পাতা:প্রবাসী (প্রথম ভাগ).djvu/৫৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

853 আদ্য । ইহা এক পকার লৌহ শলাক। ইষ্ঠ। অগ্রভাগ বিদ্ধ করা হয় । দ্বারা জিহবার মৈন । মৈল বোধ হয় মণি বা কষ্টতে উৎপন্ন । সাধনায় গ্রেপ গুইবার নিয়ম আছে, সেই রূপ শবের (সাধারণতঃ শিশু মস্তক গ্রহণ করিয়া উচ্চাকে এক বৎসর কাল প্রত্যঙ্গ নিদিষ্ট বিধান অনুসারে পূজা করিতে হয় । এক বৎসর পূজার পর উচ্চ। ‘মৈম’ হয় । কোন কোন স্তলে বানরের মস্তক প্ৰ গুণ করিবার রীতি আছে । সংক্রান্তর পূৰ্ব্বদিবস রাত্রে মৈনের পুজ। তয় । ‘কালী কাছ খেলিবার সময় এই মৈন কালকাছের হাতে দেওয়া যায় । এক ছাতে মৈন, অপর *াতে তরবারী লঙ্কয়া রণরঙ্গিনী কালিকাল অভিনয় হয় । ভাঙ্গিক শব

  • াল ল্য লন্স"

দেল নামান । চৈ পুজার প্রথম ক্রিয় দেল নামান । দেল নামানকে কোন কোন স্থানে ঠাকুর স্নান করান বলে । বৎসরের প্রায় সমস্ত সময়েই তক্তারূপী শিব ঠাকুর দেউলীর (যাহার বাটীতে চৈত্রপূজা হয়) ম’গুপঘরে লক্ষ্মায়ুত শরীরে নিরমু উপবাসে কাটুনি । চৈত্র মাসের ৩ দিন ৫ দিন কি ৭ দিন KBBBS JuKK BBBB BB BB S B tB SBB মামাইতে হইবে, সেই দিন প্রধান সন্ন্যাসী সমস্ত দিন উপবাসী থাকিয়া সন্ধাকালে নীলপট পানি মাথায় লষ্টয়া ঢাক । ও অষ্ঠাই লোক সহ নিকটবৰ্ত্তী নদী বা পুকুরের ঘাটে যায়। তথায় যাইয়। নীলপাট মাথায় লইয়। প্রধান সন্ন্যাসী छूद দিয়া উঠিয়া আসে। পরে ঘাটের মধ্যে একটু স্থান লেপিষ্ঠ। তথায় নীল পাট নামায় । পুরোহিত গন্ধ পুষ্পাদ দ্বারা পূজা করেন । এক যোড়া বা একটী কপোত বলি দেওয়া হয় । তংপর প্রধান সন্ন্যাসী নীল পাট মাথায় লইয়া সকলের অগ্রে, পশ্চাং ঢাকা ও অন্তান্ত সকলে সারি বাধিয়া দেউলীর বাড়ীতে আসে, এবং দেল থানি মগুপের বেদীর উপর রাখিয়া দেয় । প্রথম দিনের কার্য্য এ পর্য্যস্থ হইলেই শেষ হয়। প্রথম দিন আর বিশেষ কিছু করিতে হয় না। প্রবাসী

[ ১ম ভাগ । খাটুনা খাট । যাহার চৈত্রপূজার দলভূক্ত হয়, তাহাদিগকে সন্ন্যাসী কহে । সন্ন্যাস আশ্রমের সমস্ত নিযমই ইহাদিগের পাল নীয় । কিন্তু প্রকৃত পক্ষে তাঙ্ক। হয়না । কেবল প্রধান সন্ন্যাস অন্নভোজন পরিত্যাগ প্রভৃতি কৃচ্ছ, অবলম্বন করে। অপর সন্ন্যাসীরা চৈত্রপূজার কয়েক দিন মৎস্ত থাক্টতে পারে না। সন্ন্যাসী হইলেষ্ট ভিক্ষেপঞ্জীবী হইতে হয়। সন্ন্যাস আশ্রমের এই ভিক্ষার বাবস্ত চৈত্রপূজার সন্ন্যাসীর বিশেষভাবে পালন করি থাকে । যে দিন ষ্টচার। সন্নাসী হয়, সেই দিন হইতেই ইতাদিগকে নিজ বাড়া ত্যাগ করিয়৷ দেউলীর বাড়া মাষ্টয়া থাকিতে হয় । প্রত্যহ প্রাতে উঠিয়া পাস্তু ভাত খাষ্টয়া সারাদিনের মত ইচার ভিক্ষায় বাতির হয় । সঙ্গে ঢাক ঢোল সানাই প্রভৃতি থাকে । যে সকল দলের ঢোল ও সানাই রাখিবার সামথ নাই, তাহার। কেবল ঢাকই রাখে । ঢাক তুষ্টট রাখিতে হয় । দলবলে ইহারা গৃহস্তের অঙ্গনে উপস্থিত হইয়া অঙ্গনের মধ্যস্থলে নীলপাট মামাইয়া রাখে ৷ সন্ন্যাসীরা নীলপাট থিরিসু। গোলাকারে দাড়ায় । তংপর গৃহস্তের ফরমাইস মাত ল। নিজেদের ইচ্ছানুসারে ইট বা একটা সপ্ল্যাপী কোন কবিতা গানের স্বরে আবৃত্তি করে । আবৃত্ত্বির সঙ্গে সঙ্গে ঢাক ঢোল ও সানাই বাজে । ই দুই চরণ আবৃত্তির পর ঢাকী খুব জোরে নাচিবার তাল বাজায়, এবং সন্ন্যাসীরা নীলপটি ঘিরিয়া নানা ছন্দে নাচিতে থাকে । এই নৃত্য ব্যাপারকে “খাট ন খাটা” বলে । খাট না খাটায় ও কবিতা বলায় সন্ন্যাসীদের বড়ই আমোদ । স্বতঃপ্রবৃত্ত হইয়া বচলোক চৈত্রের প্রখর,মধ্যান্ত্রে এই খাট না খাটিবার জন্য সন্ন্যাসী হয় । এবং বহু পুরাতন হইলেও গৃহস্তবধূগণ আগ্রহের সহিত এই তাগুব দর্শন ও কবিতা শ্রবণ করে । খাট না খাটায় যে সকল কবিতা গীত হয় তাহার অধিকাংশই কৃষ্ণলীলাবিষয়ক ; বিরহ বা মাথর বর্ণনার ভাগই অধিক । গ্রাম্য বা দেশীয় ঘটনা লইয়া রচিত দুই একটা কবিতা ও শুনিতে পাওয়া যায় । কবিতা বলা শেষ হইলে উপসংহারচ্ছলে কিছু কাল নৃত্য করা হয়। এই সময় ঢাকের তালে তালে মৃত্যকারিগণ টপ্পা গাইয়া থাকে।