হইতে তাহাকে বিচ্ছিন্ন করি। রাখিয়াছে। – –