পাতা:প্রবাসী (প্রথম ভাগ).djvu/৫২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8ミbア লক, তাঙ্গ ঐ পরিচয় ভাগের রচনাপ্রণালীর সহিত অপরাপর রচনা প্রণালীর সাদৃশু দেপিলেষ্ট উপলব্ধ হয় । মুচ্ছকটিকের ঐ পরিচয়ভাগে বলা হইল, রচল্পিতার নাম শূদ্রক, তিনি রাজা এবং দ্বিজমুখ্যতম, ঋগ্বেদ এবং সামবেদে পণ্ডিত, বেদজ্ঞ বর্গের শ্রেষ্ঠ, এবং হস্তীর সহিত বাহুযুদ্ধে উন্মুখ । তিনি শতবর্ষ এবং দশ দিন আয়ুষ্কাল ভোগ করিয়া পুত্রকে রাজ্য দান পুৰ্ব্বক, চি ঠারোহণে দেন্ত বিসর্জন করি য়াছিলেন । ষ্টনি নামে হইলেন শূদ্র, কাজে হইলেন সমরবাসনী ক্ষিতিপাল, এবং ব্যবহারে হইলেন তপোধন ব্রাহ্মণ ! * ¥ এমন স্থলে যদি মনে করা যায় নে গ্রন্থকারের এই শূদ্রক নামটাই কল্পি ত. তাই। হইলে কি নিতান্ত কষ্টকল্পনা করা হয় ? * ¥ তিনি বলিয়াছেন যে, তাৎকালক ‘নয় প্রচার’, ‘ব্যবহারছষ্টতা’, ‘খলস্বভাব’, ‘ভবিতব্যতা প্রভূত বর্ণন করিবার অভিপ্ৰায়ে মৃচ্ছকটিক রচনা করাছেন । সমাজ বর্ণনে প্রবৃত্ত গ্ৰন্থ কারগণ প্রায়ই স্ব স্ব নাম গোপন করিয়া থাকেন। অতএব কোন নাট ৯রচয়িত সমাজের বৃহত্তম ভাগ যে শূদ্র জাতি, তন্নামানুসারে স্বয়ং শূদ্ৰক নাম পরিগ্রহ পূৰ্ব্বক, আপনাকেষ্ট ক্ষত্রিয় গুণ এবং শ্ৰাহ্মণ গুণ সমম্বিত, এবং সমৃদয় সমাজের প্রতিরূপস্বরূপ দেশসাধারণের রাজ। বলিয়। বর্ণন পূৰ্ব্বক নিজ পরিচয় প্রদান করিয়া গিয়াছেন, এরূপ মনে করিলেও করা যাইতে পারে। গ্রন্থকার যে নিজ মৃত্যুবিবরণও স্বমুখে খ্যাপন করিতে পারিয়াছেন তাহার তাৎপর্য্যও উল্লিখিত কল্পনার অবলম্বনে কিছু বিশদ হইতে পারে। শাস্ত্রে বলে, মনুষ্যের পূর্ণ আয়ুষ্কাল শতবর্ষ ; অতএব মনে করা যাইতে পারে, এক একটি সমাজপ্রতিরূপের বয়স এক শত বৎসর। আর মৃত্যুর পর দশদিন যে অশৌচকাল, সে পর্যাম্ভ মুত বাক্তির লোকৗস্তর গতি নাই ; এক প্রকার ইক্ষলোকেই স্থিতি । এই জষ্ঠ এক একটি সমাজপ্রতিরূপের অবস্থিতিকাল শতবর্ষ দশ দিন । সেই এক শতকর্ষ দশ দিনের পর, দ্বিতীয় সমাজপ্রতিরূপ, পূৰ্ব্বগত সমাজ প্রতিরূপের পুত্রস্বরূপ প্রাচুর্ভূত হয়। এই জম্ভ মৃচ্ছকটিক রচয়িতা— ata1লংৰ ক্ষ্য পুত্ৰং गकोझापूः श्रृङाक्ष१ नत्र लिन नश्डि१ শুৰোমিং প্রবিউঃ " athه 影 Y. ১ম ভাগ । এই ব্যাখ্যার পর বোধ হয় যজ্ঞাদির পুরাতনত্বের উপর শুদ্রকের প্রাচীনত্ব প্রতিষ্ঠা করিতে কাহারও প্রবৃত্তি হইবে R} | মৃচ্ছকটিকের অপেক্ষাকৃত আধুনিকত্বের অনুকূলে আমার বক্তব্য এই— (১) বৌদ্ধযুগের পর যখন শৈবধৰ্ম্মের বিশেষ প্রাদুর্ভাব হয়, মৃচ্ছকটিক যে সেই সময়ে লিখিত, তাত নানী পাঠেই উপলব্ধ হয়। এই সময়টা প্রায় শঙ্করাচার্য্যের সমসাময়িক । (২) সকল দেশের সাহিত্যের ইতিহাস পর্যালোচনা করিলেই দেখিতে পাওয়া যায় যে সামাজিক তত্ত্বাদি লইয়া গ্রন্থরচনা, আইডিয়াল-রচনাযুগের বহু পরবর্তী। প্রায়শ: প্রথম সাহিতা দেবমাহাত্ম্য লইয়া , তাহার পর লোকমাহাত্ম্য বর্ণনা প্রাচুর্ভূত হয়। এই লোকমাছাস্থ্য বর্ণনায়ও প্রথমতঃ আদর্শ গুণের কথাই অঙ্কিত হইয়া থাকে। (৩) প্রাচীন কালের গ্রন্থে দৈবশক্তি এবং অতিমানুষ শক্তিদ্বারা অনেক কাৰ্য্য নিৰ্ব্বাহিত হয়। মুচ্ছকটিকে তাহ। আদৌ হয় নাই। নায়ক সাধারণ শ্রেণীর গুণবান দরিদ্র পুরুষ, এবং নায়িক গুণশীলিনী গণিকা কন্য। এই সকল অবস্থা, এবং এই নাটকের ঘটনার জটিলতা ইহার আধুনিকত্বের নির্দেশক। কথায় কথায় রাষ্ট্রবিপ্লব দেখিলেও, যে সময়ে ভারতবর্ষের গৌরব লুপ্ত হইবার দিকে অগ্রসর হইতেছিল, সেই সময়ের কথাই মনে পড়ে । (৪) যে প্রাকৃতভাষা শকুন্তল। কিম্বা উত্তরচরিতাদি কাব্যে ব্যবহৃত, তাহা অধিকাংশ স্থলেই মাঞ্জিত শৌরসেনী প্রাকৃত । কিন্তু মৃচ্ছকটিকে মাগধী এবং অন্যান্ত পরবর্তী সময়ের প্রাকৃতভাষা বহুলপরিমাণে লক্ষিত হয়। মৃচ্ছকটিকের প্রাক্লতে যত পরিমাণে খাটি বাঙ্গালা, ও ডুয় এবং মহারাষ্ট্রীয় ভাষায় প্রচলিত শব্দ দেখিতে পাওয়া যায়, এমন অদ্য কোন নাটকের ভাষায় দেখা যায় না । ইচ্ছা ছিল যে কতকগুলি শব্দের তালিকা প্রস্তুত করিয়া দিই ; কিন্তু আমরা নাকি সকলেই সাহিত্যক্ষেত্রে সখের ব্যবসায়ী, কাজেই শ্রমসাপেক্ষ কার্য্যে হস্তক্ষেপ করিবার ততটা সময় হয় না। পারি ত ভবিষ্যতে এবিষয়ে পাঠকগণের কৌতু হল চরিতার্থ করিতে চেষ্টা করিব । ঐবিজয়চন্দ্র মজুমদার ।