পাতা:প্রবাসী (প্রথম ভাগ).djvu/৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(? 8. অধীন কইয়াছে ; আবার বাঙ্গালীরা কখন বাচ্চবলে অঙ্গ বঙ্গ কলিঙ্গ মিথিল গুজ্জর ও কাশ্মীর পর্য্যস্তও রাজনৈতিক প্রবল প্রতাপ বিস্তৃত করিতে সক্ষম ষ্টষ্টয়াছে। এই সংঘর্ষ উপলক্ষে বাঙ্গালাদেশে প্রতিনিয়ত নানা দেশের নানা জাতির লোক প্রবেশ করিয়াছে। কেহ স্বদেশে প্রত্যাবৰ্ত্তন করিয়াছে, কেহ বা সপরিবারে বাঙ্গালায় বাসস্থান স্থাপন করিয়াছে, কে৪ আবার লাঙ্গালীর সহিত বৈবাহিকসূত্রে মিলিত হইয়া বাঙ্গালীর দলপুষ্টি করিয়াছে। আজ যাহারা বাঙ্গালা’ নামে পরিচিত, তাঙ্গারা এইরূপে কতবার নবাগত অতিথিগণকে আপনাদিগের দলভুক্ত করিয়া লইয়াছে, তাহার তথ্যানুসন্ধান করা এখন অসম্ভব হইয়া উঠিয়াছে। কালক্রমে মোসলমানেরা আসিয়া বাঙ্গালীর দলপুষ্টি করিয়াছেন। এখন চিন্দু এবং মোসলমানেরাই বাঙ্গালার প্রধান অধিবাসী । যাহার একদা হিন্দু বলিয়া পরিচিত ছিল, তন্মধ্যে বহুলোকে ইসলামের ধৰ্ম্ম গ্রহণ করায় মোসলমানের সংখ্যা অল্পদিনের মধ্যেই বুদ্ধি প্রাপ্ত হইয়াছে । এখন বাঙ্গালার সুখতঃখের সঠিত যাঙ্গদের চিরসংশ্ৰব, তাহারা মিশ্রজাতি. কেহ চিজু, কেছ মোসলমান, কেহ বা খৃষ্টীয়ান ; কি স্থ সকলেই বাঙ্গালী । খৃষ্টীয় একাদশ শতাব্দীর পূৰ্ব্বকালের বাঙ্গালার ইতিহাসে কেবল চিদুর কথা, তৎপরবর্তী কাল হইতে অষ্টাদশ শতাব্দীর কিয়দংশ পর্যান্ত ক্লিন্দু ও মোসলমানের কথা, এবং তাঙ্গার পর হইতে ষ্টি দু মোসলমান ও খৃষ্টীয়ানের কথা । এই ত্ৰিবিধ যুগেই বাঙ্গালীর অগৌরবের অনেক পরিচয় বাকির করিতে পারা যায়। সেরূপ অগৌরবের কথা কোন জাতির ইতিহাসেই বা একেবারে নাই ? কিন্তু এই ত্ৰিবিধ যুগেই বাঙ্গালীর অনেক গৌরবের কথা ও শুনিতে পাওয়া যায় । লিদেশীয় ইতিহাসলেখকগণ কেবল আগেরবের কথাই নানা ছন্দোবন্ধে বর্ণনা করিয়া গিয়াছেন ; বাঙ্গালী লেখকগণ অনুসন্ধান করিলে তাহার মূলে সত্যের সঙ্গে অনেক মিথাও মিশিত দেখিতে পাইবেন । যাঙ্গালীর ইতিহাস নাই ; সুতরাং বাঙ্গালীর কীৰ্ত্তিকাহিনী সাধারণে সুপরিচিত নহে । বৰ্ত্তমান যুগে বাঙ্গালী নানা দেশে বাসস্থান নিৰ্ম্মাণ করিতে বাধ্য হইয়াছে। যাহার প্রবাসী তাঙ্গর ভিন্ন দেশ ভিন্ন ভাষাভিয় আচার ব্যবহারে প্রবাসী | ১ম ভাগ জড়িত হইয়াও আপন স্বাতন্ত্র্য রক্ষা করিয়া কত ভাবে আত্মপ্রতিভার পরিচয় প্রদান করিতেছে, এতদিনের পর তাহার কাহিনী সঙ্কলিত হইবার উপায় হইল। প্রবাসী বাঙ্গালী মাতৃভাষার পুষ্টিসাধনের জন্য মাসিকপত্রিকা প্রচার করিতেছেন, ইকা ৰঙ্গসাহিত্যের পক্ষে নিরতিশয় আশা ও আনন্দের সমাচার। বাঙ্গালীর অতীত যাচাই হউক, ভবিষ্যৎ আশাপ্রদ। সে ভবিষ্যং সেভাগাসোপান গঠন করিবার ভায় কেবল স্বদেশবাসী বাঙ্গালীর উপরেই ন্যস্ত নহে ; প্রবাসী বাঙ্গালীকেও তাহার জন্য শ্রম স্বীকার করিতে হইবে । প্রবাসী এতদিন অথোপাৰ্জ্জুনে ব্যস্ত ছিলেন, এখন স্বদেশ ও স্বজাতির কথা স্মরণপথে পতিত হইয়াছে । নবজাত সাধু সংকল্পের সহায় হউন । ভগবান এই শ্ৰীঅক্ষয়কুমার মৈত্ৰেয় । . শর্কর বিজ্ঞান । </ তৃতীয় অধ্যায়। বীজ হইতে ইক্ষু উৎপাদন । ইংরাজ, ওলন্দাজ, আমেরিকান, প্রভৃতি জাতীয় কৃসকগণ নানা উপায়ে ইক্ষুর উন্নতিসাধন করিয়াছেন । উন্নতির উপায় প্রধানতঃ চারিটি । ১ম—বীজ হইতে গাছ জন্মাইয়া, এই গাছের মধ্য হইতে উৎকৃষ্ট উৎকৃষ্ট দ গু বাছিয়া লইয়। উহার কলম ব্যবহার করা যাক্টতে পারে। t ২য়-—আমাদের দেশে যেমন গাছের ডগাটি মাত্র প্রায় কলম বা বীজরুপে ব্যবহৃত হয়, অন্যত্র সে নিয়ম প্রচলিত নাই । ইক্ষুদণ্ডের সুমিষ্ট অংশ বীজরুপে ব্যবহার করিলে, ঐ বীজ হইতে যে গাছ জন্মে, উহার দণ্ড অপেক্ষাকৃত অধিক সুমিষ্ট ও স্কুল হয়। তবে নিতান্ত গোড়ার দিকের আক হইতে ভাল বীজ হয় না। আগার দিকের তিন ফুট আক বীজের জন্ত ব্যবহার করা উচিত । ৩য় - পোলারিস্কোপূ যন্ত্র দ্বার কোন ইক্ষুদণ্ডের রসে কি পরিমাণ শর্কর অাছে ইহা নির্ণয় করিয়া লইয়া, উপযুক্ত দণ্ড নির্বিাচিত করিয়া বীজ রূপে ব্যবহার করা উচিত । ASAHHHHA AHiAAA AAAASAAAA AASAAASA