পাতা:প্রবাসী (প্রথম ভাগ).djvu/৫৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8やりa উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে কি ভারতের অন্য কোনও স্থানে বাঙ্গালী ছেলে শীঘ্রই তিন্দুস্থানী কইয়া পড়ে। তাই সে সব স্থলে বাঙ্গালীর ছেলেকে বাঙ্গল শিক্ষা দিবার জন্য—প্রকৃত বাঙ্গালী করিবার জন্ত সমিতি লাইব্রেরী ইত্যাদির বিশেষ প্রয়োজন হয় * । বিহারে ততটা হয় না। এখানে এণ্টান্স স্কুলে নিয়মিতরূপ বঙ্গাল পড়াইবার জন্য স্বতন্ত্র বাঙ্গালী পণ্ডিতমহাশয় নিযুক্ত আছেন । নিম্নশ্রেণী গুলিতে বাঙ্গালী ছেলেকে ঐ রাজীর অর্থ চিন্দীতে বলিতে হয় না ; ভাগলপুরে রাজা শিবচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিষ্ঠিত বালকদিগের জন্স একট, বালিকাদিগের জন্য অার একটী বাঙ্গালা স্কুল আছে । বাঙ্গালী বালকবালিকাগণ প্রতি বৎসর অপর প্রাইমারী পরীক্ষা দিতেছে । বাকী পুরে একটা “মৰ্ম্মাল’ স্কুল তছে । ইহাকে কিন্তু সাহিত্যানুশীলন বলে না । এদিকে খুব অল্প লোকেরই টান আছে । বেশীভাগ বঙ্গালী ছেলেরই প্রায় ছাত্রজীবন । যাহার সাহিত্য অনুশীলনে fবশেষ আগ্রহ তিনি কোনওরূপে সময় করিয়া লন । তাঙ্গর নবপ্রকাশিত কোন ও পুস্তকই পড়িতে বাকী রাখেন না । কণিকা, কথা, কাহিনী, কল্পনা, পদ্মা, অশোকগুচ্ছ, মালঞ্চ, ইত্যাদির আলোচনা তাহাদের সর্বদাই হইতেছে । ভারতী, সাহিত্য, প্রদীপ, পুণ, উৎসাহ, বঙ্গদশন, প্রবাসী নিয়মিত রূপে পাঠ করেন । ভাগলপুরে আমার এইরূপ কয়েকটি বন্ধু মিলিয়া একটি ক্ষুদ্র সাহিত্যসভা করিয়াছেন ৷ ইষ্ঠার রীতিমত সাহিত্যচৰ্চা করিয়া পাকেন। একটি হস্তলিপিত মাসিক পত্রিক বাহুর করেন--তাহার নাম ‘ছায়।" । কলিকাতা ভবানীপুরের এইরূপ একটা সমিতির এইরূপ একটি মাসিক পত্রিকা * তরণী’র সহিত ইগর বিনিময় झ ग्रं ! श् क्लॉटलद्र यङ्ग প্রশংসাই । - ভাগলপুরের উকীল খ্ৰীযুক্ত বাৰু ফরেন্দ্রলাল রায় নুতন মাসিক পত্রিক ‘নব প্রভার’ একজন + সম্পাদক । যাহাদের একটু অবসর আছে এরূপ শিক্ষি ও মহিলাদিগের পুস্তকপাঠ মন্দ চয় না । কেহ কেহ প্রবন্ধাদি লিখিয়া থাকেন । কুন্তলীন পুরস্কারের পুজার চিঠি’তে জামালপুরের একজন ' अदा नैौ६ङ 'ुत्र प्ले श्रृं{{क्ष्८ दक्ष श्रृं (ङ्ठि!' झङ्के । * नबघडा'झ-ज-भाषक कूश्जन । প্রবাসী [ ১ম ভাগ । মহিলার রচনাই সৰ্ব্বোৎক্লষ্ট হইয়াছিল । সমস্তিপুরের খ্রসরম। দেব ও ভাগলপুরের শ্ৰীকুলদা দেবীর নামং কুন্তলীন পুরস্কারে অনেকেই দেখিয়াছেন । যুবকদিগে মপ্যে ও অনেকে সাময়িক পত্রাদিতে লিখিয়া থাকেন কেহ কেহ পুরস্কারও পাইয়াছেন । মাঝে মাঝে মাথায় বড় বড় চুল, শন্ত উদ্ধ দৃষ্টি, ক্ষয়প্রাপ্ত, শীর্ণ ধীরগতি নিরুৎসা এক একটি বালক কবিও দেখিতে পাওয়া যায় । (বালক নী বলিয়া কি বলিব ? একটু বড় হইলেই সব অকালপক্কত। চলিয়া যায়) । কৈশোরে পদপিণ করি বা মাত্র ইষ্টাদেব প্রাণ ‘কে জানে কাষ্ঠীর জন্ত" কা দয়া আকুল স্কয় ; জীবনের অতি সামান্ত দেখিয়াই বলিতে আরম্ভ করেন “হ’লন কিছুই চ’লনা” । জীবন ড্রামা’র প্রথম ‘সীনেই ইষ্ঠার ট্রাজেডি অভিনয় করিতে আরম্ভ করেন । ভাগলপুরে একটা বড় অদ্ভুত কথার প্রচলন আছে। রবিঠাকুরের গোড় দিগকে রৈবিক বলা হয় । ইচ্ছাদিগকে আক্রমণ ও পদে পদে বিদ্রুপ করিবার জন্ত ‘অ্যাটিরৈবিকেরাও আছেন। রবিবাবুর কবিতা ও গানই ভদ্রসমাজে বিশেষ আদৃত। গঠন কুসুম কুঞ্জ মাঝে’, ‘আজ তোমারে দেখতে এলাম’ এখন পুরাতন হইয়াছে । এখন ‘নিশিদিন তোমায় ভাললাস’, ‘বেলা গেল তোমার পথ চেয়ে’, ‘তুমি যেওনা এখনি, এখনো তারে চোপে দেখিনি,’ ‘কেন করুণ স্বরে বীণা বাজিল, “আমার পরাণ যাগ চায়, ‘নিশি নিশি কত রচিব শয়ন, ভূবনমনমোঙ্গিনী, এই সব গানই ভদ্রসমাজে বেশী হয় । এখন "তুমি সন্ধ্যার মেখলা’র খুব আদর । ৫ । উত্তররাঢ়ীদিগের মধ্যে কয়েকঘর খুব বড়লোক আছেন । এতদিন বিহারে থাকিয়াও র্তাহাদের আচার ব্যবহার কথাবাৰ্ত্তার পরিবর্তন হয় নাই । তাহাদেরই পূৰ্ব্বপুরুষগণ রাঢ়দেশ হইতে অনেক লোক সঙ্গে লইয়া আসিয়া এখানে বসবাস করিয়াছেন । চম্পানগরের ‘মহাশয়জী' খুব বড়মানুষ । ইহারা বংশপরম্পরায় ‘মহাশয়’ উপাধি প্রাপ্ত হন । ইহঁারা অতি মহৎ লোক । দান সৎকাৰ্য্য পূজা অৰ্চনাতেই জীবন অতিবাহিত করেন । অসংখ্য লোক ইষ্টাদের অল্পে প্রতিপালিত হইতেছে । ইহঁাদের সদা এত চিরদিন । প্রতিদিন অনেক গরীব দুঃখী এখানে মোদিয়া যথেষ্ট আহার করিতেছে । তাদের জীশৰা